২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফেয়ার প্লে ট্রফি পেল বাংলাদেশ

-

সেমিতে হারের পরের দিনই মানে গত পরশু দেশে ফিরে গেছে বাংলাদেশ দল। গতবারের মতো ফাইনালে তাদের উপস্থিতি না থাকলেও কাল নেপালের বিরাতনগরের শাহিদ রঙ্গশালার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানেও ছিল বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। ফাইনাল শেষে একটি পুরস্কার পেয়েছে লাল-সবুজরা। তা হলো ফেয়ার প্লে-ট্রফি। বাকি সবই ভারত-নেপালের উল্লাস। চ্যাম্পিয়ন ভারত ট্রফি নিয়ে আনন্দ করেছে। নেপাল বাড়ি গেছে রানার্সআপ হয়ে। ফাইনালে সেরা ফুটবলারের পুরস্কার গেছে ভারতের দালিমা চিবেরের দখলে। তবে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেয়েছেন দুইজন। এরা হলেন ভারতের ইন্দুমাথি কাথিরিসান এবং নেপালের সাবিত্রা ভান্ডারি। দুইজনেরই গোলসংখ্যা চারটি করে।
এই সাফে এমনটি করা হলো। সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার দেয়া হলো দুইজনকে যৌথভাবে। কিন্তু ২০১৮-এর অনূর্ধ্ব-১৮ মহিলা সাফে কেন এই নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। তখন নেপালের রেখা পাউডেল এবং বাংলাদেশশের সিরাত জাহান স্বপ্না যৌথভাবে ৭ গোল দিয়েছিলেন। কিন্তু পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে লটারির মাধ্যমে এই দুইজন থেকে একজনকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। এতে স্বপ্নাকে হতাশ করে ট্রফিটি জিতে নেন রেখা। এবার সেমিফাইনালের আগেও এ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন স্বপ্না। অবশ্য গত বছরের অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা সাফে বাংলাদেশের তহুরা খাতুন এই লটারিতেই জিতে নেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। তখন তহুরার সাথে যৌথভাবে চারটি করে গোল করেছিলেন নেপালের চন্দ্রা ভান্ডারি এবং ভারতের সিল্কি দেবী। পরে লটারিতে হাসি এই বাংলাদেশীর।
কাল সাফের ফাইনালে ছিলেন না সাফ সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং সেক্রেটারি আনোয়ারুল হক হেলাল। সাফ সভাপতিকে অবশ্য এসব আসরে পাওয়া যায় না। হেলাল সব সময় উপস্থিত থাকলেও পায়ে ব্যথা পাওয়ায় এবং তাতে অপারেশন হওয়ায় তার পক্ষে আসা সম্ভব হয়নি। ফলে কাল ফাইনালে প্রধান অতিথি ছিলেন অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (আনফা) সভাপতি কারমা সিরিং শেরপা।

 


আরো সংবাদ



premium cement