২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

শীলার চাওয়া

-

আসরের সেরা খেলোয়াড় তিনি। অনূর্ধ্ব-১৪ জেএফএ কাপের চূড়ান্ত পর্বে ৮ গোল করে এই পুরস্কার জয় করেন চ্যাম্পিয়ন রংপুরের অধিনায়ক শামীমা আক্তার শীলা। পুরস্কার হাতে তার প্রতিক্রিয়া জানতে যখন প্রশ্ন করা হলো, এই মুহূর্তে কার কথা মনে পড়েছে? এর উত্তর দেয়ার আগেই পানিতে চোখ ভিজে গেল শীলার। জানান, ‘আমার খুব ভালো লাগত যদি আমার বাবা এবং মা আমার এই অর্জনের সময় পাশে থাকতেন। কিন্তু তারা কেউ নেই।’ তারা কি মারা গেছেন? ‘না দুই জনই বেঁছে আছেন। কিন্তু থাকেন সম্পূর্ণ আলাদা। ভুল বুঝাবুঝিতে বিচ্ছেদ। এখন দুইজনেরই আলাদা আলাদা বিয়ে হয়েছে।’ চোখের পানি মুছে শীলা জানান, এখন আমার লক্ষ্য ফুটবল খেলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আবার আমার আব্বা এবং আম্মাকে একত্র করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দ করা।’ আমার বাবা ঢাকাতেই থাকেন। চাকরি করেন গার্মেন্টেসে।
রংপুরের পালিচরা এম এন স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী শীলা। বড় হচ্ছেন নানীর কাছে থেকে। তাদের সাথে আছেন বড় ভাই নাঈমও। ভাই কাজ করেন ইটের ভাটায়। তার নানী তাকে ফুটবলে দিতেই চাইছিলেন না। লক্ষ্য ছিল গার্মেন্টসে দেবেন। কিন্তু কোচ মিলন খান উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কামাল সাহেবের সহায়তায় রাজি করান শীলার নানীকে। এরপরই ফুটবলে আসা স্ট্রাইকার শীলার। কোচ মিলনের বক্তব্য, ‘শীলার মধ্যে সুযোগ পাওয়া মাত্রই গোল করার দক্ষতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। কাট করেই দ্রুত পোস্টে শট নেয় সে।’
শীলাদের এলাকা থেকেই উঠে এসেছেন জাতীয় দলের স্ট্রাইকার সিরাত জাহান স্বপ্না। দেশে স্বপ্নাই তার আদর্শ। আর বিদেশে লাওনেল মেসি। এখন এই উঠতি ফুটবলারের লক্ষ্য বাংলাদেশ দলে খেলা। সেই যোগ্যতা তার আছে বলে মন্তব্য কোচের। শীলা জানান, ‘স্বপ্না আপুর খেলার স্টাইল আমার খুব পছন্দ।’ পুরো আসরে শীলার গোল ১১টি। বাছাই পর্বে তিনটি। এবং চূড়ান্ত পর্বে ৮টি। এর মধ্যে হ্যাটট্রিক আছে দু’টি।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement