তিন কারণে ‘জয়োৎসব’ অস্ট্রেলিয়ার
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০
১৮ বছরে অস্ট্রেলিয়ার ‘প্রথম’। ২০০১ সালের পর প্রথমবারের মতো দলটি ঐতিহাসিক অ্যাশেজ জিতল ইংল্যান্ড সফরে। গত রোববার ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে রুদ্ধশ্বাস বিজয়ে পাঁচ দিনের ফরম্যাটের বহুল আলোচিত ট্রফি ধরে রাখা নিশ্চিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। দলটির ক্রিকেটারদের সাফল্যের বাধভাঙ্গা উন্মদনার দর্শক ইংল্যান্ড হোম ভেনুতে ৪ সিরিজ পর প্রথমবারের মতো পরাজয়ের দুঃস্বপ্ন হজম করেছে। এক ম্যাচ অবশিষ্ট থাকতেই অস্ট্রেলিয়ারদের দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসানে ‘এক্স ফ্যাক্টর’ ভূমিকায় উদ্ভাসিত পাঁচ কারণ নিয়ে এই প্রতিবেদন!
ত্রাণকর্তা স্মিথ
ব্যাটসম্যানদের ভরাডুবির সিরিজ হিসেবেই ইতিহাসে অন্তর্ভুক্তি ২০১৯ সালের অ্যাশেজের। তবে ব্যতিক্রম কেটেছে স্টিভেন্স স্মিথের ২২ গজের সময়। ব্যাট হাতে সাবেক এই দলনায়কের অবিশ্বাস্য সাফল্য মূল পার্থক্য গড়ে দিয়েছে দুই চির-প্রতিদ্বন্দ্বীর ঐতিহাসিক লড়াইয়ে। বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে দীর্ঘ ১২ মাসের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তনেই অসিদের তিনি নিশ্চিত করেন সফরকারীদের অ্যাশেজের উচ্ছ্বাসিত সূচনা। উদ্বোধনী টেস্টের দুই ইনিংসের শতকে উজ্জীবিত স্মিথ নতুন ইতিহাস রচনা করেছেন চতুর্থ খেলায়। তার ২১১ রানের সংগ্রহ ম্যানচেস্টারে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ। তিন টেস্টে ১৩৪ গড়ে স্মিথের ৬৭১ রান অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ১৮ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার প্রথম অ্যাশেজ বিজয় ইংল্যান্ড সফরে।
রুটের ব্যর্থতা
কুকের অবসরে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ইউনিটের চালকাশক্তির দায়িত্ব বর্তেছে রুটির ওপর। লংগার ফরম্যাটে তার পারফরম্যান্সের ইতিহাসও সমৃদ্ধ। তবে চলমান অ্যাশেজে ইংল্যান্ডের মূল ব্যাটসম্যান হিসেবে নৈপূণ্যের প্রত্যাশা পূরণে তিনি পুরোপুরিই ব্যর্থ হয়েছেন। হোম ভেনুর একটি টেস্ট সিরিজে তিনবার শূন্য রানে সাজঘরে প্রত্যাবর্তনের লজ্জা যোগ হয়েছে অধিনায়ক রুটের ক্যারিয়ারে। চার খেলায় ৩০ দশমিক ৯ গড়ে ২৪৭ রান সংগ্রহ রুটের। সর্বোচ্চ ৭৭। ব্যাট হাতে তার ব্যক্তিগত ব্যর্থতা নেতৃত্ব দিয়েছে ২০০১ সালের হোম ভেনুতে প্রথম ইংলিশ অধিনায়ক হিসেবে অ্যাশেজ হারের দুঃস্বপ্ন হজমে।
পেস বোলিং পলিসি
ছয় পেসারের জায়গা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজের দলে। যশ হ্যাজলউড, পিটার সিডল, জেমস প্যাটিনসন, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কুমিন্স ও মিচেল নাসের। টেস্ট ফরম্যাটে বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ পেস ইউনিটের মধ্যে থেকে প্রত্যেক ম্যাচের জন্য উপযুক্ত তিনজনকে বেছে নেয়ার রেসে তীক্ষè মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ান ম্যানেজমেন্ট। তাদের পারফেক্ট ‘রোটেশন’ পলিসি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে সফরকারীদের অ্যাশেজ ধরে রাখায়। অত্যন্ত যৌক্তিক প্রমাণিত হয়েছে একমাত্র বোলার হিসেবে কুমিন্সকে চার টেস্টে খেলার সিদ্ধান্ত। তার ২৪ উইকেট মুখ্য অবদান রেখেছে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ভরাডুবিতে। সিরিজের উদ্বোধনীতে অনুপস্থিত যশ হ্যাজলউডের অ্যাশেজের সূচনা লর্ডসের দ্বিতীয় খেলায়। তিন ম্যাচে ১৮ তিনি নিয়েছেন ১৮ উইকেট। দর্শক সারিতে বসেই অ্যাশেজের প্রথম তিন ম্যাচ কেটেছে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা পেসার মিচেল স্টার্কের। ম্যানচেস্টারে তাকে খেলানোর সিদ্ধান্তও সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। প্রথম ইনিংসে তার তিন উইকেট শিকারের দুর্দান্ত স্পেলে বিধ্বস্ত ইংল্যান্ডের মিডলঅর্ডার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা