২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ছুটির আমেজে টাইগাররা

-

সাউদাম্পটন থেকে আফগানিস্তানকে হারানোর উচ্ছ্বাস নিয়ে বার্মিংহামে পৌঁছায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন নিয়ে এই শহরের এজবাস্টন স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হবে তারা। গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেলে বার্মিংহামে পা রাখেন ক্রিকেটারেরা।
বিরাট কোহলির দলকে মোকাবেলার আগে পুরো এক সপ্তাহ পাচ্ছেন মাশরাফি মর্তুজারা। এই লম্বা সময় পেলেও সাত দিনই অনুশীলনের প্রয়োজন মনে করছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই চার দিনের ছুটি পেয়েছেন ক্রিকেটারেরা। মাশরাফি-তামিমরা নিজেদের মতো করে সময় কাটাবেন এই কয়েক দিন। টানা ম্যাচ খেলা ও ভ্রমণ ক্লান্তির কথা ভেবে কয়েক দিন বিশ্রাম থাকবেন খেলোয়াড়েরা। আয়ারল্যান্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে মাশরাফির। এ ছাড়া আরো কয়েকজন যাবেন লন্ডনে। সেখানে আত্মীয়স্বজনদের সাথে সময় কাটাবেন তারা। এই সময় দলীয় কোনো কার্যক্রম থাকবে না। কেউ চাইলে টিম হোটেলে থাকতে পারেন, কিংবা ঘুরতে যেতে পারেন যেখানে ইচ্ছে। সূচি দেখে ছুটির এই সময় ঠিক হয়েছিল বেশ আগেই। ছুটি শেষে বার্মিংহামে তিন দিন অনুশীলন করবে টিম বাংলাদেশ।
টিম হোটেল থেকে প্রায় এক সাথেই বের হলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও তামিম ইকবাল। তবে দুইজনের গন্তব্য দুই দিকে। মাশরাফি যাচ্ছেন বার্মিংহাম, তামিম লন্ডনে। লন্ডন বরাবরই তামিমের প্রিয় শহর। ভালো লাগে এই শহরের জীবনযাত্রা। বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত নিজের পারফরম্যান্সে অতৃপ্ত ওপেনার দুই দিনের জন্য যাচ্ছেন ভালো লাগার শহরে। লন্ডনের পথে তামিমের সঙ্গী মুস্তাফিজুর রহমানও। তবে সেখানে গিয়ে বাঁহাতি পেসার সময় কাটাবেন নিজের মতো করে। সাকিবও স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে এখন লন্ডনে।
সঙ্গিনী ও ছেলেকে নিয়ে আলাদা গাড়িতে লন্ডন যাচ্ছেন কোর্টনি ওয়ালশ। নিজের ছেলেকে পাশে নিয়ে শুভকামনা জানালেন মুস্তাফিজকে।
লন্ডন বা এ রকম বড় শহরে ছুটি কাটানো খুব একটা পছন্দ নয় মাশরাফির। দলের সাথে বার্মিংহাম যাচ্ছেন অধিনায়ক। সেখান থেকে যাবেন শহর থেকে দূরের এক গ্রামে। স্ত্রী, দুই সন্তান, আর ছোট ভাই হবেন সঙ্গী। সময় কাটাবেন প্রকৃতির কাছে নির্জনতায়। ব্রিস্টলে বন্ধুর কাছে যাওয়ার কথা মোহাম্মদ মিঠুনের। আবু জায়েদের যাওয়ার কথা লন্ডনে।
মাহমুদুল্লাহর ইচ্ছা থাকলেও আপাতত ঘুরে বেড়ানোর জো নেই। কাফ মাসলে চোট পাওয়ায় হোটেল থেকে টিম বাসে উঠলেন ক্রাচে ভর করে। বার্মিংহামেই থাকতে হবে তাকে। স্ত্রী-সন্তানের সাথে বার্মিংহামের যাত্রী মুশফিকুর রহীমও। তবে তার কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানা যায়নি।
সৌম্য সরকার বার্মিংহামেই থাকবেন। যাওয়ার আগে জানালেন, মানসিকভাবে তাদের ফুরফুরে হয়ে উঠতে সাহায্য করবে এই ছুটি, ‘সবশেষ ম্যাচটি ভালো ছিল, ভালোভাবে জিতেছি। সামনে আর দু’টি ম্যাচ আছে প্রাথমিক পর্বে। এখন কয়েক দিনের ছুটি আছে। সবাই মানসিকভাবে তারতাজা ও চাঙা হয়ে ফিরব আশা করি।’
বিশ্বকাপের মাঝেও ক্রিকেটারদের এই ছুটির ব্যাখ্যায় ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন জানান, ‘যেহেতু অনেক লম্বা বিরতি আছে, একটু ছুটি ছেলেদের প্রাপ্য। খুবই ক্লান্তিকর একটা টুর্নামেন্ট চলছে। টানা খেলা, অনুশীলন। মানসিক চাপ অনেক। আমরা চাই ছেলেরা কয়েক দিন একটু নিজেদের মতো থাকুক। ক্রিকেট থেকে বাইরে থেকে নিজেদের মতো করে থাকুক। বড় দু’টি ম্যাচ আছে সামনে। খুবই গুরুত্বপূর্ণ দু’টি ম্যাচ। ছেলেরা যতটা সম্ভব নির্ভার থাকুক। যতটা সম্ভব মানসিকভাবে ফুরফুরে থাক। ছুটি শেষে যখন ফিরবে, ম্যাচ দু’টির জন্য মানসিকভাবে শতভাগ তৈরি থাকবে। ছোটখাটো ইনজুরি সমস্যা যাদের আছে, আশা করি সেটাও কেটে যাবে।’


আরো সংবাদ



premium cement