প্রশ্নবিদ্ধ ইংল্যান্ডের টেম্পারমেন্ট
- ক্রীড়া ডেস্ক
- ২৫ জুন ২০১৯, ০০:০০
এবারের বিশ্বকাপ শুরুর আগ পর্যন্ত ফেবারিটের তালিকায় রাখা হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। সেই সম্ভাব্য শিরোপাজয়ীদের মতো তাদের শুরু। তা পাকিস্তানের বিপক্ষে হার সত্ত্বেও; কিন্তু ২১ জুন শ্রীলঙ্কার কাছে তাদের পারজয় এমন বিপদে ফেলেছে যে, এখন তাদের সেমিতে খেলাই অনিশ্চতায়। তাদের পরের ম্যাচগুলো এই আসরের অন্যতম সেরা তিন দল ভারত, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এই কঠিন পরীক্ষায় আজ তাদের সামনে বর্তমান এবং পাঁচবারের বিশ্বসেরা অস্ট্রেলিয়া। ইংলিশদের শেষ চারে যেতে হলে এই তিন ম্যাচের কমপক্ষে একটিতে জয় পেতেই হবে। এ দিকে ইংল্যান্ডের রান তাড়া করার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়কেরা। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার ২৩২ রান টপকাতে গিয়ে যেভাবে নাকাল হয়েছে তাতেই তাদের টেম্পারমেন্ট নিয়ে আঙুল তুলেছেন নাসির হোসেন, মাইকেল ভন ও মাইক আথারটন। এই দলের পক্ষে কি অসিদের ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে ব্যাট চালিয়ে রান তাড়া করা সম্ভব? বিশেষ করে গত ম্যাচে মামুলি রানেই তারা ডিঙ্গাতে না পারায়। লঙ্কানরা সে খেলায় জয় তুলে নেয় ২০ রানে।
অথচ এই দলই গত চার বছরে এমন ব্যাটিং করেছে যেখানে কোনো বোলিংই তাদের আতঙ্কগ্রস্ত করতে পারেনি। এ দিকে ইংল্যান্ডের সহ-অধিনায়ক জো বাটলার জানালেন, ‘আমরা এখনো খুঁজে ফিরছি গত খেলায় লঙ্কানদের কাছে হারের কারণ।’ তার মতে, গত ম্যাচে যা ঘটেছে তা সত্যিই হতাশাজনক। আমরা তাদের অল্প রানেই আটকে দিয়েছিলাম, যা ছিল চেজ করার মতো। আসলে আমাদের আরো ইতিবচাক হওয়া উচিত ছিল সেই ম্যাচে, গত চার বছরে কিন্তু আমাদের এই অবস্থা ছিল না।’ জানান, ‘আমরা যেভাবে বিগত সময়ে খেলেছিলাম সেটিই আমাদের সাফল্যের নেপথ্য। তবে এখন সে ছন্দ অনুপস্থিত। প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা একটি দল হিসেবে খেলতে পারিনি।’
১৯৯২ সালের পর এই প্রথম প্রত্যেক দল প্রত্যেকের সাথে খেলছে। তবে এই পদ্ধতিতে ইংল্যান্ড কাক্সিক্ষত মাত্রায় খেলতে পারছে না। তবে লর্ডসের উইকেট কেমন হবে তা এখনো অজানা। যদিও সাবেক ইংলিশ ক্যাপ্টেন নাসির হোসেনের মতে, ‘লর্ডসের উইকেটে ব্যাটসম্যানদের বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে খেলতে হবে। হতে হবে স্মার্ট। যে স্মার্টনেস ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ছিল না হেডিংলিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ’
অস্ট্রেলিয়ানরা ভালো করেই জানেন এই ম্যাচে তারা কোনোভাবেই ইংল্যান্ডকে ৩৩০ এর বেশি রান করতে দেয়া যাবে না যদি তারা আগে ব্যাট করে। অসি বোলারদের আগেভাগে থামাতে হবে জো রুট, ইয়ন মরগান ও জনি বেয়ারস্টোকে। স্লোয়ার, কাটার এবং বাউন্সার হতে পারে কার্যকর। যদিও অস্ট্রেলিয়ান বোলিং কোচ অ্যাডাম গ্রিফিথের মতে, ফুলার লেংথের বলই প্রভাব ফেলবে এই ম্যাচে।
অবশ্য ইয়ন মরগানরা কি পারবেন আগ্রাসী ব্যাটিং করে রানের পাহাড় গড়তে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৭টি ছক্কা মেরেছিলেন ইংলিশ অধিানায়ক মরগান। অথচ এরপরেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চরম রক্ষণাত্মক ব্যাটিং। ৩৫ বলে মাত্র ২১ রান তার। তার এই ধীর গতির ব্যাটিংয়ের সমালোচনা নাসির হোসেনের মুখেও। তার বক্তব্য, মাঝে মাঝে তারা মনে করে অনেক তো হয়েছে। এই যে মরগান। তিনি আফগানদের বিপক্ষে ১৭টি ছক্কা মারেন। অথচ লঙ্কানদের বিপক্ষে স্লো ব্যাটিং। সে দিন আরো আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত ছিল মরগানের। বিশেষ করে মামুলি রান চেজ করার ক্ষেত্রে।’ ওই খেলায় মঈন আলীর ব্যাটিং স্টাইলও ভালো লাগেনি নাসিরের।
তবে ইংল্যান্ড এসব সমালোচনার জবাব দিতে চায় আস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে। জো বাটলারের মতে, আমরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই ফিরতে চাই জয়ে। এটা অন্যতম বিগ ম্যাচ। লর্ডসের আসাধারণ মাঠে আমরা জিতে গত কয়েক দিনের হতাশা কাটাতে চাই। সূত্র সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা