২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

যেখানে সবসময় ব্যর্থ কোহলি

-

চলতি বিশ্বকাপে কোনো সেঞ্চুরি না পেলেও ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিরাট কোহলি মোট ৯টি ম্যাচে সর্বসাকুল্যে রান করেছেন ৪৪৩ (গড় ৫৫.৩৮)। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হলেন। আসলে অনেকেই খেয়াল করেন না যে তিনটি বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে মোট ৬টি ম্যাচে কোহলির মোট রান মাত্র ৭৩। অর্থাৎ গড় প্রায় ১২। বিশ্বকাপের তিনটি সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ পেয়ে কোহলির স্কোর যথাক্রমে ৯, ১, ১। আমেরিকায় ৯১১ হলে এমার্জেন্সি নম্বর। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত বুধবার বিকেল থেকেই ব্যাপক ট্রোল শুরু হয়ে যায়।
২০১১ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে বিরাট কোহলি ৩৫ রানে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়েছিলেন দিলশানের বলে। এই ৩৫ হলো বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে কোহলির সর্বাধিক স্কোর। ২০১৫ সালের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে ১৩ বল খেলার পর মিচেল জনসনের বলে হ্যাডিনের হাতে ক্যাচ তুলে তিনি মাত্র এক রানে আউট হন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২১ বল খেলে কোহলি করেছিলেন ৯ রান। আর বুধবার ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার ঝুলিতে মাত্র এক রান। মাত্র ছ’টি বলের মোকাবেলা করে বিরাট এলবিডব্লিউ হন ট্রেন্ট বোল্টের বলে।
উল্টা দিকে ম্যাট হেনরি পরপর রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে দিয়ে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের টপ অর্ডারের কোমর ভেঙে দেন। বরং যে মিডল অর্ডার ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা নিয়ে গোটা বিশ্বকাপে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা চলেছিল তারাই শেষ অবধি ভারতকে লড়াইয়ে রেখেছিল। একদা ক্যাপ্টেন কুল রূপে অভিহিত মহেন্দ্র সিং ধোনি উল্টো দিকে রবীন্দ্র জাদেজার সাথে জুটি বেঁধে ভারতের জয়ের আশা অনেকটাই জাগিয়ে তুলেছিলেন। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবল ভারতের। আর সেমিফাইনালে ক্যাপ্টেন কোহলি কোনো অবদানই রাখতে পারলেন না।

 


আরো সংবাদ



premium cement