আফিফের মতো করতে চান নাঈম শেখ

বর্তমানে চলমান ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাত্র ২৭ বলে ৫২ রান সংগ্রহের মাধ্যমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্বাগতিক বাংলাদেশ দলের জয়ে ভূমিকা রেখেছেন আফিফ হোসেন। মাত্র ৬০ রানে টাইগারদের ৬ উইকেটের পতনের পর দলীয় জয়ে এই ভূমিকা রাখেন আফিফ। বন্ধু আফিফের মতোই বাংলাদেশ দলের সফলতায় ছাপ রাখতে চান নতুন ডাক পাওয়া নাঈম শেখ।

আফিফ টাইগার দলে নতুন নন। ২০১৮ সালেও বাংলাদেশের হয়ে টি-২০ ক্রিকেট খেলেছিলেন তিনি। তবে সুবিধা করতে না পারায় এরপর বাদ পড়েন তিনি। এবার দ্বিতীয়বারের মতো সুযোগ পেয়েই সেটিকে বেশ ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছেন।

তবে বাংলাদেশ দলে একেবারেই নতুন মুখ হিসেবে ডাক পেয়েছেন নাঈম শেখ। ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ দলের তৃতীয় এবং টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচের জন্য গঠিত স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন তিনি। মাঠে খেলার সুযোগ পেলে সেটিকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর জন্য মুখিয়ে আছেন নাইম শেখ।

গতকাল তিনি বলেন, ‘আফিফ আমার বন্ধু। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলার সময় থেকেই আমরা একত্রে রয়েছি। আমাদের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া ও সখ্যতা রয়েছে। এমনকি আমরা সফরে গেলে একই রুমে থাকি। সুতরাং জাতীয় দলে তার সাথে খেলতে পারাটা আমার জন্য দারুণ রোমাঞ্চকর।’
নাঈম শেখ বলেন, ‘আসন্ন ম্যাচে যদি আমি মূল একাদশের হয়ে খেলার সুযোগ পাই, তা হলে আমার একমাত্র লক্ষ্য থাকবে আফিফের মতো নিজের সেরাটা খেলা। পেছনে না তাকিয়ে আমি চাই ভালো পারফরম্যান্সের মাধ্যমে দলে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিতে।’

বাংলাদেশ দলের শীর্ষ ব্যাটসম্যানরা বর্তমানে কঠিন সময় পার করছে। নাঈমের বিশ্বাস তিনি এর সমাধান করতে পারবেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র ২৯ রানেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে শীর্ষ চার ব্যাটসম্যানের পতন ঘটেছে ৩২ রানে। এতেই টপ অর্ডারের দৈন্যতা ফুটে উঠেছে। এই ক্ষত দূর করতেই নবাগতদের স্কোয়াডে টেনে এনেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। নাঈম শেখ শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারবেন কি না, সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের কোনো ঘাটতি নেই। নবাগত এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘হাই পারফরম্যান্স দলের হয়ে আমি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খুব একটা ভালো করতে পারিনি। তবে আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ভালো খেলেছি। ওই সিরিজে আমি যথাক্রমে ১২৬, ৪৯ ও ৬৫ রান করেছি। সিরিজে আফিফও ভালো খেলেছে।

সুযোগ পেলে টপ অর্ডারের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করব। সত্যিকার অর্থে আমার কিছুই করার নেই। তবে ভালো খেলতে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। আমার একমাত্র লক্ষ্য হবে দলের জন্য রানের জোগান দেয়া। আরেকটি অনুপ্রেরণা হচ্ছে আমি সাকিব আল হাসানের অধীনে খেলতে পারব। তিনি আমাদের জাতীয় তারকা। তার সাথে খেলার জন্য আমি মুখিয়ে আছি।’