২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

প্রিমিয়ারের শিরোপা আবাহনীর

-

দিনটা ছিল প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটের শেষ দিন। এ দিনেও নিশ্চিত নয় কে পাচ্ছে প্রিমিয়ারের শিরোপা। এক দিকে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ অন্য দিকে আবাহনী। সমান পয়েন্ট যেহেতু দু’দলের তাই সুযোগ দু’দলেরই ছিল বিদ্যমান; কিন্তু কিছু অ্যাডভান্টেজ ছিল আবাহনীরই অনুকূলে। শেষ পর্যন্ত দু’দলের পয়েন্ট (১৬ ম্যাচে ২৬ করে) সমান হলেও নিট রান রেটে (আবাহনী ০.৮৬৬, রূপগঞ্জ ০.৫১৭) এগিয়ে এবার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শিরোপা জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। এটা তাদের ২০তম শিরোপা।
কাল উত্তেজনা ছিল ক্রিকেট পাড়ায়। সারা দিনই কখনো সাভারের বিকেএসপি মাঠে আবাহনী-শেখ জামাল অথবা মিরপুরে রূপগঞ্জ-প্রাইম ব্যাংকের খবর নেয়ায় ছিল ব্যস্ততা। দু’টিই হয়েছে হাই স্কোরিং ম্যাচ। ফলে উত্তেজনা ছিল অনেক। কিন্তু দুপুরের পরে সে উত্তেজনা মিলিয়ে দিতে থাকেন আবাহনীর দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও জহুরুল ইসলাম অমি। দেখে শুনে খেলেন তারা ৩১২ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটাই রেকর্ড। জহুরুল একটু সাবধান হলে ১০ উইকেটেই জিততে পারত আবাহনী। কারণ টার্গেট তো ছিল ৩১৮; কিন্তু ১০০ করে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। তবে সৌম্য ধৈর্য হারাননি। সাব্বিরকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৪৭.১ ওভারে দলকে নিয়ে যান জয়ের টার্গেটে। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ২০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য। ১৭ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটে জিতে যায় ম্যাচ আবাহনী এবং শিরোপা পায় প্রিমিয়ারের। দুর্ভাগ্য রূপগঞ্জের। সুপার লিগে ৪ পয়েন্ট এগিয়েছিল তারা; কিন্তু সে অ্যাডভান্টেজ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
এ ম্যাচে শেখ জামাল টসে জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ৩১৭/৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছিল। সূচনা খুব একটা ভালো ছিল না। মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মেহেদি হাসান মিরাজ উইকেট তুলে নিয়ে বেশ চাপে ফেলে দেন তাদের। ৮৫ রানে চলে যায় তাদের ৫ উইকেট। এখন থেকে দলীয় স্কোর যে তিন শ’ ছাড়িয়ে যাবে সেটি ছিল কল্পনার বাইরে। তানভির হায়দারের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে অবশ্য সেটি সম্ভব হয়েছে। ১১৫ বলে ১৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন তানভির। ৬ ছক্কা ১০ চারের মার ছিল তার ইনিংসে। অন্যদের মধ্যে ইলিয়াস সানির ৪৫ রান ছিল উল্লেখ করার মতো। এ ছাড়াও কিছু রান করেছেন অন্যরা, যাদের মধ্যে মেহরাব হোসাইন, ফারদিন রয়েছেন। মাশরাফি এ ম্যাচে ভালো বোলিং করেছেন। চার উইকেট নেন তিনি। ১০ ওভার বোলিং করে ৫৬ রানের বিনিময়ে উইকেটগুলো নেন তিনি। এরপর ৩১৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর সামনে রেখে খেলতে নেমে আবাহনীর দুই ওপেনার সূচনায় কিছুটা দেখেই খেলেন। প্রথম ৫০ রান তোলে তারা ৮ ওভারে। আর প্রথম পাওয়ার প্লেতে (১-১০ ওভার) ৬৫/০। এরপর ১০০ রান আসে তাদের ১৬.৪ ওভারে। এর পর থেকেই রান সংগ্রহের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ৩১২ রানের ওপেনিং জুটি খেলে বিচ্ছিন্ন হলেও মূলত জয় শতভাগ নিশ্চিত এরাই করে ফেলেন। জহুরুলও এবার আবাহনীর শিরোপা জয়ে ভূমিকা রেখেছেন। এমন সব ম্যাচে তিনি সেঞ্চুরি বা দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন সেটি ছিল দুর্দান্ত। সৌম্য তো শেষের দুই ম্যাচে বড় অবদান রেখেছেন। তবে লিগের উত্তেজনাকর কিছু মুহূর্তে জহুরুলের ব্যাট চলেছিল অসাধারণ। জহুরুল এ ম্যাচে ১২৭ বল খেলে করেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৩১৯/১-এ শেষ হয় আবাহনীর ইনিংস। খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন সৌম্য সরকার তার চমকপ্রদ ব্যাটিং প্রদর্শনের জন্য।


আরো সংবাদ



premium cement
আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবার কবরে শুয়ে ছেলের প্রতিবাদ ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরো ৭১ জন নিহত পানছড়ি উপজেলায় চলমান বাজার বয়কট স্থগিত ঘোষণা আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করেছে : দুদু

সকল