২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ট্রাইনেশনে ক্রিকেটারদের স্বাধীনতা রাখা উচিত আয়ারল্যান্ড সফর প্রসঙ্গে তামিম ইকবাল

বাংলাদেশের ড্যাশিং ক্রিকেটার তামিম ইকবাল হ বিসিবি -

বিশ্বকাপের ফরম্যাট এবার বেশ দীর্ঘ। সব দলের সাথে সবাইকেই খেলতে হবে। এরপর পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ৪ দলের মধ্যে সেমিফাইনালÑ বিষয়টা সবারই জানা! কিন্তু এ নিয়ে গবেষণাও চলল প্রতিটা দলে। কারণ লিগ পর্বে ৯টা ম্যাচ খেলতেই হচ্ছে। চাপটা পড়ছে গিয়ে খেলোয়াড়দের ওপর। এক স্থানে খেলা তাও না। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসের বিভিন্ন স্থানে ম্যাচ। যার বেশির ভাগই যাতায়াত করতে হবে বাসে। অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডে সুযোগ ছিল বিমানে। কিন্তু ইংল্যান্ডের সিস্টেমের মেক্সিমাম বাস। ফলে ম্যাচ খেলে জার্নি এরপর আবার নতুন খেলার প্রস্তুতি। চাপ আর চাপ। তামিম ইকবাল সে বিষয়টাই বোঝাতে চেয়েছেন। কারণ বাংলাদেশ বিশ্বকাপের আগেও যে খেলবে একটি তিন জাতি টুর্নামেন্ট আয়ারল্যান্ডে। ফাইনাল ম্যাচটা ধরে নিলে অন্তত পাঁচটি ম্যাচ রয়েছে ওই টুর্নামেন্টে। এরপর গিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে আবার মূল ম্যাচে চলে যাওয়া। গতকাল মিরপুরে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ দলের সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড টুর্নামেন্টে আমাদের বিশ্রাম পাওয়া উচিত। বিশেষ করে যার বিশ্রাম প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘আমার মনে একজন খেলোয়াড় ১ থেকে ২টি ম্যাচ যদি খেলে সেটিই হবে পারফেক্ট।’ কারণটা ক্লিয়ার করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের মূল আসরে আমরা কিন্তু বিশ্রাম পাচ্ছি না। সে সুযোগ নেই। সেটি চিন্তাও করা যায় না। ফলে টানা ম্যাচের আগের ওই (আয়ারল্যান্ড) টুর্নামেন্টে যদি বিশ্রাম না নেয়া হয় তাহলে সেটি কারো কারো ওপর চাপের কারণ হয়ে যেতে পারে।’ বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ, আয়ারল্যান্ডে মুস্তাফিজকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানোর দুই দিনের মাথায় তামিম ইকবালও একই ধরনের মন্তব্য করলেন। আয়ারল্যান্ডের ওই টুর্নামেন্ট শুরু হবে ৫ ম্যাচ। এবং বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৭ ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ডাবলিনে। ১৭ মে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ। যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া অন্য দল আয়ারল্যান্ড। সেখানে ফাইনাল বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ এটি ধরে নেয়াই যায়।
অপর দিকে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডে পৌঁছে ১টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ কার্ডিফে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২৬ মে ওই ম্যাচের পর একই স্থানে বিশ্বকাপের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচটাও খেলবে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে ২৮ মে। আর বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ লন্ডনে (ওভাল) খেলবে মাশরাফিরা ২ জুন প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। কতটা ব্যস্ততম শিডিউল সেখানে অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য তারই এক চিত্র তুলে ধরা হলো। তামিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘যদি বিশ্রামের প্রসঙ্গটা না থাকে তাহলে দেখবেন ওই সময়ে টানা ১৩ বা ১৪টা ম্যাচ খেলতে হবে খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে, যা খুবই টাফ বিষয় হয়ে যায় কারো কারো জন্য বিশেষ করে অনভ্যস্থ (ইংলিশ) কন্ডিশনে।’ তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় কন্ডিশনটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে সূচনা থেকে। কারণ আইরিশ কন্ডিশনের সাথেও আমরা কিন্তু এতটা পরিচিত নই। (কারণ বাংলাদেশ বেশির ভাগ সময়ই খেলে থাকে উপমহাদেশের সেøা কন্ডিশনে)। পেছনের অভিজ্ঞতার কথা টেনে তামিম বলেন, ‘সর্বশেষ আয়ারল্যান্ড সফরে আমরা দেখেছি প্রস্তুতির উইকেট ও ম্যাচ উইকেটের মধ্যে অনেক পার্থক্য। ফলে অনুশীলন ও টুর্নামেন্ট শুরু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজও তো আছে!’ তামিম বলেন, ‘ধরুন, আয়ারল্যান্ডে আমরা ৩৪০-৩৫০ রানের মতো টোটাল রানের চেজিংয়ের সামনে পরে গেলাম। সে ক্ষেত্রে ওই কন্ডিশনে তো এত রান করার অভ্যাস আমাদের নেই। সে ক্ষেত্রেও আমরা আমাদের প্লান রয়েছে যে, নতুন প্লান কষে ওই চেজিংয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।’


আরো সংবাদ



premium cement