২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নির্বাচিত হলে হকির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করবেন সাঈদ

-

হকিতে নির্বাচনের আগে এমন ঝাঁকজমক প্রক্রিয়া এর আগে শুধু একজনই করেছেন। তিনি হলেন আব্দুর রশিদ সিকদার। এরপর দ্বিতীয় দফা এমন আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠান করল রশিদ-সাঈদ নেতৃত্বাধীন বাঁচাও হকি পরিষদ। গতকাল স্থানীয় একটি হোটেলে উৎসবমুখর পরিবেশে নানা প্রতিশ্রুতিতে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করলেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মুমিনুল হক সাঈদ। নির্বাচিত হলে আগামী চার বছর হকির উন্নয়ন, প্রচার ও প্রসারের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করবেন বলেও জানালেন তিনি।
বাঁচাও হকি পরিষদের ইশতেহারে বলা হয় হকির ভবিষ্যৎ কার্যক্রম কয়েকটি কমিশনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। কমিশনগুলো হলোÑ ডেভেলপমেন্ট কমিশন, হাই পারফরমেন্স কমিশন, কম্পিটিশন কমিশন, ট্রেনিং অ্যান্ড মনিটরিং কমিশন এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমিশন।
মুমিনুল হক সাঈদ স্পষ্টতই বলেন, ‘ডেভেলপমেন্ট কমিটির অধীনে হবে বিভাগীয় হকি প্রতিযোগিতা, জেলা লিগ, আন্তঃজেলা ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়নশিপ, জাতীয় যুব হকি, বাংলাদেশ গেমস, যুব গেমস, স্কুল হকি, মহিলা হকি, উপজাতি হকি, প্রতিভা অন্বেষণ ও জাতীয় দল গঠন প্রক্রিয়া। জাতীয় মূল দলের বাইরে থাকবে, অলিম্পিক অর্থাৎ অনূর্ধ্ব ২৩, ১৮, ১৬ দল। ভর্তুকি দিয়ে হলেও মহিলা হকি দলের প্রশিক্ষণ ও টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে।’
জাতীয় ও অলিম্পিক দলের খেলোয়াড়দের বিদেশী লিগ খেলার সুযোগ তৈরি করে দেয়া ও ইন্স্যুরেন্সের আওতায় আনার কথাও বলা হয় ইশতেহারে। কম্পিটিশন কমিশনের বরাত দিয়ে বলা হয়, আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বিশ্বমানের দলগুলোর অংশগ্রহণে একটি আমন্ত্রণমূলক আন্তর্জাতিক হকি করা হবে। তাছাড়া প্রিমিয়ার লিগের জট কমানো হবে। প্রতিবছরই যাতে লিগটি হয় সেদিক বিবেচনায় আন্তর্জাতিক সূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রিমিয়ার লিগের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। লিগ স্ট্যান্ডিং অনুসারে ক্লাবগুলোকে প্রাইজমানি দেয়া হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ নিয়ম অনুযায়ীই হবে। আরো থাকবে ফেডারেশন কাপ, করপোরেট হকি লিগ। নতুন চমক হিসেবে থাকবে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ঢাকা প্রিমিয়ার হকি লিগ।
আধুুনিক হকিতে বিশ্বাসী রশিদ-সাঈদ প্যানেল। ইশতেহারে তারা কেন্দ্রীয় ডাটা বেস ও সব খেলোয়াড়কে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত করতে চান। ডাটাবেসের মাধ্যমে একটি ইউনিক রেজিস্ট্রেশন নাম্বার প্রদান করবেন। যেখানে একজন খেলোয়াড়ের প্রোফাইল থাকবে। প্রতিবছর এজিএম করারও ঘোষণা দেয়া হয় এই প্যানেল থেকে।
ইশতেহারে দেয়া বিষয়গুলো সঠিকভাবে পালন করতে চান সাঈদ। তার কথায়, ‘আমাকে একবার সুযোগ দিয়ে দেখুন। হকি আছে তারপরও কেন বাঁচাও হকি পরিষদ নাম দিলাম। হকির সবই আছে কিন্তু সঠিক কার্যক্রম নেই। আমরা ক্ষমতায় এলে ঠিকই হকিকে বাঁচিয়ে তুলবো। কাউন্সিলররা আমাকে নির্বাচিত করলে আল্লাহ চাহে তো আগামী চার বছর হকির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে দেবো।’
এর আগে প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠানে সহ-সভাপতি প্রার্থী আব্দুর রশিদ সিকদার তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘সবাই জানেন হকিতে কী অবস্থা বিরাজ করছে। ফেডারেশনে নিয়মিত মুখ অফিস সহকারী হুমায়ুন ও মান্নান। এছাড়া কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায় না। অথচ একটা সময় এই হকির জৌলুস ছিল অন্যরকম। ধীরে ধীরে আমরা অবনতির দিকেই যাচ্ছি। সময় এসেছে এ থেকে উত্তরণের। বাঁচাও হকি পরিষদই পারে হকিকে আলোর মুখ দেখাতে। আমরা নির্বাচিত হলে সবাইকে নিয়েই কাজ করব। এই ওয়াদা দিচ্ছি।’
আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক জাতীয় দলের খেলোয়াড় লিজেন্ডারি জামিল পারভেজ লুলু, সাবেক খেলোয়াড় ও ভেটেরানস হকির সভাপতি মেজর (অব:) ইমরোজসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রার্থীরা। মেজর ইমরোজ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে হকি উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান। আরো উপস্থিত ছিলেন, হকির দুই বর্ষীয়ান তারকা সামসুল বারী ও বশির আহমেদ
বাঁচাও হকি পরিষদে রয়েছেন, সহ-সভাপতি প্রার্থী আব্দুর রশিদ সিকদার, সৈয়দ মোস্তাক আলী মুুকুল, সারওয়ার হোসেন, মাহমুদ রিবন, নুরে আলম খোকন, সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল হক সাঈদ, যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম কিসমত, আনোয়ারা সরকার, কোষাধ্যক্ষ হাজী মো: হুমায়ুন, সদস্য খাজা তাহের লতিফ মুন্না, বদরুল ইসলাম দিপু, মো: আসলাম, মো: তারিকউজ্জামান, সাফায়েত হোসেন ডালিম, জামিল আব্দুন নাসের, রফিকুল ইসলাম কামাল, নুরুল ইসলাম ফারুকী, মোস্তাক হোসেন মোনা, কাজী শরীফ উদ্দিন আহমেদ, রেজাউল করিম রিপন, শহিদ উল্লাহ টিটু, মেহেদী হাসান, মাহফুজুল আলম, মো: হোসেন মনির ও হাজী এম এ সাত্তার।

 


আরো সংবাদ



premium cement