২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভুল হলেও আক্ষেপ হচ্ছে না ধর্মসেনার!

-

বিশ্বকাপের ফাইনালের ৫০তম ওভারে গাপটিলের ওভার থ্রো থেকে ৬ রানের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে স্বীকার করে নিলেন শ্রীলঙ্কান আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। তবে ৫ রানের জায়গায় এক রান বেশি বরাদ্দের ঘটনা নিয়ে তিনি কোনোরকমের আফসোস করতে রাজি নন। কারণ হিসেবে ৬ রানের ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত’ সম্মিলিতভাবে নেয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ধর্মসেনা। হেড ফোনে তার সাথে লেগ আম্পায়ার মারিয়াসের আলোচনা ম্যাচের অন্যান্য অফিসিয়ালদের কানেও পৌঁছে যায় বলেই উল্লেখ করেন সাবেক লঙ্কান ক্রিকেটার।
শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যম দ্য সানডে টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ধর্মসেনা বলেন, ‘টিভি রিপ্লে দেখে কথা বলা অনেক সহজ। তবে এটা ঠিক ভুল ছিল ৬ রানের সিদ্ধান্ত। রিপ্লে দেখার পর আমিও বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি। কিন্তু মনে রাখা প্রয়োজন মাঠে টিভি রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। ফলে ৬ রানের বরাদ্দের বিষয় নিয়ে কোনো আক্ষেপ হচ্ছে না। সর্বোপরি আইসিসিও আমার তাৎক্ষণাৎ প্রশংসা করেছে।’ আইসিসির বাইলজের ১৯ নম্বর সেকশনের ৮ নম্বর ধারা অনুয়ায়ী ফিল্ডারের বল থ্রো করার আগে দুই ব্যাটসম্যানের প্রান্ত বদল সম্পন্ন হলেই কেবল তা রান হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিধান রয়েছে। বেন স্টোকস ও আদিল রশিদ দ্বিতীয় রান পূর্ণ করার আগে গাপটিল বল কুড়িয়ে থ্রো করলেও তা এড়িয়ে যায় মাঠে উপস্থিতি আম্পায়ারদের নজর। ৫ রানের জায়গায় ৬ রান যুক্ত হয় ইংল্যান্ডের সংগ্রহ। ৫০তম ওভারের চতুর্থ বলের ওভার থ্রো নাটকীয়তা মুখ্য ভূমিকা রেখেছে ফাইনাল সুপার ওভারে গড়ানোয়। আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের ফলে শেষ দুই বলে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন দাঁড়ায় ৩ রান। স্ট্রাইকে বেন স্টোকস। অন্য দিকে ইংলিশদের সংগ্রহে ৫ রান হলে শেষ ২ বলে প্রয়োজন পড়ত ৪ রান। নন স্ট্রাইকে চলে যেতো হতো স্বাগতিকদের জয়ের নায়ক তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকসকে।
সেমিফাইনালে ইংলিশ ওপেনার জ্যাসন রয়কে আউট দেয়ার ক্ষেত্রে মারাত্মক ভুল করায় চরম সমালোচনার মুখে পড়েন লঙ্কান আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলা ফাইনালে তার আরেকটি ভুলে তোলপাড় উঠেছে ক্রিকেটাঙ্গনে। জোর দাবি উঠেছে ওভার থ্রোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারের। ধর্মসেনা বলেন, ‘কেবলমাত্র আউটের বিষয় সংশ্লিষ্ট থাকলেই থার্ড আম্পায়ার কল করার বিধান রয়েছে। আমার সামনে কোনো সুযোগ ছিল না রিল্পে দেখে সিদ্ধান্ত দেয়ার। এ কারণে আমি লেগ আম্পায়ারের সাথে পরামর্শ করেছি। আমাদের দুইজনের কথোপকথন ম্যাচ পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের কানেই পৌঁছেছে। সবাই নিশ্চিত করেছেন দ্বিতীয় রান পরিপূর্ণ হয়েছে। তখন আমি ৬ রানের সিদ্ধান্ত দিয়েছি।’


আরো সংবাদ



premium cement