২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

অধিনায়কদের বিশ্বকাপ ফেবারিট

-

কে জিতবে আসন্ন বিশ্বকাপ? মিলিয়ন ডলার মূল্যের এই প্রশ্নের উত্তরে নিজেদের ভাবনা ব্যাখ্যা করেছেন ২০১৯ সালের টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া ১০ দলের অধিনায়কেরা। তাদের কথপোকথনের চৌম্বক অংশ নিয়েই এই প্রতিবেদন :
অ্যারন ফিঞ্চ (অস্ট্রেলিয়া)
ইংল্যান্ড হট ফেবারিট। ভারতও শিরোপা অন্যতম দাবিবার। টিম অস্ট্রেলিয়ার প্রধান অ্যাডভ্যান্টেজ হবে বর্তমান দলে বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ৬ ক্রিকেটারের উপস্থিতি। যদিও এবারের টুর্নামেন্ট সম্পূর্ণ আলাদা। মাঠের লড়াইয়ের সূচনার পর থেকে চাপও বাড়তে থাকবে। সুতরাং দারুণ এক টুর্নামেন্ট হতে চলেছে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ।
ইয়ন মরগ্যান (ইংল্যান্ড)
আমার কোনো ধারণা নেই ফেবারিটের ব্যাপারে। তবে এতটুকু বলতে পারি, প্রতিটি দলই শক্তিশালী। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে পার্থক্য একেবারেই সীমিত। এবার ১০ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বকাপ। বিশ্বের সেরারা অংশ নিচ্ছে। স্বাগতিকদের হিসেবে আমাদের অ্যাডভ্যান্টেজ উপভোগের দাবিটি যুক্তিসঙ্গত। প্রস্তুতিও দারুণ হয়েছে। সর্বোপরি অসাধারণ এক বিশ্বকাপের সাক্ষী হতে চলেছেন ভক্তরা।
বিরাট কোহলি (ভারত)
সবচেয়ে বেশি চাপের মধ্যে থেকে খেলতে হবে আমাদের। ফেবারিট হিসেবে আমি ইংল্যান্ডকেই এগিয়ে রাখছি। তবে প্রতিটি দলই শক্তিশালী। ভুলে গেছে চলবে না এবার বিশ্বের সেরা দশটি দল অংশ নিচ্ছে বিশ্বকাপে। সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিশ্বকাপ হবে ইংল্যান্ডে।
সরফরাজ আহমেদ (পাকিস্তান)
মরগ্যান ও কোহলির সাথে আমি পুরোপুরি একমত। প্রতিটি দলই ব্যালান্সড। সবারই সক্ষমতা রয়েছে যেকোনো দলকে হারিয়ে দেয়ার। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলের সাফল্যের জন্য আমার শুভকামনা রইল। ইংল্যান্ডে পাকিস্তানের রেকর্ড অত্যন্ত সমৃদ্ধ। আমরা আত্মবিশ্বাসী অতীতের ধারাবাহিকতা অটুট রাখার ব্যাপারে। ইনশা আল্লাহ, পাকিস্তান ভালো করবে।
দিমুথ করনারত্মে (শ্রীলঙ্কা)
আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি। ইংল্যান্ডে আমাদের রেকর্ডও মন্দ নয়। ভালো পারফরম্যান্স করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করব। বেশ আগেই ইংল্যান্ডে পৌঁছেছি। কন্ডিশন সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জিত হয়েছে। দলীয় আত্মবিশ্বাসও দারুণ। ভালো করার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।
কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড)
গত বিশ্বকাপে খেলা কয়েকজন ক্রিকেটাররা আছেন আমাদের দলে। তাদের উপস্থিতি অবশ্যই প্ল্যাস পয়েন্ট হবে। যদিও চার বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বকাপ। মধ্যবর্তী সময়ে প্রতিভাবান অনেক তরুণ ক্রিকেটারের উত্থান ঘটেছে। মূলত যেকোনো কিছুই ঘটবে পারে ক্রিকেটের একটি নির্দিষ্ট ম্যাচে। টুর্নামেন্ট হিসেবে এবারের বিশ্বকাপ সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।
ফাফ ডু প্লাসিস (দক্ষিণ আফ্রিকা)
বর্তমান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। জমজমাট লড়াই হচ্ছে প্রতিটি দ্বিপাক্ষীয় হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে সিরিজে। সফরকারী দলগুলোর ভালো করার মতো ঐতিহ্যও দেখা মিলছে। ফলে আসছে বিশ্বকাপ নিয়ে প্রতিটি দলই দারুণ শিহরত। প্রত্যেকটি দলের বিপক্ষে প্রত্যেক দলের খেলা অত্যন্ত আকর্ষণীয় টুর্নামেন্টে পরিণত করছে এবারের মেগা আসরকে। আমি নিশ্চিত দুর্দান্ত এক বিশ্বকাপের ব্যাপারে।
মাশরাফি বিন মর্তুজা (বাংলাদেশ)
অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে গঠিত দল বাংলাদেশ। সম্ভবত বিশ্বকাপ ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ দল নিয়ে আমরা খেলব ইংল্যান্ড আসরে। উঠতি তরুণদের বেশকয়েকজন সুযোগ পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম মেগা টুর্নামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করার। তাদের পারফরম্যান্সের ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী
জেসন হোল্ডার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
যেকোনো দলের বিপক্ষে খেলাটা দারুণ উচ্ছ্বাসের আমাদের জন্য। কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে বাছাইপর্ব পেরিয়ে মূল টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছি। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স প্রদর্শনে সফলতার স্বপ্নপূরণে। সবচেয়ে যোগ্য দলের হাতেই উঠবে আইসিসির ১২তম বিশ্বকাপের শিরোপা।
গুলবুদ্দিন নাইব (আফগানিস্তান)
আফগানিস্তান এখন অনেক বেশি শান্তির দেশ। ক্রিকেট এই মুহূর্তে সাধারণ জনগণের অন্যতম বিনোদনের উপলক্ষ। বিশ্বকাপে ভালো করার ব্যাপারে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। এবার ১০ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ক্রিকেটের বৃহৎ মেগা আসর। শীর্ষ এই টুর্নামেন্টে আমরা প্রতিনিধিত্ব করতে পারায় জাতি হিসেবে আফগানরা অত্যন্ত গর্বিত।


আরো সংবাদ



premium cement