২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অভিজ্ঞতা অর্জনই মূলমন্ত্র

-

কোথায় স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (সাই) অ্যাকাডেমি আর কোথায় বাংলাদেশের নবগঠিত মহিলা হকি দল। পার্থক্য যে রয়েছে তা বলে বোঝানোর কোনো দরকার নেই। বাংলাদেশের বিকেএসপি যেমন সাই অ্যাকাডেমিও তেমন। সারা বছর তারা অনুশীলনের ওপরই থাকে। বিপরীতে বাংলাদেশ মহিলা দল গত তিন বছরে অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছে মাত্র তিন মাস। আগে বিচ্ছিন্নভাবে অনুশীলন করলেও বাহফে নতুন কমিটি একটু মনোযোগ দেয়ায় একটানা মাসখানেক ক্যাম্প করতে পেরেছে দলটি। আর এরাই গতকাল সাই অ্যাকাডেমির বিপক্ষে হেরেছে ছয় গোলে। খেলোয়াড়, কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞরা স্বীকার করে নিলেন বাংলাদেশের মেয়েদের অভিজ্ঞতা অর্জনই হবে মূলমন্ত্র।
সাই অ্যাকাডেমির কাছে ছয় গোলে হারলেও মাঝে মাঝে আক্রমণে গিয়ে অভিজ্ঞতার অভাবে গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ডরা। আগের বার ঢাকায় আসা কলকাতা অ্যাথলেটিকস ক্লাবের চেয়ে সাই অ্যাকাডেমি দলটি অনেকাংশেই এগিয়ে। ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়রা নিজেরাই বুঝতে পেরেছেন কেন তারা পিছিয়ে। নমিতা কর্মকার সহজভাবেই স্বীকার করে নিলেন, ‘ওরা লং টাইম প্রাকটিস করেছে। আর আমরা স্বল্প সময়ে। ওদের দমের সাথে আমরা পেরে উঠিনি। দীর্ঘমেয়াদে প্রাকটিসে থাকলেও ওদের মতোই হতে পারব।’
দলের প্রধান কোচ তারিকুজ্জামান নান্নু ও সহকারী কোচ হেদায়েতুল ইসলাম রাজিব বলেন, ‘আজকে ওরা যে প্রেসারটা নিলো তাতে সহজেই বুঝতে পারল নিজেদের অবস্থান। সামনে আরো পাচটি ম্যাচ আছে। ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে পারবে দলটি। এই চাপে সিঙ্গাপুরের ম্যাচগুলো সম্বন্ধে একটা ধারণা পেয়ে গেল। ভবিষ্যতের জন্য সহজ হয়ে গেল। সবচেয়ে বেশি ফিজিক্যাল ফিটনেসেই পিছিয়ে পড়েছে মেয়েরা। ওরা অনেক পিসি পেয়েছে। কিন্তু কাজে লাগাতে পেরেছে মাত্র একটি। পিসি কিভাবে নিতে হয়ে সেটি এখনো আয়ত্বে নিতে পারেনি। সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ। ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে ওদের ভুলত্রুটিগুলো শুধরে দিবো।’
উপদেষ্টা কোচ একে বানসাল বলেন, ‘বাংলাদেশের মেয়েদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। শেষ পর্যন্ত তারা লড়াই করেছে। আমি গোলের হিসেব আনছি না। অতিথি দলটি সারা বছর প্রাকটিস করে। স্টেমিনায় পিছিয়ে গেছি আমরা। তাছাড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কোন সময় কি করা উচিত। প্রথম ম্যাচ বলেই এমন হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় কাজ করলে আশা করছি সিঙ্গাপুরে ভালো করবে বাংলাদেশ।’
মওলানা ভাসানীতে গতকাল প্রথম ম্যাচে প্রথম কোয়ার্টারে গোলশূন্য থাকে উভয়দল। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে তিন গোল, তৃতীয় কোয়ার্টারে দুই গোল ও শেষ কোয়ার্টারে এক গোল হজম করে বাংলাদেশ। সাই অ্যাকাডেমির হয়ে ভিনামারাতা দুটি, লালাওন, তানিয়া, লোটিয়া ও লালরুয়াতফেলি একটি করে গোল করেন। আগামীকাল বিকেল ৪টায় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দল দুটি।

 


আরো সংবাদ



premium cement