২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ভুলত্রুটি খুঁজছেন ডোমিঙ্গো

বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কোচের সাথে কথা বলছেন :নয়া দিগন্ত -

বিসিবিতে নিয়োগপ্রাপ্তির পর থেকেই দেখে আসছেন দলের ব্যর্থতা! যার সাথে বিগত সময়ের পারফরম্যান্স মেলাতে পারছেন না রাসেল ডোমিঙ্গো। ভেবেছিলেন, বিশ^কাপে অনেক দলেরই ছিল ব্যর্থতা। বড় আসরে এটা হয়। কিন্তু শ্রীলঙ্কা সফরে টানা হার! এটাতে খটকা লাগে। বিসিবিতে যোগ দেয়ার পর জহুর আহমেদে দেখলেন নবাগত আফগানিস্তানের সাথে টেস্টম্যাচ। ব্যর্থতার ষোলকলাপূর্ণ। এরপর টি-২০তেও আফগানদের বিপক্ষে হার ও দলের মধ্যে যে আস্থাহীনতা পরিলক্ষিত হয়, তাতে কিছুটা নড়েচড়ে বসেন। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় পর্বে খেলোয়াড় পরিবর্তন নিয়েই যান তিনি। সফলও হন। দুই ম্যাচের একটিতেও হারেনি দল। টানা চার ম্যাচ পর হারাতে সক্ষম হয়েছে আফগানদের। দলের মধ্যে আত্মবিশ^াস তিনি এখন দেখছেন। তবে এটাও তো ঠিক, টি-২০ ভার্সনে বাংলাদেশের দুর্বলতা বেশি। এগুলো খুঁজে বের করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ তার। আপাতত যে সফলতা, এটা ধরে রাখতে চান। এবং এটা কন্টিনিউ করতে কোথায় কী করতে হবে তাও করতে চান।
ফাইনাল ম্যাচের আগে কাল মিরপুর শেরেবাংলায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এ দক্ষিণ আফ্রিকান। জানালেন তার দলের ফাইনালের ভাবনা। তিনি প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের প্রশংসা করে বলেন, ‘আফগানিস্তান অবশ্যই ভালো দল। তবে আমরা জানি, নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেললে আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারি। সামর্থ্য অনুযায়ী খেলে সাফল্য পেলে বিস্ময়েরও কিছু নেই।’ তিনি গুরুত্ব দেন অন্য জায়গায়। ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে আমাদের স্কিলড ও মানসিকতা এক বিন্দুতে মেলাতে পারা এবং ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আফগানদের হারানো।’ টানা দুই ম্যাচ জিতে দলের অবস্থা কিছুটা উন্নত হলেও ডোমিঙ্গো এতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো নিখুঁত ক্রিকেট খেলতে পারিনি। কিছু কিছু জায়গায় আমরা ভালো ছিলাম, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মোটামুটি। আমরা এখনো সেরাটা প্রদর্শনের পথ খুঁজছি। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাবেক টি-২০ এ কোচ বলেন, ‘আমরা কেবল ২ উইকেট হারিয়ে শেষ ৫-৬ ওভারে যেতে পারিনি। প্রথম ১০ ওভারে আমরা অনেক বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের টার্গেট, ২ উইকেটে হারিয়ে ১৫ ওভার শেষ করা। এতে যা হয়, তা হলো শেষ দিকে ঝড় তোলার ভিত গড়ে উঠবে। এটায় মনোযোগ দিতে হবে। আশা করি ফাইনালে হবে।’
চট্টগ্রাম ও জহুর আহমেদের উইকেটের তুলনা করে তিনি বলেন, ‘জহুর আহমেদে সহজে স্পিন ধরে না। কিন্তু মিরপুর ব্যতিক্রম। এখানে স্পিনারেরা সুবিধা পায়। এতে আফগানদের জন্য সুখবর। তবে আমাদেরও বেশ ক’জন ভালো স্পিনার রয়েছে। যতদূর মনে হচ্ছে এখানে স্পিনারেরা সহায়তা একটু বেশিই পাবে।’ আফগানদের কাছে শিক্ষা পাওয়ার পর থেকেই একজন লেগ স্পিনার দলভুক্ত করা হয় চট্টগ্রাম পর্বে। কিন্তু অভিষেক ম্যাচ ভালো খেললেও হাতে চোট পায়। যে হাতে বোলিং করে সেটাতে চোট না পেলেও ওই চোটের জন্য দ্বিতীয় ম্যাচে আর খেলেনি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। কাল এক প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো বলেন,‘তার বাঁহাতে তিন সেলাই। যদিও তার বোলিং হাতে ইনজুরি নয়। তার পরও, কোচ হিসেবে আমি কখনোই এমন কাউকে খেলাতে চাই না, যার চোট আছে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো ক্যাচ তার কাছে আসতে পারে। প্রথম বলেই হয়তো ফিল্ডিং করতে গিয়ে হাতে লেগে তার সেলাই খুলে যেতে পারে। এই ব্যাপারগুলো নিয়ে ভাবার ব্যাপার আছে। আমি সব সময় চাই শতভাগ ফিট ১১ জনকে নিয়ে মাঠে নামতে। আর আমার মতে, আমিনুল বা যে কারো বিকল্প আমাদের দলে আছে। আমার মনে হয় না, হাতে সেলাই নিয়ে ফাইনালে ওকে আমরা খেলতে দেখব।’
লিটন কুমার দাস ভালো করতে পারছে না। ফাইনালে তাকে বাদ দেয়া হতে পারে কি না এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে সম্ভাবনা নেই। লিটন মাঠে যেভাবে নিজেকে মেলে ধরে, আমরা তাতে সন্তুষ্ট। সে ভালো ফিল্ডার, মুশির চেয়ে ভালো ফিল্ডার। আমার মতে, যত ভালো ফিল্ডারকে আমরা পাই, তত দলের জন্য ভালো। লিটন-আফিফ-শান্তর মতো ফিল্ডারেরা যে পাঁচ-ছয় রান বাঁচায় মাঠে, সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ একই সাথে মুশফিকেরও প্রশংসা করে এ কোচ বলেন, ‘মুশি সম্প্রতি দুই-একটি বল মিস করেছে বটে। তবে মুশি যেভাবে কিপিং করে, তাতে আমরা খুশি। স্টাম্পের পেছনে সে প্রাণবন্ত, অভিজ্ঞ, স্টাম্পের ওখানে থেকে খুব ভালো দেখতে পারে বলে, অধিনায়ককে কার্যকর কিছু পরামর্শ দিতে পারে। সে কিপিং করলে, অনেক সুবিধা পাই আমরা।’ আফগান দুই স্পিনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওদের স্পিনারদের বিপক্ষে অনেক ব্যাটসম্যানই ধুঁকতে থাকে। মুজিব ও রশিদ খান এখন স্পিনে অনেক বড় নাম। শুধু আমাদের ব্যাটসম্যানরা নয়, এমনিতেই সবারই বিশ্বমানের এই দুই স্পিনারের বিপক্ষে ভোগান্তি হয়। আমরা নেটে চেষ্টা করছি ওদের খেলার উপায় বের করতে। মানসিকতা নিয়ে, পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। রাতারাতি আয়ত্ত সম্ভব নয়।’ দলে কখনো চার পেসার খেলানো হবে কি না এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি জানি, এটি ঠিক বাংলাদেশের ধরন নয়। অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ খেলব আমরা, সেখানে অন্তত তিনজন তো বটেই, চার পেসারও খেলানো হতে পারে সেখানে। এখন অবশ্য জেতা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি ভবিষ্যতের পথচলা নিয়েও ভাবতে হবে। খুব সূক্ষ্মভাবে সমন্বয় করতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে আমি সবসময়ই চার পেসার খেলাতে পছন্দ করি। তবে আমি এখানকার সংস্কৃতি বুঝি। এই দলের শক্তি যে স্পিনে, সেটি জানি। কোচ হিসেবে তাই দু’টির সমন্বয়ের চেষ্টা করছি।’

 


আরো সংবাদ



premium cement
আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবার কবরে শুয়ে ছেলের প্রতিবাদ ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরো ৭১ জন নিহত পানছড়ি উপজেলায় চলমান বাজার বয়কট স্থগিত ঘোষণা আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করেছে : দুদু

সকল