২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাকিবুল ফয়সাল আরাফাতে আগামীর সম্ভাবনা

-

এবারের বাংলাদেশ প্রিময়ার লিগে গতি, স্কিল, নিখুঁত মুভমেন্ট দিয়ে আলো ছড়িয়েছেন বেশ কয়েকজন তরুণ। ফুটবল বোদ্ধারা তাদের নিয়ে আগামী দিনের স্বপ্ন দেখছেন। স্থানীয় কোচরাও এই তরুণদের ভবিষ্যৎ জাতীয় দলের সমৃদ্ধির আকাক্সক্ষার প্রতীক হিসেবেই দেখছেন। পাইপলাইন হিসেবে তাদের মধ্যে দেখছেন দারুণ পাওয়ার সম্ভাবনা।
রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটির রাকিবুল ইসলাম ও সোহেল রানা, আরামবাগ ক্রীড়া সঙ্ঘের মানিক হোসেন, নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের আশরাফুল ইসলাম, সাইফ স্পোর্টিংয়ের ইয়াসিন আরাফাত, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের বিপলু আহমেদÑ এই তরুণদের লিগের পারফরম্যান্স কোচদের নজর কেড়েছে। রহমতগঞ্জের হয়ে খেলা ২২টি লিগ ম্যাচে রাকিবুলের গোল মোটে তিনটি।
তবে আরামবাগের কোচ মারুফুল হক ১৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে গোলের পরিসংখ্যান দিয়ে মাপছেন না মোটেও। মাঠে তার প্রতিভা নিয়ে বেজায় খুশি এই কোচ। ভুয়সী প্রশংসায় ভাসালেন তাকে, ‘ওর ক্রসগুলো নিখুঁত। বলের ওপর ওর নিয়ন্ত্রণ, মুভমেন্ট আমার কাছে এককথায় আউটস্ট্যান্ডিং। সত্যি বলতে এত অল্প বয়সে ওর মতো দক্ষ খেলোয়াড় আমাদের এখানে সচরাচর দেখা যায় না।’
রাকিবুলের ক্লাব সতীর্থ সোহেলেও মুগ্ধ মারুফুল। উয়েফা এ লাইসেন্সধারী এই কোচ জানালেন সোহেলের নিখুঁত পাস দেয়ার ক্ষমতা অসাধারণ, ‘ওর মিস পাস দেয়ার রেট একেবারেই কম। বক্স টু বক্স, ম্যান টু ম্যান দারুণ খেলে। ওরা (রাকিবুল-সোহেল) যদি সামনের দিনগুলোয় ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে, তাহলে আগামীতে আরো দারুণ হয়ে উঠবে। মাঠে জুটি অনেক জরুরি। মিডফিল্ডার ও ফরোয়ার্ডদের মাঝে গভীর বোঝাপড়া থাকতে হবে। চোখের ইশারায়, শারীরিক মুভমেন্টে বুঝতে হবে কাকে কোথায় থাকা উচিত। ওদের মাঝে এটি চমৎকার। সমঝোতা একেবারেই পারফেক্ট।’
আরামবাগের মিডফিল্ডার মানিক নজর কেড়েছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ জুলফিকার আহমেদ মিন্টুর। ‘হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসেবে তাকে সবসময় সব পজিশনে পাওয়া যায়। দ্রুত বল রিকভার করা এবং কাছের খেলোয়াড়টিকে দ্রুত পাস দেয়ার ক্ষেত্রে সে দারুণ। আমার বিশ্বাস মারুফ ভাইয়ের অধীনে (আরামবাগ কোচ) সে আরো ভালো ফুটবলার হয়ে উঠবে। এ ছাড়া নোফেল স্পোর্টিংয়ের আশরাফুল, সাইফ স্পোর্টিংয়ের ফয়সাল ও আরাফাতের কথা বলতে পারি। তারাও অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। সঠিক পরিচর্যায় ওরা আরো ভালো করবে।’
সাইফের আক্রমণভাগে খেলা ১৭ বছর বয়সী ফয়সাল লিগে করেছেন দু’টি গোল। ২০১৭ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানের জালে হ্যাটট্রিক করে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। ১৬ বছর বয়সী ডিফেন্ডার আরাফাত লিগে ২৪ ম্যাচের মধ্যে ২৩টিতে দলের রক্ষণভাগ সামলেছেন দারুণভাবে। শেখ রাসেলের মিডফিল্ডার বিপলু আহমেদ অপরিচিত মুখ নন। জাতীয় দলের হয়ে খেলা ২০ বছর বয়সী এই তরুণ লিগে করেছেন চার গোল। দুই পায়ে সমানভাবে খেলতে পারলে বিপলু পরিপূর্ণ একজন ফুটবলার হয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস দলটির কোচ সাইফুল বারী টিটুর, ‘সে লিগের সব ম্যাচ খেলেছে। গতি আছে এবং পরিশ্রমী খেলোয়াড়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলে যাওয়ার মতো দম আছে বলে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য। তবে তাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে আরো মনোযোগী হতে হবে। দুই পায়ে সমানভাবে খেলতে পারলেই পরিপূর্ণ ফুটবলার হয়ে উঠবে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement