পাতানো ম্যাচের কাঠগড়ায় ফুটবলাররা
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২৪ মার্চ ২০১৯, ০০:০০
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) একটি সন্দেহজনক ম্যাচ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের মাঠে প্রিমিয়ার লিগের চট্টগ্রাম আবাহনী-সাইফ স্পোর্টিং গোলশূন্য ম্যাচটি নিয়ে সংবাদমাধ্যমেও হই চই হয়নি। একটি বেসরকারি টিভি বলেছিল, দু’দলের কারো মধ্যেই জেতার আগ্রহ দেখা যায়নি। খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিল গাছাড়া ভাব। মনে হলো, সমঝোতার ম্যাচই খেলেছে দুদল। গত বৃহস্পতিবার সাবেক সচিব হুমায়ুন খালিদের নেতৃত্বে বসে বাফুফের পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি। কমিটি দুই দলের তিনজন করে ফুটবলারকে আজ বাফুফে ভবনে তলব করেছে। ফুটবলাররা হলেনÑ সাইফের ইয়াসিন আরাফাত, জামাল ভূঁইয়া ও জাফর ইকবাল এবং চট্টগ্রাম আবাহনীর মোনায়েম খান রাজু, আবদুল মালেক ও মাগালান।
ছয় ফুটবলারের মধ্যে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সাথে বাহরাইনে আছেন ইয়াসিন ও জাফর ইকবাল। তারা দেশে ফিরলে তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হবেন। জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে তলব করায় বিষয়টি জোকস বলে উল্লেখ করেছেন তিনি, ‘চট্টগ্রাম আবাহনী পয়েন্ট তালিকার আটে। আমরা চারে। ওদের সাথে পাতানো খেলা খেলতে যাব কেন ? আমাদের কী লাভ ? আমি দুঃখিত, ব্যথিত এই অভিযোগ ওঠায়। এটা আমার কাছে জোকস মনে হচ্ছে।’
সাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী জোর গলায়ই বলেন, ‘প্রশ্নই আসে না পাতানো ম্যাচ খেলার। বরং ম্যাচটি ছিল মারদাঙ্গা। এমন অভিযোগ উঠবে, কল্পনাও করতে পারি না। এখন বাফুফেকে চিঠি দিয়ে বলব, অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সাথে থাকা ইয়াসিন আর জাফরকে চাইলে আমরা বাহরাইন থেকে ঢাকায় এনে বাফুফের কাছে হাজির করব।’
গত লিগে ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি ফরাশগঞ্জের কাছে ৩-১ গোলে শেখ জামালের হার নিয়ে পরদিন সংবাদমাধ্যম বিস্তর সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। ওই জয়ে ফরাশগঞ্জ অবনমন এড়ানোর পথে কিছুটা এগোলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি। এই ম্যাচের তদন্তে কিছু আলামত পাওয়ার কথা বলেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এ ছাড়া স্বাধীনতা কাপে শেখ জামাল-রহমতগঞ্জ ম্যাচটির ভিডিও দেখে এক তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেছিলেন ‘ফ্রেশ ম্যাচ মনে হয়নি’। তবে লিগে অবনমন বাঁচাতে রহমতগঞ্জকে ছেড়ে দিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং, এমন গুঞ্জন থাকলেও এই ম্যাচের নাকি কোনো আলামতও পাওয়া যায়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা