২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তবুও জেমির পছন্দের তালিকায় সোহেল!

-

ক্রমাগত হাস্যকর সব ভুল করে গোল খাওয়াচ্ছেন গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। ঢাকা আবাহনীর এই কিপারের সর্বশেষ এই দৃষ্টান্ত গত পরশু ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন স্টেডিয়ামে। প্রতিপক্ষ ছিল আরামবাগ। গত সাফে তিনি যেভাবে গোল হজম করেছিলেন নেপালের বিপক্ষে, ঠিক তেমনই আরামবাগের আরিফের শটে। সাফে বাংলাদেশের কোচ ছিলেন জেমি ডে। এই ইংলিশ এখনো বহাল তার পদে। পরশু তার চোখের সামনেই পুনরায় মারাত্মক ভুল সোহেলের। যে গোলরক্ষক নিত্য এমন ভুল করেন তার তো জাতীয় দল দূরের কথা ক্লাবের একাদশেই জায়গা হওয়ার কথা নয়। অথচ এরপরও চট্টগ্রামের এই ফুটবলার সুযোগ পেতে পারেন বাংলাদেশ দলে। ৯ মার্চ কম্বোডিয়ার মাটিতে দেশটির সাথে লাল-সবুজদের যে ফিফা প্রীতি ম্যাচ তাতে কোচের খসড়া তালিকায় আছেন সোহেল। এমনটা কাল নিজ মুখেই বললেন জেমি ডি।
২৩ ফুটবলার নিয়ে কম্বোডিয়া যাবেন কোচ। এই তালিকায় থাকবেন তিন গোলরক্ষক। এ জন্য জেমি যে চারজনকে পছন্দ করেছেন তাতে আছে সোহেলের নাম। বাকি তিনজন হলেন আশরাফুল ইসলাম রানা, আনিসুর রহমান জিকো ও মাজহারুল ইসলাম হিমেল।
রানা এবার খেলছেন শেখ রাসেলে। সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে সোহেল বাদ পড়ার পর রানা জাতীয় দলে তার এক নম্বর গোলরক্ষকের স্থানটি ফিরে পান। জিকো এখনো লিগে অপরাজিত থাকা বসুন্ধরা কিংসের এক নম্বর গোলরক্ষক। হিমেল আরামবাগের জার্সি গায়ে। এক বছর ফুটবল থেকে দূরে থেকে আবার খেলায় ফিরেছেন ২০১৫ সালে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া হিমেল।
এই চার কিপার প্রসঙ্গে কোচ জেমি ডের মন্তব্য, ‘রানা তার ফর্ম ধরে রেখেছেন। তার ছন্দপতন হয়নি। গত কয়েক মাসে খুবই ভালো করছেন জিকো। চমৎকার ফর্মে রয়েছেন হিমেল।’ সোহেলকে কেন পছন্দ? জেমির উত্তর, ‘সোহেল এখনো দেশের এক নম্বর গোলরক্ষক। দারুণ শারীরিক উচ্চতা তার। অসাধারণ সব সেভ করে।’ এরপরেই যোগ করেন, ‘তবে হ্যাঁ, মাঝে মধ্যে সে মারাত্মক ভুল করে। এটা তার ম্যাচে মনোসংযোগের অভাবে। কিছুক্ষণের জন্য সে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায়। দেখুন সে কিন্তু খুব ভালো খেলেছে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে। অন্য খেলাগুলোতেও ফর্ম ভালো। অথচ আরামবাগের সাথে কী ভুল টাই না করল!’ কোচের মতে আরো উপরে উঠতে হলে সোহেলকে এই ভুলগুলো দূর করতেই হবে। জেমির দেয়া তথ্য, জাতীয় দলের জন্য আমার পছন্দের তালিকায় সোহেল, রানা, জিকো ও হিমেল। সেখানে থেকে তিনকে কম্বোডিয়াগামী দলে অন্তর্ভুক্ত করব।
কোচের কথায় বুঝা গেল রানাই খেলতে পারেন কম্বোডিয়ার বিপক্ষে। তবে মার্চে বাহরাইনে অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলে বাংলাদেশের একাদশে থাকবেন জিকো। এটা নিশ্চিত। তার সঙ্গী হতে পারেন সাইফ স্পোর্টিংয়ের পাপ্পু হোসেন এবং আরামবাগের মাহফুজ হাসান প্রীতম। শেখ জামালের কিপার মোহাম্মদ নাঈমও ডাক পেতে পারেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলে, জানান কোচ।
কম্বোডিয়াগামী দলে সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী-পুত্র হারানো শেখ রাসেলের মিডফিল্ডার সোহেল রানা ডাক পেতে পারেন। এ ছাড়া নোফেলের ফরোয়ার্ড খন্দকার আশরাফুল ইসলাম, রহমতগঞ্জের মিডফিল্ডার রাকিবুলও কোচের পছন্দের তালিকায়। আর অনূর্ধ্ব-২৩ দলে আরামবাগের ডিফেন্ডার রকি, বসুন্ধরা কিংসের ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে নিতে পারেন কোচ। জানান তিনি। বাহরাইন যাওয়ার আগে অনূর্ধ্ব-২৩ দল কাতারে দু’টি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলবে বড় ক্লাবের সাথে, তথ্য দেন জেমি ডে।

 


আরো সংবাদ



premium cement