২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘হাস্যকর’ বাউন্ডারি বিধান!

-

ক্রিকেট অঙ্গনে তোলপাড় উঠেছে বাউন্ডারির হিসেবে আইসিসির জয়ী নির্বাচনের নিয়ম নিয়ে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বিধান হাস্যকর ও অযৌক্তিক দাবি করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকদের অনেকেই। রোববার লন্ডনের লর্ডসে ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের শ্বাসরুদ্ধর ফাইনালের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে অংশগ্রহণকারী দুই দলের বাউন্ডারি সংখ্যার ভিত্তিতে। চার ও ছক্কা বিচারে নিউজিল্যান্ডের (১৬টি) চেয়ে এগিয়ে থাকায় ইংল্যান্ড (২২টি) জিতেছে ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে টাইয়ের ফাইনাল গড়ায় সুপার ওভারে। কিন্তু দুই দলের মধ্যকার ১২ বলের খেলাও টাইয়ে সমাপ্ত হয়। ফলে টুর্নামেন্টের জন্য নির্ধারিত আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী বেশিসংখ্যক বাউন্ডারি হাঁকানো দল ইংল্যান্ড মেতেছে বিশ্বজয়ের উৎসবে। তবে দলটির সাফল্যের ভিত্তি নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটার ও বিশ্লেষকদের অনেকেই।
বাউন্ডারি হিসেবে আইসিসির বিশ্বকাপজয়ী নির্ধারণের পদ্ধতিতে ‘ভৌতিক’ তকমা দিয়ে পরিবর্তনের আহ্বান রেখেছে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান সুপারস্টার ব্রেট লি। নিজস্ব টুইটার অ্যাকাউন্টের পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বলতে বাধ্য হচ্ছি ভৌতিক এক বিধানের ভিত্তিতে চ্যাম্পিয়ন দল নির্বাচন করা হয়েছে। নিয়মটির পরিবর্তন অপরিহার্য।’ আইসিসির বাউন্ডারি নিয়মকে কালো আইন বলেই অ্যাখ্যায়িত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার ডিন জোন্স। নিজস্ব অভিমতের পেছনে যুক্তির উল্লেখের বেলায় তিনি ডিএল মেথডের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত রান ও উইকেটের বিবেচনাকে সামনে এনেছেন। জোন্স বলেছেন, রান ও উইকেট পতনের ভিত্তিতে চূড়ান্ত হয় ডিল মেথডের হিসাব। অথচ ফাইনালের মতো একটি ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে বেলায় শুধু বাউন্ডারিকে বিবেচনার যৌক্তিকতা কতটুকু? আমার মতে এটি ‘কালো আইন’।
আইসিসির বাউন্ডারি বিধানকে স্রেফ কৌতুক হিসেবে উল্লেখ করেছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিস। টুইটার মেসেজে তিনি লিখেছেন, সাবাস আইসিসি! দারুণ এক কৌতুকের অন্তর্ভুক্তি ঘটল ক্রিকেটের ইতিহাসে। বাউন্ডারি নিয়মে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় পতিত নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটারদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে আইসিসি। ইংল্যান্ডের কাছে ফাইনালের পরাজয়কে প্রতারণা হিসেবে উল্লেখ করেছেন সাবেক কিউই পেসার ডিওন ন্যাশ। নিজ টুইটার অ্যাকাউন্টের পোস্টে তিনি বলেন, আমরা প্রতারিত হয়েছি। পুরোপুরি ‘হাস্যকর’ এক বিধানের ভিত্তিতে আমাদের শিরোপাবঞ্চিত করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement