১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আমাদের চোখের পানি কেউ দেখে না!

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ
-

পারফরম্যান্স খারাপ। ম্যাচ হারলে খেলোয়াড়রাও যে কষ্ট পায়, সেটা কি কেউ খবর রাখে? মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দ্বিতীয় টেস্টম্যাচ শেষে এভাবেই বুঝাতে চেয়েছিলেন তাদের কষ্টের কথা! কারণ বাজে পারফরম্যান্স হলে সমালোচনা করতে কেউই ছাড়ে না। সর্বত্র ওই ব্যর্থতার গল্প। খেলোয়াড়রাও কিন্তু ব্যর্থতায় সমান ব্যথিত। তিনি বলেন, ‘আমাদের চোখের পানি কেউ দেখে না!’ সিলেট টেস্টে সাড়ে তিন দিনে হারের পর সত্যিই মুষড়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত জয়ের পর প্রথম টেস্টে ওভাবে ভেঙে পড়বে সেটা কল্পনা করেনি কেউ। সবাইকে হতাশার সাগরে ভাসিয়ে সে টেস্টে বিপর্যস্ত হার ছিল টিম বাংলাদেশের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও বলেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ, ‘এভাবে টেস্টম্যাচ খেলার মানে হয় না।’ গতকাল ঢাকা টেস্টম্যাচ জয়ের পরও সে ওই কথা আবারো উচ্চারণ করেছেন। বলেছেন, ‘সিলেটে আমাদের অনেক কিছুতে ডিসিপ্লিনের অভাব ছিল। আসলে সেভাবে ম্যাচ খেলার মানে হয় না। তবে এ ম্যাচে আমরা অনেক রিকভার করতে পেরেছি। ডিসিপ্লিন ফিরেছে। তবে এখনো অনেক স্থানে উন্নতি করার সুযোগ আছে। ইনশাআল্লাহ হবে।’
উন্নতির স্থানগুলোর দিকে নজর তিনি দেন মূলত ব্যাটিং ও ফিল্ডিংয়ে। ব্যাটিংয়ে এ ম্যাচেও ধারাবাহিকতার অভাব ছিল। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে টপ অর্ডার ভেঙে পড়ে। এটা একটা ব্যাটিং লাইনের জন্য চিন্তার কারণ। মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘প্রথম ইনিংসে সূচনার বাজে অবস্থার পর মুশফিক ও মুমিনুল অসাধারণ খেলেছেন। বিশেষ করে সে সময়ের উইকেটে খেলা ইজি ছিল না। তবু সেখানে অনেক পরিশ্রম করে খেলেছিলেন ওই দু’জন। দ্বিতীয় ইনিংসেও সূচনা ভালো ছিল না। এরপর সেটা রিকভার করা গেছে। বোলাররাও ভালো করেছেন। বিশেষ করে তাইজুল ও মিরাজ ভালো খেলেছেন। খালিদ ভালো বোলিং করেছেন অভিষেক টেস্টম্যাচ হিসেবে। তবে সূচনায় নার্ভাস হন। তার ব্যাড লাক উইকেট পাননি। ক্যাচ ড্রপ ছিল। একটা উইকেট পেলে তার আত্মবিশ্বাস আরো বেড়ে যেত। আর মুস্তাফিজ তো অসাধারণ বোলিং করেছেন। তবে উইকেট পেতে ভাগ্যও লাগে। সেটা সহায়তা না দিলেও তিনি ভালো করেছেন।’ রিয়াদ ক্যাচ ড্রপ নিয়ে অতটা সন্তুষ্ট নন। কিছুটা সমস্যা আছে। তবে সেটা নিয়ে অতটা চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই।
উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘উইকেট কিন্তু পঞ্চম দিন পর্যন্তই ভালো ছিল। এ দিনও মাঝে মধ্যে সমস্যা দেখা দিলেও একেবারে যেভাবে আশা ছিল, সেভাবে হয়নি। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ, ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ। তবে দু’টিতেই চ্যালেঞ্জ তার জন্য। এটা ঠিক অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদুল্লাহর প্রথম টেস্ট জয় বাংলাদেশের। কিন্তু ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ কতটা সাকসেস, তার জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখবেন আমার গত চার টেস্টে হাফ সেঞ্চুরিও ছিল না। বলতে পারেন এটা নিয়ে কিছুটা কনসার্নও ছিলাম। এ ম্যাচে আমি কিছুটা হলেও চেষ্টা করেছি। তা ছাড়া একজন অধিনায়ক হিসেবেও আমার দায়বদ্ধতা আছে। সেটাতে মনে হয় কিছুটা হলেও সফল হয়েছি।’
তবে মাহমুদুল্লাহ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে এখনই সতর্ক হচ্ছেন। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনেক ফাস্ট বোলার রয়েছে যারা ১৪০-১৪৫ গতিতে বাংলাদেশের কন্ডিশনেও বল করতে সক্ষম। ফলে তাদেরকে সামলাতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সে মানের ব্যাটসম্যান অবশ্যই রয়েছে যারা তাদের গতির বোলারদের সামলানোর যোগ্যতা রাখেন। তবে আমি আগেও বলেছি আমাদের ডিসিপ্লিনে দুর্বলতা ছিল। এখানে আমরা ফিরতে পেরেছি।’


আরো সংবাদ



premium cement