২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফিল্ডিং উন্নতিতে মনোযোগ কুকের

বল নিয়ে প্র্যাকটিসে ক্রিকেটারেরা : আখতার হোসাইন -

টানা চার টেস্টে চরমভাবে ব্যার্থ হওয়ার পরই জয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ। যার মূলে ছিল ভাল ব্যাটিং। মুশফিকুর রহীমের ডাবল সেঞ্চুরি ও মুমিনুল হকের ১৬১ রানের ইনিংসের উপর ভর করেই বাংলাদেশ পার হয়ে গেছে অতীতের সব ব্যর্থতার গ্লানি। কিন্তু এক ম্যাচের পারফরমেন্সই কী সব ভুলিয়ে দেয়া সম্ভব। এখনও উন্নতির রয়েছে অনেক স্থান। ব্যাটিং লাইনেও নেই ডিসিপ্লিন। ওই দুই ব্যাটসম্যান হঠাৎ করেই ভাল ব্যাটিং করে ফেলার জন্য জয়টা এসেছে পঞ্চম দিনে। তবে শেষের দিন কিছুটা হলেও হতাশাও ছিল। যার মূলে ছিল আরো একটা সমস্যা। ফিল্ডিং। সিলেট টেস্টে যেমন ব্যার্থতা ছিল অনেকগুলো স্থানে, তেমনি ঢাকাতেও ফিল্ডিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনতিই বড় দলগুলোর বিপক্ষে হাফ চান্সকে ফুল চান্স করে সাফল্য বের করে আনতে হয়। সেখানে যদি ফুল চান্স মিস হয়। তাহলে সাফল্য আসবে কিভাবে?
জিম্বাবুয়ে সিরিজের ওই শঙ্কা কাটিয়ে ওঠা যাচ্ছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে। ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদেরও যদি ক্যাচ ড্রপ হয় তাহলে দুশ্চিন্তার আর অন্ত থাকবে না। দলের দক্ষিণ আফ্রিকান ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু উন্নতি কী দেখা যাবে আসন্ন সিরিজে? প্রশ্নটা ঘুরে ফিরে উঠছেই। গতকাল চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে এ ফিল্ডিং কোচ বলেন, ‘যে ক্যাচগুলো ড্রপ হয়েছে সেগুলো ছিল কিছুটা কঠিন। তবে প্রথম (সিলেট) টেস্টে আমরা ৯১% ক্যাচই আমরা ধরেছি’। যেটি সত্যিই অসাধারণ। ওয়ার্ল্ড ক্লাশ। তবে দ্বিতীয় টেস্টে কঠিন কিছু ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে। সবাই পরিশ্রম করছে যাতে ভবিষ্যতে আর যেন না হয়।’
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার এ কোচ খুবই আশাবাদী। তিনি এখানে বিশ্বমানের ফিল্ডার তৈরি করতে চান। এ ব্যাপারে তিনি পরিশ্রম করছেন। তিনি বলেন, ‘ফিল্ডিং নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাকে মুগ্ধ করেছে। বেশ অগ্রগতিও আছে। তবে ফিল্ডিংয়ের মানের কথা বললে, দক্ষিণ আফ্রিকায় অনেকের উদাহরণ আছে। কেউ হয়তো জন্টি রোডস বা হার্শেল গিবসের মতো হতে চায়। এখানকার ক্রিকেটাররা সেই জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন। খেলোয়াড়দের তাই আরও ভালো হতে হবে। পরিশ্রম করতে হবে।’
টেস্টে একজন বোলার অনেক পরিশ্রম করেন। অনেক প্লান করে একজন ব্যাটসম্যানকে বিপাকে ফেলেন। কারন ব্যাটসম্যানরা যেহেতু সব বল খেলতে যান না। একটু টাফ বল দেখলেই ছেড়ে দেন। তাই পরিশ্রমটা বোলারদেরই বেশী। কঠোর পরিশ্রম। এমন পরিশ্রম করে ভাল বলে ক্যাচ উঠলে সেটা যদি ফিল্ডাররা মিস করেন,সেটা আর কস্টের সীমা থাকেনা। একজন বোলারের মনসংযোগেও ব্যাঘাত ঘটতে পারে ক্যাচ ড্রপে। ফলে টেস্ট ক্রিকেটে ক্যাচ ড্রপ অনেক গুরুত্বপুর্ণ একটা ব্যাপার। দক্ষিণ আফ্রিকার এ কোচও সেটাই মনে করেন। তিনি এটাও বলেছেন, একজন বোলার যেমন উইকেটের জন্য লড়েন। একজন ফিল্ডারও ভাল কিছুর জন্যই মাঠে থাকেন। কিন্তু দু’জনেরই সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়। যখন ফিল্ডার মিস করেন, তখন তার যেমন কষ্ট তেমনি বোলারেরও। ফলে দু’জনকে সতর্ক থাকতে হবে। এবং দলের সাফল্যের জন্য দু’জনকেই সমান পরিশ্রম করতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement