বাংলাদেশ দলে স্বস্তির নিঃশ্বাস
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০
মাহমুদুল্লাহ সেঞ্চুরি করেই সেজদায়। তার দেখা দেখি মেহেদি হাসান মিরাজও। ক্রিকেটে এমন দৃশ্য বিরল। মিরাজ তো সেঞ্চুরি করেননি, তাহলে সেজদা কেন? মেহেদি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন (বিগত চার টেস্টে) ধরেই রান পাচ্ছিলাম না আমরা ব্যাটসম্যানরা। এ নিয়ে বহু সমালোচনা। এ ম্যাচে আল্লাহর রহমতে আমরা অনেক রান পেয়েছি। এ ইনিংসে রিয়াদ ভাই সেঞ্চুরি পেলেন। আগের ইনিংসে মুশফিক ভাইয়ের ডাবল সেঞ্চুরি। মুমিনুল ভাইয়েরও ১৬১ রানের এক ইনিংস। ফলে এদিন রিয়াদ ভাইয়ের সেঞ্চুরির পর সেজদা দেখে আমিও দলের রান পাওয়ার আনন্দে সেজদা করেছি। সত্যিই বাংলাদেশ দলে এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস। টানা চার ম্যাচের আট ইনিংসে ২০০ রানও না করতে পারা দলটির ওপর দিয়ে কী ঝড় যাচ্ছিল সেটা ভুক্তভোগীরাই অনুধাবন করেছেন। সমালোচনার বিষাক্ত তীরে ক্ষতবিক্ষত টিম বাংলাদেশে গতকাল আনন্দ বাইছে। কারণ প্রথম ইনিংসে ৫২২/৭ ডিকেয়ারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৪/৬ করে আবারো ডিকেয়ার। এ ম্যাচে অন্তত দীর্ঘদিন ধরে রান না পাওয়ার যে আফসোস সেটা মেটানো সম্ভব হয়েছে। ম্যাচে যে অবস্থা তাতে জিম্বাবুয়ের জয় বা ড্র করার সম্ভাবনা ক্ষীণ। জয়ের আনন্দ বইতে শুরু করেছে ড্রেসিং রুমে।
তবু কেন জিম্বাবুয়েকে ফলোঅন করানোর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও করানো হলো না সে প্রশ্নের উত্তরটা দিতে হলো মিরাজকে। তিনি বলেন, ‘বিগত বেশ ক’য়েকটা ম্যাচে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো না হওয়ায় আমরা চেয়েছি আগে নিজেদের ডিফেন্স শক্ত করতে। তা ছাড়া ম্যাচের শেষ বা পঞ্চম দিন যেকোনো দলের জন্যই ব্যাটিং করা কষ্টকর। আমরা হিসাব করেছি। যখন আমরা ইনিংস ডিকেয়ার করেছি সেখান থেকে অন্তত চার সেশন খেলতে হবে জিম্বাবুয়েকে। তাও আবার শেষ চার সেশন। একটা ব্যাটিং সাইড যত ভালো হোক না কেন শেষ চার সেশন টেনশনের মধ্যে থেকে ব্যাটিং করে পার পেয়ে যেতে পারে না সাধারণত। ফলে ওই টার্গেট করেই আমরা নিজেরা ব্যাটিংয়ে নেমে তাদের যথাসময়ে ব্যাটিংয়ে ঠেলে দেয়া হয়েছে।’ বাংলাদেশ এদিনও টেনশনেই ছিল। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ রানে চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর প্রচণ্ড চাপে ছিল বাংলাদেশ। মিরাজ বলছেন, ‘ব্যাকফুটে ছিলাম আমরা। সেখান থেকে প্রথম মোহাম্মদ মিথুন ও মাহমুদুল্লাহ এরপর মাহমুদুল্লাহ ও আমি মিলে ব্যাটিং করে দলের অবস্থার উন্নতিতে চেষ্টা করেছি। আমাদের দু’জনের মধ্যে আলোচনা ছিল শুধু দলের উন্নতিকল্পে। পরে যখন দেখলাম রিয়াদ ভাই (মাহমুদুল্লাহ) সেঞ্চুরির কাছাকাছি তখন আমি ওনাকে বলেছিÑ আমি সিঙ্গেল নিয়ে আপনাকে দিচ্ছি। আপনি সেঞ্চুরির ট্রাই করেন। শেষ পর্যন্ত হয়ে গেছে। তবে আমার খুব ভালো লাগছে যে, আমি মুশফিক ভাইয়ের ডাবল সেঞ্চুরি ও রিয়াদ ভাইয়ের সেঞ্চুরির সময়ে তাদের পার্টনার ছিলাম।’
উইকেট সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মিরাজ বলেন, ‘চতুর্থ দিনেও উইকেটে আনইভেন্ট কিছু ছিল না। হঠাৎ দুই-একটা বল লো হওয়া এটা তো স্বাভাবিক ঘটনা। তবে আশা করছি শেষ দিনে কিছু একটা হবে। তবে কতদূর হবে জানি না। আমি মনে করি আমাদের বোলারদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। উইকেট টু উইকেট বল করলে সাফল্য পাওয়া যাবে।’ ম্যাচের ব্যাপারে আশাবাদী এ অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ম্যাচটা আমাদের হাতেই রয়েছে। তবে এ থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের ভালো বোলিং করতে হবে। সুযোগ আছে এটা বিশ্বাস আছে। তবে এখানে যেহেতু ভালো ব্যাটিং করার সুযোগও আছে। পার্টনারশিপও হতে পারে। কিন্তু তাতে দুশ্চিন্তায় যাতে না পড়ে যাই এ জন্য বারবার মুশফিক ভাই ও রিয়াদ ভাই আমাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তারা বলছেন, দেখবা একটা উইকেট পড়লেই টপ টপ আরো উইকেট পড়তে থাকবে। এখানকার উইকেটের ধরনটাই এমন বলে আমার বিশ্বাস।’
উল্লেখ্য, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ টেস্টের আজ শেষ দিন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা