২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পদক পুনরুদ্ধার করতে চায় সাইক্লিং

-

অনেক দিন পর আলোচনায় এলেন ইনডেক্স গ্রুপের কর্ণধার এবং সাইক্লিং ফেডারেশনের সভাপতি শফিউল্লাহ আল মুনির। কর্মকর্তা হিসেবে অন্যান্য ফেডারেশনের সাথে অতীতে যুক্ত থাকলেও সাইক্লিংয়ে তিনি সর্বেসেবা। অর্থাৎ তাকে কোথায়ও কৈফিয়ত দিতে হবে না। সাইক্লিংয়ের উন্নতিতে নিজেই নিতে পারবেন সিদ্ধান্ত। গত এসএ গেমসে গৌহাটিতে হারিয়ে ফেলা পদক নেপালে পুনরুদ্ধার করতে চায় বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশন। এমনটাই জানালেন ফেডারেশনের সভাপতি শফিকউল্লাহ আল মুনির।
তার কথায়, ‘নেপালে আমাদের প্রথম লক্ষ্য থাকবে হারানো রুপা পুনরুদ্ধার করা। তবে সম্ভব হলে স্বর্ণপদকের জন্যও লড়বেন সাইক্লিস্টরা। সে জন্য যতটা পরিশ্রম করার প্রয়োজন, তাই করছেন সাইক্লিস্টরা।’
নেপাল এসএ গেমসের জন্য ১৫ জুলাই ১৬ জন সাইক্লিস্ট ও তিন কোচকে নিয়ে গোপালগঞ্জে শুরু হয় সাইক্লিংয়ের ক্যাম্প। তবে ১৬ সেপ্টেম্বর সাইক্লিস্টদের সংখ্যা কমে ১০ জনে চলে আসে। চারটি ইভেন্টে অনুশীলন করছেন সাইক্লিস্টরা। এগুলো হলোÑ ছেলেদের ১০০ ও ৪০ কিলোমিটার ইন্ডিভিজুয়াল পারস্যুট এবং মহিলাদের ৮০ ও ৩০ কিলোমিটার ইন্ডিভিজুয়াল পারস্যুট। তবে গেমসের একটি ইভেন্ট নিয়ে সন্দিহান ক্যাম্প কমান্ডার ইমাম হোসেন সোহাগ। ‘ছেলেদের ১০০ কিলোমিটার ও মেয়েদের ৮০ কিলোমিটার ইন্ডিভিজুয়াল পারস্যুট মূলত আন্তর্জাতিক সাইক্লিং ইউনিয়ন (ইউসিআই) এবং এশিয়ান সাইক্লিং কনফেডারেশন (এসিসি) অনুমোদিত নয়। এ দু’টি ইভেন্ট মাস স্টার্ট বা রোড টিম ট্রায়াল হবে। বিষয়টি নিয়ে ভারতও আমাদের সাথে একমত। তাই এখন ইভেন্টটি কী হবে তা আমাদের জানায়নি নেপাল।’
গোপালগঞ্জ থেকে টুঙ্গীপাড়া এবং ভাটিয়াপাড়া রোডে চলছে সাইক্লিস্টদের এই অনুশীলন। গোপালগঞ্জ থেকে টুঙ্গীপাড়া ২০ কিলোমিটার এবং গোপালগঞ্জ টু ভাটিয়াপাড়া ৩০ কিলোমিটার পথ।


ফলে ১০০ কিলোমিটার ইন্ডিভিজুয়াল পারস্যুটে গোপালগঞ্জ থেকে টুঙ্গীপাড়ায় যাওয়া ও আসায় ৪০ কিলোমিটার এবং ভাটিয়াপাড়ায় যাওয়া-আসায় আরো ৬০ কিলোমিটার পাড়ি দিচ্ছেন সাইক্লিস্টরা। এভাবেই ১০০ কিলোমিটার সাইক্লিং করছেন তারা।
শফিউল্লাহ আল মুনির বলেন, ‘দেশের সাইক্লিংয়ের গৌরব ফেরাতে চাই আমরা। তাই কঠোর পরিশ্রম করছেন সাইক্লিস্টরা। নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যেই তারা ক্যাম্প চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই ছেলেদের ৪০ ও মহিলাদের ৩০ কিলোমিটার ইন্ডিভিজুয়াল পারস্যুটে রুপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আমরা।’
অনেক আগে থেকেই সাইক্লিস্টদের দাবি ভেলোড্রাম। নানা রকম তদবিরে কাজ হয়নি। হবেই বা কিভাবে। ভেলোড্রাম স্থাপনের জন্য কোনো জায়গা বরাদ্দ হয়নি। এ নিয়ে কর্মকর্তারা দৌড়ঝাঁপ করেননি সময়মতো। তার পরও বাংলাদেশের সাইক্লিস্টরা ভেলোড্রামে অংশ নেন। সুবর্ণা বর্মণ বলেন, ‘আমাদের দেশে কোনো ভেলোড্রাম নেই। একটি ভেলোড্রাম থাকলে আমরা ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নিতে পারতাম।’
গেমস সাইক্লিস্টরা হলেনÑ রিপন কুমার বিশ্বাস, আবদুস সবুর, সিরাজুল ইসলাম, খন্দকার মাহাবুব, শিল্পি খাতুন, সুবর্ণা বর্মণ, সমাপ্তি বিশ্বাস, শরীফা আক্তার, নিশি খাতুন ও রুমি খাতুন এবং দুই কোচ ওয়ালিদ হোসেন ও আশরাফুল ইসলাম।

 


আরো সংবাদ



premium cement
কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু

সকল