২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ছেলেকে গোল উৎসর্গ মামুনুলের

-

চেন্নাইয়ানে কোচ জন গ্রেগরি বিস্মিত মামুনুল ইসলাম মামুনের গোলে। বক্সের ভেতর কোনা থেকে ডান পায়ের ভলিতে অসাধারণ গোল। কাল এই গোলে এএফসি কাপে ঢাকা আবাহনী ৩-২ এ হারায় ভারতীয় ক্লাবকে। তার মতে, ‘আমার মনে হয় ওই ফুটবলার (মামুনুল) জীবনে এই প্রথম এমন গোল করলেন। ভবিষ্যতে আর পারবে কি না সন্দেহ।’ পরে অবশ্য তাকে জানিয়ে দেয়া হলো এমন গোল মামুনুলের ক্যারিয়ারে আরো আছে। বাম পায়ের ফুটবলার এই মিডফিল্ডার। তার অসাধারণ সব গোল বাম পায়ে। তবে ম্যাচোত্তর সংবাদ সম্মেলনে মামুনুল জানালেন, আমার ডান পায়ে করা এমন গোল আরো আছে। আপনারা আসলে অতীত ভুলে যান। তবে এই গোলটি আমার সেরা। তা ডান পায়ে করার জন্যই।’ এর পরেই জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক জানালেন, ‘এই গোলটি আমি উৎসর্গ করলাম আমার ছেলেকে। চার মাস আগে জন্ম ছেলে মোহাইমিনুল ইসলাম আজলানের। অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম তাকে কিছু একটা সারপ্রাইজ দেবো। এবার পেলাম সেই সুযোগ।’ আরো জানান, আমরা এই ম্যাচ খেলেছি দুই ইনজুরড ফুটবলার তপু এবং ফাহাদের জন্য।
মামুনুলের বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গোল আছে। অনূর্ধ্ব-২৩ দলে সিনিয়র ফুটবলার হিসেবে ২০১৪ সালে ইনচন এশিয়ান গেমসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেন জয়সূচক গোল। ২০১৫-১৬ সিজনে তার গোল ছিল কিরগিজস্তানের ক্লাব এফসি আলগার বিপক্ষে। আসরটি ছিল এএফসি কাপের প্লে-অফ কোয়ারিফায়ার্সে। সেই গোল শেখ জামালকে এনে দেয় গ্রুপ শ্রেষ্ঠত্ব। এবার তার একটি গোল ছিল ফেডারশন কাপে।
কাল আবাহনীর টিকে থাকার ম্যাচে জয়ের পর দর্শকদের উদ্দেশে গ্যালারির দিকে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমস। সংবাদ সম্মেলনে জানান, আমার কাছে ম্যাচটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতোই মনে হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে খেলার পরিস্থিতি বদল। ১-০, এর পর ২-১। এরপর ২-২। শেষ পর্যন্ত ৩-২ এ জয়। তবে ভুল থেকে গোল হজমের পর ফুটবলারদের বিরতির পর বলেছিলাম, তোমাদের কামব্যাক করার সুযোগ আছে। তাই করেছে তারা। তবে এই জন্য মাসির ফ্রি-কিক এবং মামুনুলের দুর্দান্ত ডান পায়ের দুর্দান্ত ভলির গোল কৃতিত্ব পাচ্ছে। তার মতে অবশ্যই ম্যাচে সেরা বলতে হবে আফগানিস্তানের মাসি সাইঘানি।
জয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া মারিও লেমস জানালেন, এখন আমরা পরের দুই ম্যাচে জিততে চাই। এই ম্যাচে আমি মামুনুল এবং জুয়েলকে একাদশে সুযোগ দিয়েছি। তা অন্যদের ইনজুরি এবং তাদের কোয়ালিটির জন্য।
এ দিকে চেন্নাইয়ানের ইংলিশ কোচ জানান, ২-২ হওয়ার পর ভেবেছিলাম ম্যাচ ড্রই হবে। কিন্তু তা হয়নি। আসলে আবাহনীর দু’টি অসাধারণ গোলই পাল্টে দিয়েছে সব। তাদের বিদেশীরা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আর আমাদের কয়েক ফুটবলার ভালো খেলেনি। এখন আমাদের জন্য কঠিন হয়ে গেল নকআউট পর্বে যাওয়া।
রায়হানের থ্রো থেকে জয়সূচক গোলের উৎস আবাহনীর। এই রায়হানের প্রশংসা করে চেন্নাইয়ানের কোচ বলেন, আবাহনীর এই থ্রোর মতো বড় অস্ত্র আছে। এটা বড় বিষয়।


আরো সংবাদ



premium cement