২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

গোল মিসের খেসারতে বাংলাদেশের হার

থাইল্যান্ড ১-০ বাংলাদেশ
-

গ্রুপে থাইল্যান্ডকেই দুর্বল মনে করেছিল বাংলাাদেশ। তাদের বিপক্ষেই জয়ে শুরুর পরিকল্পনা ছিল মারিয়াদের। কিন্তু গতকাল এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বের প্রথম ম্যাচেই থাইল্যান্ডের কাছে হার গোলাম রাব্বানী ছোটনের দলের। থাইল্যান্ডের ছনবুরিতে কাল মারিয়াদের ১-০ গোলে পরাজিত করে আপাতত জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে টপকে শীর্ষে অবস্থান করছে স্বাগতিকেরা। কারণ গতকাল গ্রুপের অন্য ম্যাচে জাপানের সাথে গোলশূন্য ড্র করে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ১৮ সেপ্টেম্বর শক্তিশালী জাপানের বিপক্ষে।
জয়ের জন্য গোল করতে হবে। কিন্তু এই গোল করার দায়িত্বই কাল কেউ নিতে পারেনি বাংলাদেশের পক্ষে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গোল মিসের মহড়া। ফলে এবারো তাদের জয় শূন্য থেকে গ্রুপ পর্বে বিদায়ের শঙ্কা। অবশ্য মারিয়া, মনিকারা যদি পরের দুই ম্যাচে হারাতে পারে জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে, তা হলে সুযোগ থাকবে সাফ অঞ্চলের প্রথম দল হিসেবে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের সেমিফাইনালে যাওয়া। যারা থাইল্যান্ডকেই হারাতে পারে না তাদের পক্ষে কি সম্ভব কঠিন কাজ দু’টি করা?
ম্যাচের তিন মিনিট বয়সেই গোল মিস বাংলাদেশের। বিপক্ষ ডিফেন্ডারের ভুলে ফাঁকায় বল পেয়ে যান স্ট্রাইকার আনু চিং মগিনি। এরপর কয়েক কদম এগিয়ে তিনি থাই গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল প্রথম পোস্ট দিয়ে জালে পাঠাতে গিয়ে বল মারেন বাইরে। পঞ্চম মিনিটে আবারো সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া। এবার বাংলাদেশের গোল মেশিন খ্যাত তহুরা করেন মিস। থাই সীমানায় ফাঁকায় বল পান তিনি। তাকে ঠেকাতে এগিয়ে আসেন থাই কিপার। তহুরা তাকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন। ততক্ষণে পোস্টের নিচে এক থাই ডিফেন্ডার। তহুরা কিছুটা দুরূহ কোণ থেকে ডান পায়ের শটে গোল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কপাল মন্দ তহুরা এবং বাংলাদেশ দলের। তহুরার শট প্রতিহত হয় ক্রসবারে।
এর পরই খেলায় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় থাইল্যান্ড। বাংলাদেশ দল তখন কাউন্টার অ্যাটাকে খেলার কৌশল নেয়। তখন থেকেই ফ্রি কিকে আতঙ্ক ছড়াছিলেন থাই মেয়েরা। শেষ পর্যন্ত ৫৮ মিনিটে ফ্রি কিক থেকেই থাইল্যান্ড এগিয়ে যায় থাওয়ামরাত প্রমথংজেমের গোলে। এরপর আঁখি খাতুনে ফাউলের ফলে থাইল্যান্ডে পেনাল্টি পেলেও তা গোল হয়নি পেনাল্টি শট বাইরে যাওয়ায়।
পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ আক্রমণে গতি বাড়াতে সাজেদা ও রিতুপর্না চাকমাকে নামায়। তাতেও কাজ হয়নি। হবে কিভাবে। তারকা ফুটবলার তহুরা যে একের পর এক গোল মিস করতে থাকেন। ৫৪ মিনিটে তিনি বিপক্ষ কিপারকে একা পেয়েও মারেন বাইরে। শেষ দিকে আবার গোল করতে ব্যর্থ এই স্ট্রাইকার। সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন বল বাইরে মেরে। তিনি দ্বিতীয় পোস্টে শট নিলেই গোল হতো। কিন্তু তিনি মারেন প্রথম পোস্টে দাঁড়ানো গোলরক্ষক সোজা। হাফ চান্সকে কাজে লাগাতে বুদ্ধির পরিচয়ও দিতে পারেননি মারিয়া, মনিকারা। ম্যাচে বাংলাদেশ আটটি কর্নার পেয়েও পায়নি গোলের দেখা।

 


আরো সংবাদ



premium cement