২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ব্যাটিংয়ে মাশরাফির যত আক্ষেপ

নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসের উইকেট নেয়ার পর মাশরাফি বাহিনী আনন্দে মেতে উঠে : এএফপি -

এক পরাজয়ে সব শেষ হয়ে গেছে এমন তো নয়! বাংলাদেশ ওয়ানডেতে অনেক পরিণত। কিন্তু এটাও ঠিক, নেপিয়ারে যেভাবে হেরেছে টিম বাংলাদেশ, সেটা হওয়ার কথা না। ম্যাচে আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার প্রয়োজন ছিল। অথচ বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা প্রদর্শন করল সাদামাটা পারফরম্যান্স। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন কেমন হবে তা জানা ছিল আগেই। কিন্তু অমন কন্ডিশনে অ্যাডজাস্ট হওয়ার জন্য অন্তত এক সপ্তাহের প্রয়োজন। বাংলাদেশ দল কী তা পেড়েছে? মোটেও না। ঘরোয়া টি-২০ ক্রিকেট লিগ বিপিএলের শিডিউলে তা আর সম্ভব হয়নি। ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফাইনাল। এরপর অনেক ক্রিকেটার রওনা হয়ে গিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। না পেরেছেন ওই কন্ডিশনে ব্যাটিং করতে। না বোলিং। যে ক’জন ক্রিকেটার আগেভাগে গিয়েছিরলন তাদের নিয়ে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ হয়। তা ছিল অনেকটাই দায়সারা গোছের। এটাও ঠিক এক সপ্তাহ সেখানে গোটা টিম প্রাকটিস করলেই যে ভালো হয়ে যেত সব তা-ও কিন্তু নয়। তবু আফসোস এখন সেখানেই। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে পেস বোলারদের দাপট। সুইংয়ের বিপক্ষে ব্যাটিং করা সত্যিই কষ্টদায়ক। বিশেষ করে অনভ্যস্ত যেহেতু। কিন্তু এমন বোলিং ও ওই কন্ডিশনে ভালো করার নজিরও তো আছে।
কাল ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাশরাফির কথায় ফুটে উঠেছে অমন অনুশীলনের অভাবের কথা। নিজ দলের ব্যাটিংয়ের দুর্বলতার কথাও তিনি তুলে ধরেছেন। এটাও ঠিক, কন্ডিশন যতই কঠিন হোক না কেন, বাংলাদেশের ব্যাটিং এমন হবেÑ তা মেনে নেয়ার মতো নয়। অজুহাত হতে পারে দীর্ঘ সময় টি-২০ মুডে খেলে হঠাৎ ওয়ানডে এবং তা-ও অমন ফাস্ট ও বাউন্সি কন্ডিশনে খেলার পরিণত এমনই তো হওয়ার কথা। হতে পারে। এসব দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বের করে দিতে পারেনি বিসিবি এটাও বাস্তব। বিপিএলটাই যাদের কাছে বড় কিছু সেখানে ওয়ানডে ম্যাচের রেজাল্ট এমন হলে কার কী ক্ষতি?
মাশরাফি বলেন, ‘আমরা মূলত স্ট্রাগল করেছি ব্যাটিংয়ে। শুরুতেই উইকেট পতনের সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়াতে সেটা রিকাভার করা সম্ভবপর হয়নি।’ ৪২ রানে চার উইকেটের পতনের পর ১০০ রানের আগে নেই ৬ উইকেট। ওই স্কোর যে শেষ পর্যন্ত ২৩২ এ যাবে তাও বোধহয় কেউ কল্পনা করেনি। এটা ঠিক মোহাম্মাদ মিথুন ও মোহাম্মাদ সাইফুদ্দিনের দায়িত্বপূর্ণ ব্যাটিং ওই পর্যায়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এ দুই ব্যাটসম্যান যদি ব্যাটিং করতে পারেন, তাহলে অন্যদেরও পারার কথা ছিল। কারণ উইকেট ছিল ব্যাটিং সহায়ক। নিউজিল্যান্ড তো আর বাংলাদেশের মতো স্পিনকে প্রধান্য দিয়ে ব্যাটিং বান্ধব উইকেট করবে না। পেস নির্ভর উইকেটই করবেÑ এটাই সত্য। পরের ম্যাচগুলোতেও এমন উইকেট থাকবে। মাশরাফি বলেন, ‘দ্রুত এমন উইকেট পতন বা ব্যাটসম্যানদের অজুহাত মেনে নেয়া যায় না। হ্যাঁ, উইকেটের সাথে অ্যাডজাস্ট হতে সপ্তাহখানেক সময়ের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু (এমন একটা দলে যেখানে অভিজ্ঞতার সমাহার) এখানে কোনো অজুহাত মেনে নেয়ার মতো নয়।’ তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাব্বির রহমান, সৌম্য সরকার, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহীম। কার অভিজ্ঞতা কম? সাকিব হয়তো নেই। কিন্তু এমন সব ব্যাটসম্যানের উপস্থিতি সাকিবের অভাব অনুভব হওয়ার তো কথা নয়।
এখনো ওয়ানডে সিরিজের দুই ম্যাচ বাকি। সিরিজে ফিরতে হলে পরের ম্যাচটি অবশ্যই জয় প্রয়োজন। মাশরাফি আশা করছেন এক্ষুনি ব্যাটিং নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন। যাতে করে এমন কন্ডিশনে সুইংয়ের বিপক্ষে যথার্থ ব্যাটিং যাতে হয়। কারণ ভালো স্কোর ছাড়া লড়াই করা সম্ভবপর না। চ্যালেঞ্জিং একটা স্কোর সংগ্রহ করতে পারলে বোলাররা লড়তে পারেন। রানই যদি না হলো, সেখানে বোলারদেরই বা কী করার আছে।


আরো সংবাদ



premium cement
শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৪০ নিউইয়র্কে মঙ্গোলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দ করবে যুক্তরাষ্ট্র! টাঙ্গাইলে লরি-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১ জিম্বাবুয়ে সিরিজে অনিশ্চিত সৌম্য বেনাপোল সীমান্তে ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণের বারসহ পাচারকারী আটক

সকল