২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলাদেশের দুর্ভাগ্যজনক হার আফগানিস্তান ১-০ বাংলাদেশ

-

ম্যাচ শেষে আফগান ফুটবলারদের সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হয়ে পড়েন বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা। ইনজুরি টাইমে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া যে তর্কের সৃষ্টি করেন সেটিরই জের ছিল তা। এই মেজাজ হারিয়ে ফেলার নেপথ্য জয়ের বদলে হার দিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাই শুরু করায়। ২০১১ সাল থেকে বিশ্বকাপ প্রাক বাছাই ও প্লে-অফ কোয়ালিফায়ার্সে তিন জয় আছে বাংলাদেশের। তবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তাদের সর্বশেষ জয় ২০০১ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে। তাই এবার জয়ে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব শুরু করতে চেয়েছিল জেমি ডে বাহিনী। জয়ের টার্গেট ছিল ভারত আর আফগানদের বিপক্ষে। কিন্তু আপাতত আর তা হয়নি। গত পরশু তাজিকিস্তানের দুশানবের সেন্ট্রাল রিপাকলিকান স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের হোম ভেনুতে ০-১ গোলে হার জামালদের। হারের ফলে ‘ই’ গ্রুপের তলানিতে থাকল বাংলাদেশ। পরশু অন্য ম্যাচে কাতারের সাথে গোলশূন্য ড্র করেছে ভারত। বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ১০ অক্টোবর কাতারের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে।
র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের (১৮২) চেয়ে ৩৩ ধাপ এগিয়ে আফগানিস্তান (১৪৯)। কিন্তু কাতারের কাছে তাদের ০-৬ গোলের হারই বলে দিয়েছিল তেমন কোনো শক্তিশালী দল নয় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি। দুশানবেতে কয়েক হাজার প্রবাসী আফগানদের সমর্থন পাওয়া টার্ফের মাঠেও আফগানিস্তানকে কোনো ভীতিকর মনে হয়নি। এর পরও বাংলাদেশ হেরেছে স্রেফই দুর্ভাগ্যজনকভাবে। ২৬ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে আসা বলে তাদের অধিনায়ক ফারসাদ নূর পোস্টে হেড করেন। বাংলাদেশ গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা বাম দিয়ে হাওয়ায় শরীর ভাসিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেন তা। বল তার হাতে লেগে প্রতিহত হয় ক্রস বারে। কপালটা লাল-সবুজদের এতই মন্দ যে, সেই বল ফের সাইড পোস্টে আঘাত হেনে গোল লাইন অতিক্রম করে। আফগানদের বিপক্ষে ৪০ বছর পরে এসেও জয়ের দেখা পেল না বাংলাদেশ। ১৯৭৯ সালে তাদের বিপক্ষে ঢাকায় এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ৪-১ গোলে জিতেছিল লাল-সবুজরা। দুই দলের সাত ম্যাচে এখন দুই ম্যাচ জিতে এগিয়ে গেল আফগানিস্তান। এর আগে তারা ২০১৫ কেরালা সাফে ৪-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে।
সেই ফলাফলের আলোকে এবারের এই রেজাল্ট অবশ্যই ভালো জেমি ডে বাহিনীর। তবে স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবন ৯৩ মিনিটে অবিশ্বাস্য মিস না করলে ড্র নিয়েই দেশে ফেরা হতো বাংলাদেশের। সুফিলের ব্যাক হিল থেকে ছোট বক্সের ভেতরে বল পেয়েও দ্রুত সেই বলে শট না নিয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে যান জীবন। এতে বল তার নাগালের বাইরে চলে যায়। তখন এক আফগান ডিফেন্ডার জীবনকে ফাউল করলেও চীনা রেফারি পেনাল্টি দেননি। আবার অভিনয়ের জন্য জীবনকে হলুদ কার্ড দেখাননি। তবে ভার (ভিডিও অ্যাসিসট্যান্স রেফারি) থাকলে হয়তো পেনাল্টি পেয়ে যেত বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ প্রথম থেকে কাউন্টার অ্যাটাকে খেলতে গিয়ে ভুলটি করে। এতে চেপে ধরে আফগানিস্তান। পিছিয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ আক্রমণে উঠে এলে আফগানরা আর তেমন সুবিধা পায়নি। এতে স্পষ্ট বাংলাদেশ প্রথম থেকে চড়াও হয়ে খেললে হয়তো এমন হতো না রেজাল্ট।
বাংলাদেশ দল : রানা, বাদশা, ইয়াসিন, বিশ্বনাথ, রহমত, বিপলু (রবিউল ৫৬ মি.), সাদ উদ্দিন, ইব্রাহিম (সুফিল ৭৪ মি.), জীবন, সোহেল রানা, জামাল ভূঁইয়া।


আরো সংবাদ



premium cement