২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিলেটের ম্যাচ উত্তাপ ছড়াচ্ছে

-

যতটা সহজ হবে ভেবে রাখা হয়েছিল ততটা হয়নি। সিরিজে প্রচণ্ড দাপটেই ফিরলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে শেষ ম্যাচটা হয়ে গেছে ফাইনাল তুল্য। যে জিতবে তারই যখন সিরিজ, তখন ম্যাচের আমেজ অমনই। দুই দলকেই সতর্কতার সাথে খেলতে হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ একটু বেশি। সেটা অবশ্য প্রতিপক্ষকে নিয়ে নয়, নিজেদের নিয়েই। শেরেবাংলায় দ্বিতীয় ম্যাচটা যে একেবারে খারাপ হয়েছে তা নয়। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রত্যাশার চেয়ে বেশিই ভালো খেলে ফেলেছে। বিশেষ করে শাই হোপ। এতটা ভালো ব্যাটিং করবেন সেটা ছিল ধারণারও বাইরে। এ একজন ব্যাটসম্যানই ম্যাচটা শুরু থেকে টেনে নিয়ে জিতিয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরেছেন। বাংলাদেশ দলের বেশ কিছু ভুল ছিল। এর সাথে ছিল কিছুটা গাছাড়া ভাবও। অবশ্য কিছু কিছু সময় সব আয়ত্তে থাকেও না। তেমন হলে ক্রিকেটারদেরও করার থাকে না কিছুই। ওই ম্যাচে ঘটেছে অমন কিছু। রান আউট, ক্যাচ ড্রপ। সময়োপযোগী ব্যাটিং। এগুলোতে ছিলেন তারা ব্যর্থ। উইকেট থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের শেষ দুই ওভারে বাউন্ডারি না পাওয়াও ছিল হতাশার। যা মাশরাফি ও মেহেদি হাসান মিরাজের কথাতেও আছে। ২০-৩০ রানের আক্ষেপ ছিল। ওই রান হতেই পারত। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা আড়াই শ’ রান দেখার পর আর অতটা রিস্কে যেয়ে খেলেনি। এটা তো গেল শ্লগওভারে ব্যাটিংয়ের কথা। প্রতিপক্ষ যখন চেজিংয়ে নেমেছিল, তখনো শেষের দিকে বোলিং ভালো হয়নি পেসারদের। রুবেল, মুস্তাফিজ ভালো বোলিং করতে পারলে আয়ত্তে রাখা সম্ভব হতো। সেটাও হয়নি। সিলেটে এসবের উন্নতির প্রয়োজন। সবার আগে প্রয়োজন হবে আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে ওঠা। যা মোটেও ঠাহর করা যায়নি দ্বিতীয় ম্যাচে। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ একেবারে লড়াইই করতে পারেনি। বাংলাদেশকে অতটা বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু স্বরূপে যখন ফিরেছে ক্যারিবিয়ানরা, তার আগেই যে ব্যাকফুটে যেয়ে বসেছিল বাংলাদেশ। সমস্যা সেখানেই।
অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর অভ্যাস বাংলাদেশের রয়েছে। কাল মেহেদি হাসান মিরাজও বলেছেন সে কথা। তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটার কথা কী মনে আছে। অতদূর যাওয়ারও প্রয়োজন নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজেও কিন্তু বাংলাদেশ ১-১ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। শেষ ম্যাচে জয় নিয়ে সিরিজ জিতেছে।’ মাশরাফি-সাকিবদের মনে এখন শুধু ওই উৎসাহটা। সিলেটে জিতে সিরিজটাও জেতা চাই। নিজেদের সেরাটা দিয়ে ঘরের মাঠের সিরিজটা হাতছাড়া করা যাবে না। অবশ্য এটাও ঠিক, প্রতিপক্ষকে নিয়ে ভেবে লাভ নেই। দলের প্রতিটা ক্রিকেটার নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের সক্ষম হলে এবং মাশরাফিদের যে অ্যাটাকিং মুভমেন্ট সেটা প্রদর্শন করতে পারলেই হলো।
সিলেট নিয়ে একটা ভয় ইতোমধ্যে তৈরি হয়ে আছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল তিন দিনে। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতা ছিল সেখানে। উইকেট ব্যাটিং সহায়ক থাকলেও কেউই পারেনি দায়িত্ব পালনে। ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষ দলের ভারতীয় কোচ বাংলাদেশের পরাজয়ের জন্য তাদের (বাংলাদেশের) মনমানসিকতা দায়ী করেন। টেস্ট ক্রিকেটে দেখে শুনে খেলতে হয় বল। বাংলাদেশ শুরু ওই ম্যাচে খেলেছিল ওয়ানডে স্টাইলে। এবার এ ম্যাচে কী করবেন তারা সেটা চিন্তার বিষয়। ইতোমধ্যে মাশরাফি যে ইঙ্গিত দিয়েছেন সেটা চিন্তার কারণ। কেননা সিলেটে যে স্পিনসহায়ক উইকেট হবে। প্রতিপক্ষকে স্পিন দিয়ে ঘায়েল করে দেয়া যাবে তা কিন্তু নয়। অনুমান করা হচ্ছে উইকেট হবে স্পোর্টিং। অমন উইকেটে প্রতিটা ডিপার্টমেন্টেই ভালো খেলতে হবে। না হয় ম্যাচে সাফল্য আসবে না। তা ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজও ক্ষুধার্ত। নিজ মাঠে ওয়ানডে সিরিজ হারের প্রতিশোধ তারা নিতে চাইবে বাংলাদেশের এ সিরিজে। তা ছাড়া এখানে টেস্ট সিরিজ হেরেও তো লজ্জায় ডুবেছে। এটাই এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মাশরাফি, সাকিবদের। ১৪ ডিসেম্বরের ওই ম্যাচে বাংলাদেশের সব ক্রিকেটার নিজ নিজ দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করতে পারলে সমস্যা না। কিন্তু সেটা পারবেন তো সবাই!

 


আরো সংবাদ



premium cement
শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু নীলফামারীতে তিন হাজার ১৭০ চাষির মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু উজ্জ্বল হত্যার বিচার দাবিতে সরিষাবাড়ীতে মানববন্ধন পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ২১ খাবারের সন্ধানে বসতবাড়িতে হরিণ, মহামায়ায় অবমুক্ত সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফিরোজ মাহমুদের লাশ দেশে ফিরেছে ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সব ধর্মের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে: ড. সুকোমল বড়ুয়া

সকল