১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সানডের হ্যাটট্রিক ফাইনালে আবাহনী

ঢাকা আবাহনী ৪ : ২ শেখ জামাল (সানডে ৩, সাইঘানি) ( দিদার ২)
-

শেষ ১১ মিনিটে চার গোল। আবাহনী গোল দিচ্ছে আর পরোক্ষণেই ব্যবধান কমাচ্ছে শেখ জামাল। এই পাল্টাপাল্টি গোলে বেশ উপোভোগ্য হয়ে উঠেছিল গতকাল ফেডারেশন কাপের প্রথম সেমিফাইনাল। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর বিরতির পর ৬ গোল। চিত্তাকর্ষক সেমিফাইনাল বলতেই হবে। ২ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর শেখ জামাল যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল তা থেকে শেষ পর্যন্ত আবাহনী পরিত্রাণ পায় সানডে চিজুবার গোলে। এই নাইজেরিয়ানের হ্যাটট্রিকে কাল শেখ জামালকে ৪-২ গোলে হারিয়ে আকাশি-নীল শিবির এখন ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের ফাইনালে। ২৩ নভেম্বর ফাইনালে তারা পাবে আজ শেখ রাসেল ও বসুন্ধরা কিংসের মধ্যকার জয়ী দলকে। কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সানডে এবারের মওসুমে তৃতীয় বিদেশী হিসেবে ম্যাচে তিন গোল করলেন। এর আগে বিজেএমসির উজবেক ফুটবলার ওতাবেক এবং বসুন্ধরা কিংসের কোস্টারিকান কলিনড্রেস হ্যাটট্রিক করেন।
ওপরে সানডে আর নিচে গোলরক্ষক সোহেল। এই কম্বিনেশনে কাল মূলত টানা তৃতীয় বারের মতো ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠা আবাহনীর। প্রথমার্ধে খেলা ছিল শেখ জামালেরই দখলে। ৩৫ ও ৩৯ মিনিটে তারা দুইবার লিডের খুব কাছে চলে গিয়েছিল। প্রতিবারই ত্রাণকর্তা সাফে বাংলাদেশকে ডোবানো কিপার শহীদুল আলম সোহেল। প্রথমে তিনি ঠেকান শেখ জামালের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড পেরেজের তীব্র শট। তার পরের প্রতিরোধটা ছিল আরো দুর্দান্ত। সলোমন কিংয়ের ফ্রি-কিকে ফ্লিক হেড করেন ডিফেন্স থেকে উঠে আসা শওকত রাসেল। সে বল গোললাইন অতিক্রম করার ঠিক আগে কর্নার করেন সোহেল। যে কারণে সোহেলকেই ম্যাচসেরা বললেন শেখ জামাল কোচ যোসেফ আফুসি। তার মতে, আমরা হেরেছি টিম আবাহনী এবং গোলরক্ষক সোহেলের কাছে। সোহেল ওই সেভ না দিলে আমরাই এগিয়ে যেতাম।’ যদিও নির্বাচকেরা সেরা ফুটবলারের পুরস্কার দিয়েছেন হ্যাটট্রিক করা সানডেকে।
৫৭ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোল হওয়ার আগ পর্যন্ত ম্যাচ ছিল শেখ জামালেরই নিয়ন্ত্রণে। এরপর গোল আবাহনীর। রুবেল মিয়ার ফ্রি-কিকে আফগান ডিফেন্ডার মাসি সাইঘানির শটে লিড জাকারিয়া বাবুর দলের। ৬৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সানডে ব্যবধান দ্বিগুণ করার পর মনে হয়েছিল ম্যাচের আকর্ষণই শেষ। কিন্তু ৭৯ মিনিটে দিদারুল আলম চমৎকার গোল করে ব্যবধান কমান। তখনই নড়েচড়ে বসে স্টেডিয়ামে উপস্থিতরা। আশা জাগে শেখ জামালের। এরপরই ওয়ালির ফ্রি-কিকে সানডের হেড জালে গেলে সুবিধাজনক অবস্থানে আবাহনী। পরোক্ষণেই আবার বদলি দিদারের চমক। ৮৪ মিনিটে বক্সে সৃষ্ট জটলা থেকে ফের গোল টম সেইন্টফিটের সময় জাতীয় দলে ডাক পাওয়া দিদারের। স্কোর লাইন ৩-২। এই অবস্থায় ফের সানডে ঝলক। ৮৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া তার শটে জয় নিশ্চিত আবাহনীর।
হ্যাটট্রিক করার পর সানডে পুরো কৃতিত্ব দিলেন সৃষ্টিকর্তাকে। জানান, ‘আমরা এখন চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’ তার সম্পর্কে কোচ জাকারিয়া বাবুর মন্তব্য, সানডে স্বরূপে ফিরেছে এটা ভালো দিক।

 


আরো সংবাদ



premium cement