২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আবাহনীর চেয়ে বড় সাফল্য মোহামেডানের

-

এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে মোহামেডান : ১৯৮৮/৮৯ গ্রুপ পর্ব : মোহামেডান ০-০ স্যান্ডার্স ( শ্রীলঙ্কা); মোহামেডান ২-১ পিরুজি ক্লাব (ইরান); চূড়ান্ত পর্ব : মোহামেডান ১-০ এপ্রিল ২৫ ( উত্তর কোরিয়া); মোহামেডান ২-২ আল সাদ ( কাতার); মোহামেডান ১-৩ আল ইত্তেফাক ( সৌদি আরব); মোহামেডান ১-২ পাহাং ( মালয়েশিয়া); ১৯৯০/৯১ গ্রুপ পর্ব : মোহামেডান ৫-০ লাগোনস ( মালদ্বীপ); মোহামেডান ২-১ সালগাওকর (ভারত); চূড়ান্ত পর্ব : মোহামেডান ১-১ ব্যাংকক ব্যাংক ক্লাব ( থাইল্যান্ড); মোহামেডান ০-০ এপ্রিল ২৫ ( উত্তর কোরিয়া); মোহামেডান ১-১ ইস্তেখলাল (ইরান)।
ষ রফিকুল হায়দার ফরহাদ
এই মুহূর্তে যাবতীয় মাতামাতি ঢাকা আবাহনীকে নিয়ে। তারা যে ইতিহাস গড়েছে। প্রথমবারের মতো খেলছে এএফসি কাপের নক আউট পর্ব বা ইন্টার জোন প্লে-অফ সেমিফাইনালে। এএফসি কাপ হিসেবে এটি আবাহনীর রেকর্ড বা ইতিহাস গড়া। তা ঠিক আছে। তবে এএফসির ক্লাব ফুটবলের ইতিহাস টানলে আবাহনীর চেয়ে বড় সাফল্য ঢাকা মোহামেডানের। সাদা কালো শিবির যে এএফসি ক্লাব ফুটবলের আরো বড় টুর্নামেন্ট এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বে খেলেছিল। তা একবার নয়, দুইবার। মোহামেডানের সেই অর্জনকে আবাহনীর চেয়ে বড় বলে উল্লেখ করলেন এবার শেখ জামালের কোচের দায়িত্ব পালন করা এবং সে সময় মোহামেডানে খেলা ডিফেন্ডার শফিকুল ইসলাম মানিক। তার মতে, তখন আমরা গ্রুপ পর্বে হারিয়েছি ইরানের পিরুজি ক্লাবকে। চূড়ান্ত পর্বে এশিয়া চ্যাম্পিয়ন ক্লাব আল সাদের সাথে ড্রয়ের কৃতিত্ব এবং উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল ২৫-এর বিপক্ষে জয়।’ অবশ্য তখন এএফসির ক্লাব ফুটবলে একটি আসরই হতো। ছিল না এএফসি কাপ বা বন্ধ হয়ে যাওয়া এএফসি প্রেসিডেন্টস কাপ। মাঝে কাপ উইনার্স কাপ হলেও সেটিও বন্ধ। এখন এএফসি কাপ এশিয়ান ক্লাব ফুটবলে দ্বিতীয় সারির আসর। প্রথম স্তরের টুর্নামেন্ট এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
১৯৮৮/৮৯ মওসুমে ইরানের পার্সেপলিস বা পিরুজি ক্লাবকে হারিয়ে এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে মোহামেডান। ঢাকায় অনুষ্ঠিত গ্রুপ ম্যাচে মোহামেডান প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে শ্রীলঙ্কার স্যান্ডার্স ক্লাবের সাথে। এই দলের বিপক্ষে পিরুজির জয় ছিল ৫-০তে। ফলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য শেষ ম্যাচে ইরানের দলটির দরকার ছিল ড্র। আর মোহামেডানের জয়। সেই ম্যাচে বাংলাদেশী ক্লাবটির ২-১ গোলে জয়। এরপর চূড়ান্ত পর্বেও ভালো রেজাল্ট তাদের। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচেই ১-০তে হারিয়ে দেয় উত্তর কোরিয়ান ক্লাব এপ্রিল ২৫ ক্লাবকে। পরের ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র কাতারের শক্তিশালী ক্লাব আল সাদের সাথে। এই আল সাদই সেবার শিরোপা জয় করে। তৃতীয় ম্যাচে মোহামেডান সৌদি আরবের আল ইত্তেফাকের কাছে ১-৩ গোলে হেরে বসে। শেষ ম্যাচে তাদের ১-২ এ রহস্যজনক হার মালয়েশিয়ার পাহাং এফ এ’র কাছে। মোহামেডানের তখনকার ইরানি কোচ নাসির হেজাজির সন্দেহ ছিল, ফুটবলাররা ইচ্ছে করে হেরেছে সেই ম্যাচে। পাঁচ দলের গ্রুপে বাংলাদেশের ক্লাবটি হয়েছিল চতুর্থ।
১৯৯০/৯১ সিজনে মোহামেডান ফের চূড়ান্ত পর্বে উঠে ভারতের সালগাওকর ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়ে এবং মালদ্বীপের ক্লাব লাগোনসকে ৫-০তে হারিয়ে। এরপর চূড়ান্ত পর্বে তিন ম্যাচেই অপরাজিত মোহামেডান। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ব্যাংক ক্লাবের সাথে ১-১, উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল ২৫-এর সাথে গোলশূন্য এবং শেষ ম্যাচে ইরানের ইস্তেখলাল ক্লাবের সাথে ১-১ এ ড্র। এই ইস্তেখলালই সেবারের শিরোপা জয়ী। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সে আসরের শেষ ম্যাচে মোহামেডান জিতলে তারাই যেত সেমি ফাইনালে। চার দলের মধ্যে মোহামেডানের অবস্থান তৃতীয়। সাদা কালোদের সাথে সমান তিন পয়েন্ট নিয়েও গোল পার্থক্যে সেমিতে যায় উত্তর কোরিয়ান ক্লাব।


আরো সংবাদ



premium cement