১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আশাবাদী ব্যাটিং হলো না

-

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটিং আশাপ্রদ হলো না। চট্টগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শুরুটা কিন্তু ভালোই হয়েছিল। অভিষেক হওয়া নাজমুল এবং লিটন দাস উদ্বোধন করেছিলেন। নাজমুলকে তেমন উজ্জ্বল বলে মনে হয়নি। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন লিটন দাস। তিনি ৩৮ রান করে জানান দিচ্ছিলেন যে বাংলাদেশ বড় স্কোর গড়বে। কিন্তু নাজমুল ১১ রান করে সাজঘরে ফিরে যাবার পর হঠাৎ করে ছন্দ পতন। লিটন দাস ৩৮ রান করে আউট হন। তার ২২ বলের ইনিংসে ২টি ছক্কা ও ৪টি বাউন্ডারি মার ছিলো। এরপর সাকিব আল হাসান নিজের আত্মবিশ্বাস ফিরে পান নি। ব্যাটিং নিয়ে যে আশাহত কাহিনী কাব্য রচিত হয়েছে এর আগের ম্যাচগুলোতে তার ধারাবাহিকতায় অধিনায়ক সাকিব ১০ রান করে আউট হয়ে যান। তিনি আসলে উইকেটটি বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। এরপর মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আসল খেলাটা খেললো। এরা দুইজন জিম্বাবুয়ের বোলারদের দেখে শুনে খেলের দলের রানকে বড় অংকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। মুশফিক ৩২ রান করলেও মাহমুদুল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে ৬২ রানে দুর্দান্ত ইনিংস। সিনিয়রদের রান করতে হবে। সেই জন্যই হয়তো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন রিয়াদ। ৪১ বল খেলেছেন তিনি। ৫টি ছক্কা ও ১টি চারের মার মেরেছেন। তিনি আউট হয়ে যাওয়ার পর আফিফ, মোসাদ্দেক দলের রানকে বেশি দূরে নিয়ে যেতে পারেননি। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ ৭ উইকেট রান তুলেছে ১৭৫। জিম্বাবুয়ের ৭ বোলারের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন জারভিস। তিনি ৩২ রানে ৩ উইকেট নেন।
এই ম্যাচেও বাংলাদেশের ব্যাটিং দৈন্যদশা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্বকাপের পর কেমন যেনো খাপ ছাড়া হয়ে গেছেন দলের প্রতিটি ব্যাটসম্যান। নিজেদের চিরচেনা রূপে তারা মাঠে নৈপুন্য প্রদর্শন করতে পারছেন না। তাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। টি-২০ ম্যাচে সব সময় ব্যাটসম্যানদের কারিশমা প্রাধান্য পেয়ে থাকে। কারণ তারা দ্রুততার সাথে রান তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বাংলাদেশ এই ফরম্যাটে তেমন আস্থার পরিচয় দিতে পারেনি। র্যাংকিংয়ে তলানীর দিকে স্থান তাদের। আসলে টি-২০ স্বভাবজাত ব্যাটসম্যান হিসেবে হার্ড হিটিং করে খেলতে হয়। বাংলাদেশ দলের হার্ড হিটার নেই। ফলে দ্রুততার সাথে রান তোলার যে ছন্দ টি-২০ ম্যাচের সম্পদ তা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা করে দেখাতে পারেন না। ফলে বিপক্ষ দল যে রানই করুক না কেন তা বোঝা হয়ে দাঁড়ায় টাইগারদের সামনে। এমনকি সিনিয়ররা রান না পেলে দলের সুযোগ পাওয়া নবীনরা দলের জয়ের পেছনে তেমন বড় কোনো ভূমিকা রাখতে পারেন না। বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরো ভালো করলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারতো। আসলে প্রয়োজন ছিল আশাবাদী ব্যাটিংয়ের। তা হলো না।

 


আরো সংবাদ



premium cement