২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্যাটিং পারফরম্যান্সে ম্যাকেঞ্জির সন্তুষ্টি

-

আয়ারল্যান্ডে তিন জাতি টুর্নামেন্ট জয়ের পর বাংলাদেশ দল বেজায় খুশি। কারণ গত ১০ বছরে তিন বা ততোধিক দলের ফাইনালে খেলে সপ্তমবার সফল হয়েছেন তারা। এটা খুশির কথাও। একটা বন্ধ্যত্ব ভেঙেছে। তাই বলে এতে আত্মতৃপ্তির কিছু দেখছেন না দলের ব্যাটিং পরামর্শক নেইল ম্যাকেঞ্জি। দক্ষিণ আফ্রিকার একসময়ের দুর্দান্ত এ ব্যাটসম্যান বলেন, ‘এটা সত্যি যে, তারা গত ১০ বছরে সপ্তমবার এসে ট্রফি জয়ে সফল হয়েছে; কিন্তু এতে আত্মতৃপ্তির কিছু নেই। এটাতে যা হয়েছে মনোবল বেড়েছে এবং যেটাতে বিশ্বকাপ শুরুর আগে দলকে আরো চাঙ্গা করেছে।’ তিনি বলেন, কাউন্টি ক্রিকেট দল লেস্টারশায়ারে এখন কন্ডিশনিং ক্যাম্পে আত্মবিশ্বাসী হয়েই প্র্যাকটিস করছে।’ তিনি ইংল্যান্ডের এক পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ মোটেও তাদের সামর্থ্যরে বাইরে কিছু চিন্তা করে না’। আয়ারল্যান্ড সিরিজ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব ভালোই জানি যে, ওই সিরিজের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের সেরা দল কিন্তু খেলেনি। তবে হ্যাঁ, বিশ্বকাপে উইকেট ভালো হবে বলেই মনে হচ্ছে। তবে মনে রাখতে হবে আমাদেরকে সেরা ৯ দলের বিপক্ষেই খেলতে হবে।’ ম্যাকেঞ্জি বলেন, ‘তবে এটা ঠিক ওই ট্রফি জয়ে বিশ্বকাপের আসরে আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে খেলতে নামবে টিম বাংলাদেশ। একই সাথে তিনি একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে দলের দায়িত্ব কিভাবে পালন করতে হবে বা পালন করা উচিত সেভাবেই তিনি করছেন বলে জানিয়েছেন। বাংলাদেশ দল সব সময়ই পজেটিভ দৃষ্টিভঙ্গিতেই খেলে আসছে। এর আগেও শিরোপা বঞ্চিত হয়ে ভেঙে পড়েনি। তারা নিজেদেরকে আরো উন্নত করতে কী করতে হয় সে চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ‘অনুশীলনে আমি দেখেছি তারা সেরাটা দিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটা খুবই ভালো একটা দিক। এমনকি দলে এমন কেউ কেউ রয়েছে ওই শিরোপা প্রাপ্তিতে তাদের কোনো কন্ট্রিবিউট নেই। তারাও নিজেকে উজাড় করে দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে।’ এটা ঠিক ২০১৮ সালে দলের সাথে যোগ দেয়ার পর থেকে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইন সত্যিই উন্নতির পথেই হাঁটছে। ম্যাকেঞ্জির ছোঁয়ায় তরুণ ক্রিকেটাররাও এখন উজ্জীবিত পারফরম্যান্স করতে সক্ষম, সেটির একটা প্রমাণ মিলল ট্রাইনেশনে। ব্যাটিং পরামর্শক বলেন, ‘প্র্যাকটিসে তাদের দেয়া অ্যাসাইনমেন্টগুলো সবই ঠিক মতো করে যাচ্ছে। কোথাও তারা দুর্বলতা দেখাচ্ছে না। বরং বাড়তি সক্ষমতা প্রকাশ করছে। কিন্তু এটাও ঠিক আমি জানি তারা দুর্বল। কারণ তাদের অনেকেই ধর্মীয় বিধান অনুসারে (রোজা আদায়) চলার চেষ্টা করে।’
নিজেদের অনুশীলনের বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মাঠে খেলোয়াড়দের হাতে বল, কারো হাতে ব্যাট। কেউ বল থামানোর চেষ্টা করছে (ফিল্ডিংয়ে), কেউ উইকেট নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে। কেউ আবার কৌতুক করছে।’ তিনি বলেন, ‘শুধু খেলোয়াড়রাই নয়। আমাদের কোচরাও উইকেট পেলে সেটা নিয়ে সেলিব্রেশন শুরু করে দেয়। যদিও তারা তাদের ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে থেকেই এগুলো করছে। সব মিলিয়ে একটা কোয়ালিটিপূর্ণ অনুশীলনই হচ্ছে এ সময়ে।’ তিনি প্রশংসা করেন টিম ম্যানেজমেন্টেরও। কখন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের প্রয়োজন, কখন আবার কিছুটা অনভিজ্ঞদের সুযোগ দেয়ার প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘সত্যিই এগুলো আমার খুব পছন্দ। অনভিজ্ঞরাও ভালো করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। এ-পর্যায়ে আসলেই টাফ স্কিলের প্রয়োজন। কারণ যখন এ-পর্যায়ে থেকে চান্স আসে তখন কিছুটা ভাগ্যের সহায়তারও প্রয়োজন পড়ে। দেখবেন (মোসাদ্দেক) যাদের একজনের ফার্স্টক্লাস রেকর্ড হয়ে গেছে। সে সত্যিই কোয়ালিটিপূর্ণ ক্রিকেটার। তার মতোই আরো ক’জন ক্রিকেটার রয়েছে আমাদের সেটআপে। বাংলাদেশ দলে যাদের কিছুটা অভিজ্ঞতা কম তাদের তেমন কিছু বোঝার প্রয়োজন নেই। তারা জানেন তাদের কী করতে হবে। তারা প্রচুর হার্ডওয়ার্ক করছেন। কারণ দলে স্থান পেতে অবশ্যই তাদের কোয়ালিটি প্রদর্শনের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ দলে অনেক প্রতিযোগিতা, সেটি তারা জানে।
এ প্রোটিয়া তার চাকরি নিয়ে বেজায় খুুুুুুুশি। তিনি বলেন, ‘এটা দেখতে খুবই ভালো লাগছে যে, সৈকতের মতো ক্রিকেটার ভালো খেলল। সাব্বিরও ভালো খেলেছেন (সেঞ্চুরি করেছেন) নিউজিল্যান্ডে, সৌম্য সরকারও দুর্দান্ত। লিটন দাসও চমৎকার খেলল একটা ম্যাচে সুযোগ পেয়েই। গোটা স্কোয়াডই ভালো খেলছে একের পর এক বিশেষ করে আমাদের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের (সাকিব) অবর্তমানে। এমনকি মুশফিক, তামিম যদি ভালো না-ও করেন তবুও। আর সবাই যখন তারা নিজেদের পারফরম্যান্স করবেন তখন সত্যি সত্যিই আমাদের স্কোয়াড একটা খুবই ভালো একটা দল হিসেবে পারফর্ম করবে।’


আরো সংবাদ



premium cement