২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

লরি ইভান্সের সেঞ্চুরিতে ভিক্টোরিয়ান্স বিধ্বস্ত

চতুর্থ উইকেটে বিপিএল রেকর্ড
সেঞ্চুরি করার পর রাজশাহী কিংসের লরি ইভান্স : শফিউদ্দিন বিটু -

তাকে ঘিরে এমন ব্যাটিংয়েরই ছিল প্রত্যাশা রাজশাহী কিংসের। ইংল্যান্ডের এ মারকুটে ব্যাটসম্যান নিজেকে যেন খুঁজে পাচ্ছিলেন না। কাল মিরপুরে নিজের ব্যাটিং বিপিএলের উৎসবেরও কারণ বানিয়ে দিয়েছেন। কারণ এটাই যে এ আসরের প্রথম সেঞ্চুরি। টি-২০ ক্রিকেটে সেঞ্চুরি হওয়ার অর্থ ব্যাটিং কেমন হওয়ার কথা সেটা দর্শকেরাই অনুধাবন করেন। বিপিএলে এবার রানই হচ্ছিল না! এমন অজুহাত ছিল। সিলেটে শেষের দিকে রানের দেখা মেলে। দুই শতাধিক রানও হয়। এরপর ঢাকায় ফিরে প্রথম ম্যাচেই লরি ইভান্স জানিয়ে দিলেন সিলেট কেন, ঢাকাতেও সম্ভব রান। কাল রাজশাহী কিংসের এ ব্যাটসম্যান চমৎকার খেলেছেন। তার করা অপরাজিত ১০৪ রান রাজশাহীকে ফ্রন্টফুটে নিয়ে যেতে সহায়তা করেছে। তেমনি জয়েও রেখেছে বড় ভূমিকা। খেলায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া আর পেরে ওঠেনি। হেরে যায় ৩৮ রানে।
এ ম্যাচে ইভান্স সেঞ্চুরি করলেও যে খুব বেশি রান উঠেছিল তা কিন্তু নয়। ১৭৬/৩। এটা সচরাচর রান। কুমিল্লার যে ব্যাটিং লাইন তাতে এ স্কোর টপকে যাওয়া সম্ভব ছিল; কিন্তু ম্যাচ যে আসলে ইভান্সের। সেটা কেড়ে নেবেন তারা কিভাবে? পারেনওনি। ১৮.২ ওভারেই অল আউট ১৩৮ রানে কুমিল্লা। ইভান্সের মতোই দলে সুবিধা করতে না পারা আরেক বোলারও চমক দেখান। তিনি কামরুল ইসলাম রাব্বি। বল হাতে রীতিমতো আগুন ধরিয়েছেন তিনি। নিয়েছেন চার উইকেট মাত্র ১০ রানের বিনিময়ে। তিন ওভারে উইকেটগুলো নিয়েছেন ওই পেসার। এ ছাড়া ওয়েসিস নেন দুই উইকেট। এতেই শেষ তামিম ইকবালের ব্যাটিং লাইন।
তবে ম্যাচে সব ছাপিয়ে ইভান্সের ব্যাটিংই ছিল মন মাতানো। ৬২ বলে ওই রান করেছেন তিনি ৬টি নয়নাভিরাম ছক্কা ও ৯টি চারের মারে। ম্যাচে আরো একটি কৃতী গড়েছেন ইভান্স। সেটা রায়ান ডাসকাটের সাথে চতুর্থ উইকেট জুটিতে বিপিএল রেকর্ড। ১৪৮ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপ তাদের, যা ২০১৬ সালের মারলন স্যামুয়েলস ও মাশরাফির করা ১২৩ রান ছাড়িয়ে রেকর্ড। এ ম্যাচে প্রথম ব্যাটিং করতে নামা রাজশাহীর ইনিংস ওপেনিংয়ে এসেছিলেন শাহরিয়ার নাফিস ও ইভান্স। নাফিস ৫ রান করেই সাজঘরে। দলীয় ১৩ রানে মেহেদী হাসান মিরাজও আউট। ২৮ রানে আউট হন মার্শাল আইয়ুব। কিছুটা টেনশনেই পড়ে গিয়েছিল রাজশাহী; কিন্তু এর পরের জুটিটা বাঁধেন অপর ওপেনার ইভান্সের সাথে রায়ান ডেসকাট। এ দু’জন মিলে দেখে শুনে খেলতে থাকেন। প্রথমত, সাবধানের সাথে খেলে এগিয়ে, এরপর দলীয় প্রয়োজনেই দ্রুত রান সংগ্রহে মনোনিবেশ করেন। তবে ব্যাটিং দেখার মতো ছিল ইভান্সেরই। এ আসরে ১০, অপরাজিত ১, ০, ২, ও ০ রানের পর কাল খেলেছেন ১০৪ রানের ইনিংস। এটা অবশ্য তার ক্যারিয়ারের প্রথম টি-২০ সেঞ্চুরিও বটে। সেঞ্চুরি পান তিনি যেয়ে শেষ ওভারে। পেরেরার করা শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ১ রান নিয়ে সেঞ্চুরির মার্কে পৌঁছেন এ ইংলিশ তারকা। ৬১ বলে ওই মার্কে পৌঁছেছিলেন তিনি। তার আগে হাফ সেঞ্চুরি করেন ৪০ বলে। অবশ্য পেরেরার বলে ছক্কা হাঁকিয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ইভান্স ছাড়াও ডেসকাটও চমৎকার খেলেছেন। তার করা ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন ৪১ বলে। ২ ছক্কা ও ২ চার হাঁকিয়েছিলেন তিনি।
এরপর জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কুমিল্লার দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও বিজয় খেলতে নেমে ৩৭ রানের পার্টনারশিপ খেলে বিচ্ছিন্ন হন তামিম। আউট হন তিনি রাব্বির বলে। এরপর বিজয়কে আউট হন ডেসকাটের বলে। শামসুর রহমান ও জিয়াউর দলের দায়িত্ব নিলেও সেটা সুবিধা হয়নি। দু’জনই আউট হয়ে যান যথাক্রমে ৭১ ও ৯৩ রানে। আউটের এ ধারা যেন অব্যাহতই থাকে। অপর দিকে রাব্বি নিখাঁত নিশানায় বল রেখে প্রচণ্ড চাপ তৈরি করেন, যা থেকে আর বের হতে পারেনি তারা। একের পর এক আউট হয়ে ইনিংসই শেষ হয়ে যায় কুমিল্লার ১০ বল হাতে রেখেই। খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন দুর্দান্ত ব্যাটিং করা লরি ইভান্স।


আরো সংবাদ



premium cement
ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবার কবরে শুয়ে ছেলের প্রতিবাদ ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরো ৭১ জন নিহত পানছড়ি উপজেলায় চলমান বাজার বয়কট স্থগিত ঘোষণা আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করেছে : দুদু যুক্তরাষ্ট্র টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের এন্ডারসন লড়াই ছাড়া পথ নেই : নোমান

সকল