২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আফগানিস্তান যেতে আপত্তি

-

১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু বাংলাদেশের ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের মিশন। গতবারের মতো এবারো তাদের চারটি করে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ম্যাচ। চারটি ম্যাচ তারা খেলবে দেশের স্টেডিয়ামে। বাকি চারটি খেলা বিদেশের মাটিতে। কাতার, ওমান , ভারতের মাটিতে এবং আফগানিস্তানের হোম ভেনুতে। লাল-সবুজদের এবারের খেলা শুরুই হচ্ছে অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়ে। ১০ সেপ্টেম্বর তাদের দেশের বাইরে খেলতে হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এই ম্যাচ কোথায় হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আফগানদের হোম ম্যাচ মানে তাদের দেশেই খেলা হওয়ার কথা। কিন্তু নিরাপত্তার অভাবে আফগানিস্তানে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয় না। আর বাংলাদেশেরও কোনো ইচ্ছে নেই গৃহযুদ্ধে লিপ্ত দেশটিতে গিয়ে ম্যাচ খেলতে। বাফুফে সূত্রে জানা গেছে তা। বাফুফে সেক্রেটারি আবু নাঈম সোহাগের বক্তব্যও তাই। ফিফা যদি আফগানিস্তানে ম্যাচ আয়োজনের মতো নিরাপত্তা না দেখে তাহলে নিরপেক্ষ কোনো দেশে হবে খেলা। তবে ফিফা যদি রাজধানী কাবুল বা অন্য কোনো শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ম্যাচ আয়োজনের সবুজ সঙ্কেত দেয় তাহলে বাংলাদেশসহ অন্য চার দেশকে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব খেলতে যেতেই
হবে আফগানিস্তানে। বাফুফে সেক্রেটারির বক্তব্যও তাই। ‘যদি ফিফা নির্দেশ দেয় তাহলে তো আমাদের যেতেই হবে আফগানিস্তানে। তবে আমাদের ইচ্ছে নেই।’ একটি দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে যত প্রশ্নই তোলা হোক না কেন ফেডারেশন অব ইন্টারন্যানাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা) ওই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করলে কোনো আপত্তিই টিকে না। ২০১১ সালে এভাবেই ব্রাজিল বিশ্বকাপের প্রাক বাছাই খেলতে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলকে পাকিস্তান যেতে হয়েছিল। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দলও বাংলাদেশে এসেছিল রাশিয়া বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব খেলতে। তা ফিফার কড়া নির্দেশে। সে উদহারণও সামনে আনলেন বাফুফে সেক্রেটারি। যেখানে নিরাপত্তার অভাবের অজুহাত তুলে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল বাতিল করেছিল বাংলাদেশ সফর। ফুটবলের এই সর্বময় সংস্থা পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের নিরাপত্তায় কোনো গলদ দেখেনি। আসলে এখানেই পার্থক্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবং ফিফার।
আফগানিস্তান অবশ্য ২০১৫ সালের বাছাই পর্ব খেলেছিল ইরানে। তারা সিরিয়ার সাথে প্রথম ম্যাচ মাশহাদ শহরে। জাপানের সাথে তেহরানের আজাদী স্টেডিয়ামে এবং সিঙ্গাপুরও কম্বোডিয়ার সাথে তেহরানের তাখতি স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলেছিল। পরে তারা এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের তৃতীয় রাউন্ডের সব ম্যাচ খেলেছিল তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবের পামির স্টেডিয়ামে। আফগানিস্তানের ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের প্রাক বাছাইয়ের ভেনু ছিল তাজিকিস্তানের স্টেডিয়াম। ২০১০ সালেও তারা অতিথি দলকে খেলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তাজিকিস্তানের পামির স্টেডিয়াম। ২০০৬ সালে আফগানিস্তান অবশ্য তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে তাদের বিশ্বকাপের প্লে-অফ কোয়ালিফিকেশনের হোম ম্যাচ খেলেছিল রাজধানী কাবুলে। এবার আফগানরা কোথায় তাদের হোম ভেনু করে তা দেখার অপেক্ষায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বাংলাদেশ তাদের শেষ চার ম্যাচের তিন ম্যাচই খেলবে দেশের মাটিতে।

বিশ্ব্কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের খেলার ফিকশ্চার
১০ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তান-বাংলাদেশ
১০ অক্টোবর বাংলাদেশ-কাতার
১৫ অক্টোবর ভারত-বাংলাদেশ
১৪ নভেম্বর ওমান-বাংলাদেশ
২৬ মার্চ বাংলাদেশ-আফগানিস্তান
৩১ মাচ কাতার-বাংলাদেশ
৪ জুন বাংলাদেশ-ভারত
৯ জুন বাংলাদেশ-ওমান।


আরো সংবাদ



premium cement