২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজশাহীকে হারিয়ে একক শীর্ষে ভাইকিংস

ইভান্সের আবার দায়িত্বপূর্ণ ৭৪। মুশফিকের হার না মানা ৬৪
চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছেন : শফিউদ্দিন বিটু -

ইভান্সের আবারো দুর্দান্ত ব্যাটিং। ১০৪ রানের পর রাজশাহী কিংসের এ টপ অর্ডার খেলেছেন ৭৪ রানের এক ইনিংস। কিন্তু এতে দলের সাফল্য পেতে কোনো লাভ হয়নি। ভাইকিংসের দুই ড্যাশিং ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম ও মোসাদ্দেক হোসেনের হার না মানা ৮৮ রানের পার্টনারশিপে জয়ের তীরে পৌঁছে যায় ভাইকিংস এবং সেটা ৪ বল হাতে রেখেই। এ জয়ে এককভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে মুশফিকের দল। সাত ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ১২। প্রথম ব্যাটিং করতে নামা রাজশাহীর স্কোর ছিল ১৫৭ পাঁচ উইকেটে। জবাবে খেলতে নেমে চিটাগাংয়ের সূচনা তেমন ভালো না হলেও মুশফিক অনেকটা একাই দায়িত্ব নিয়ে খেলে দলের জয় নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মুশফিক খেলেছেন স্বভাবসুলভ ম্যাচ। তাড়া ছিল না। স্কোরের দিকে নজর রেখে যা করতে হয়, সেটাই করেছেন তিনি। খেলেন ৬৪ রানের অপরাজিত এক ইনিংস। ৪৬ বলে ২ ছক্কা ও ৬ চারের সাহায্যে ওই রান করেছেন তিনি। তার শেষ পার্টনার মোসাদ্দেকের রান ৪৩। ২৬ বলে ওই রান করেছেন তিনি ২ ছক্কা ৪ চার চারের সাহায্যে। মুশফিক ও মোসাদ্দেকের সংগ্রহ করা ৮৮ রানের পার্টনারশিপটা ৮.৫ ওভারে সংগ্রহ করা। এর আগে মোহাম্মদ শেহজাদ ও ডেলপোর্ট ইনিংস ওপেনিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি। ডেলপোর্ট আউট হয়ে যান ১ রান করে। এরপর আউট হন ইয়াসির আলীও। খানিকটা চাপের মধ্যেই ছিল ভাইকিংস। ১ রানের মাথায় শেহজাদও বিদায় নেন। মুশফিক যেন ঠায় দাঁড়িয়ে ক্রিজে। মুশফিকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন এসে নাজিবুল্লাহ জারদান। এরা দলীয় রান ৭১ এ নিয়ে যেয়ে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর মুশফিক মোসাদ্দেককে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন। আরাফাত সানি নিয়েছেন ৩ উইকেট। এ ছাড়া আর কেউই ব্যাটের ওপর প্রাধান্য বিস্তারে সমর্থ হননি।
এর আগে প্রথম ব্যাটিং করতে নামা রাজশাহী কিংসের ওপেনার ইভান্সের সাথে সৌম্য সরকার ওপেন করতে নামলে সৌম্য আউট হয়ে যান ৩ রান করেই। দলের রান তখন সবে ৫। আট রানে বিদায় নেন মার্শাল আইয়ুব। ডেসকাটকে নিয়ে ইভান্স আগের ম্যাচের মতোই এগিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু এবার তাদের পার্টনারশিপ অতটা সুখকর হয়নি। ২৮ রান করে আউট হন ডেসকাট। পরে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ইয়োঙ্কারের ২০ বলে করা অপরাজিত ৩৬ রানের ওপর ভর করে রাজশাহী পৌঁছে যায় ওই মার্কে। তার সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দলের অধিনায়ক টপ অর্ডারে নামলেও সুবিধা করতে পারছিলেন না। এতে করে নিজেই নিচে নেমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
এদিন অবশ্য বেশি বল খেলার সুযোগ হয়নি তার। ৪ বল খেলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। চিটাগাংয়ের ওপেনার ইভান্স তার রান সংগ্রহ করেছেন অবশ্য ৫৬ রানে। যা ম্যাচের একক সর্বোচ্চও। ২ ছক্কা ৮ চারের সাহায্যে ওই রান করেছেন তিনি। ইনিংসে আউট হয়েছিলেন তিনি ১১৯ রানে। বোলিংয়ে চিটাগাংয়ের হয়ে খালেদ আহমেদ নেন দুই উইকেট। এ ছাড়া ফ্রাইলিংক ও সানজামাম নেন একটি করে।

 


আরো সংবাদ



premium cement