মোহামেডান ছাড়লেন কোচ নাসিরও
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:১৬
ইংল্যান্ড গিয়ে আর ফিরে আসেননি কোচ ক্রিস্টোফার ইভান্স। ফলে তার বিকল্প হিসেবে মোহামেডানের দায়িত্ব দেয়া হয় স্থানীয় আলী আসগর নাসিরকে। এবার এই কোচও ছেড়ে দিয়েছেন দায়িত্ব। ১৩ ফেব্রুয়ারি সাইফ স্পোর্টিংয়ের কাছে হারের পরই ক্লাব ছেড়ে চলে যান খুলনার এই কোচ। ফলে গত দুই দিন ধরে দলকে কোচিং করাচ্ছেন জুয়েল। নাসিরের অনুশীলনে না আসার কথা স্বীকারও করেছেন মোহামেডানের সিনিয়র ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি।
এ দিকে কোচ নাসির জানান, ‘আমি এমন দলকে কেন কোচিং করাব, যেখানে আমি একাদশ গড়তে পারব না। ম্যাচের সময় খেলোয়াড় বদল করতে পারব না।’ ক্ষুব্ধ কণ্ঠে নাসির উল্লেখ করলেন, ‘প্রথম ম্যাচে আমি জোর করে একাদশ গঠন করি। ফলে সেই ম্যাচে জয়ও পাই বিজেএমসির বিপক্ষে। কিন্তু এরপরেই আমাকে আর একাদশ গঠন করতে দেয়নি ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু ও ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি।’ তিনি যোগ করেন, আরামবাগের সাথে ম্যাচে ১-১ এ ড্র চলছিল। তখন হঠাৎ আমার মতামত ছাড়া দুই মিডফিল্ডারকে তুলে ফরোয়ার্ড নামানো হয়। ফলে মিডফিল্ড ফাঁকা হয়ে যায়। এতে ফল যা হওয়ার তাই, ৪-১ গোলে হার। সাইফের সাথে সর্বশেষ ম্যাচে বাবার মৃত্যুর কারণে দুই দিন অনুশীলনের বাইরে থাকা ডিফেন্ডার মিন্টু শেখকে খেলানো হয়। আমি তা চাইনি। এই মিন্টুর দোষেই দুই গোল হজম। অথচ আমাকে বলা হলো মিন্টু না খেললে ১০ গোল হতো। আমি কিন্তু মিন্টুকে ছাড়াই জিতেছিলাম বিজেএমসির বিপক্ষে। এরপর সে ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে দেখি দুই ফুটবলার এমিলি ও মিঠুনকে নামানো হয়। তা আমার সাথে কথা না বলে।’ নাসিরের মতে, আমি যখন খুলনা আবাহনীর কোচ ছিলাম তখন ওই ছোট দলও কখনো টানা চার ম্যাচ হারেনি। এখন মোহামেডান টানা চার ম্যাচ হেরেছে। এতে কি আমার দোষ? আমি যেখানে দল সাজাতে পারব না, খেলোয়াড় বদল করতে পারব না তাহলে সেই দলে থেকে কেন হারের দায় নেব? কেন শিকার হবো অপবাদের? তাই গত ম্যাচ পরেই বাবু ভাইকে বলে দিয়েছি আমি আর আপনাদের সাথে নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা