এনামুল জুনিয়র সাকিবের পর তাইজুল
টানা ৩ ইনিংসে ৫ উইকেট প্রাপ্তি- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০
জিম্বাবুয়েকে অলআউট করার বিশ্বাসটা ছিল! কিন্তু আউটই তো করা যাচ্ছিল না। দুশ্চিন্তার আর অন্ত নেই। দিনের শেষ মুহূর্তে প্রত্যাশিত মার্কে যাওয়া গেছে। বাংলাদেশ দল তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে শেষ করল তৃতীয় দিন। কিন্তু মিরপুরের উইকেটে বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে ৩০৩ রান করল প্রথম ইনিংসে এটাই বিস্ময়ের কথা। কিভাবে? তাইজুল ম্যাচ শেষে জানালেন, ‘এ মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে বাংলাদেশ যে উইকেটে। তার চেয়ে ঢের পার্থক্য এ উইকেট। সেখানে স্পিনিং ্ট্র্যাকটা যদি ১০০ হয়ে থাকে এ উইকেট ৬০।’ পার্থক্যটা এভাবেই বুঝালেন।এতেই জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের আউট করা যাচ্ছিল না। তবে দিন শেষে স্বস্তি যে দিনের শেষ মুহূর্তে এসে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে গিয়েছে বাংলাদেশ এবং ওই পর্যায়ে দলকে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্বের দাবিদার স্পিনার তাইজুল ইসলাম। নিজের পারফরমেন্স সম্পর্কে বলতে যেয়ে এ স্পিনার বলেন, ‘ভালো পারফরমেন্স করলে ভালো লাগে। তবে দল এখন একটা অবস্থানে পৌঁছে গেছে এটাই স্বস্তির বিষয়।’ জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানেরও প্রশংসা করেন তিনি। তাইজুল বলেন, ‘ওরা খুব ভালো ব্যাটিং করছিল। ওদের আউট করা যাচ্ছিল না। তবে উইকেট সেভাবে টার্ন হচ্ছিল না। আশা করি চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে এটা আরো বাড়বে।’ বারবার চেষ্টা করছিলেন সাংবাদিকরা। দলের চিন্তাটা কী। সকালে কি ফলোঅন করাবে না নিজেরা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামবে। তাইজুল এড়িয়ে যান। বলেন এ ব্যাপারে আমাদের কিছুই ব্রিফ করা হয়নি।’
গতকালও একটি অসাধারণ অর্জন ছিল এ বাঁ হাতি বোলারের। টানা তিন ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব এর আগে রয়েছে ২ বোলারের। এনামুল হক জুনিয়র ও সাকিব আল হাসানের। তাইজুল সেখানে পৌঁছে গেছেন। বাংলাদেশের এখন তিনি তৃতীয় বোলার, যিনি টানা তিন ইনিংসে লাভ করেছেন পাঁচ বা ততধিক উইকেট। সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসে ওই কৃতিত্বের পর মিরপুরের পরের টেস্টে কালও নিলেন পাঁচ উইকেট। তার এমন পারফরমেন্সে দলও বেজায় খুশি। সাকিব নেই এ জন্য অবশ্য তাইজুলের ওপর প্রত্যাশা বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘সাকিব ভাই নেই এ জন্য বোলিং করার সুযোগ বেশি। আমার ওপর চাপও আছে। দীর্ঘক্ষণ বোলিং করতে হয়। এটা আমি এনজয় করি। তবে সাকিব থাকলে এমন প্রেসার হয়তো পড়ত না।’ পঞ্চম উইকেট পেতেও তার দীর্ঘ সময় লেগে গেছে। তবে তিনি বলেন, আত্মবিশ্বাস ছিল। চেষ্টা করে গিয়েছি। হয়েছে। তবে ওরাও ভালো ব্যাটিং করছিলেন।’ শুধু পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিও নয়। তাইজুল এ দিন ধরেছেন দুর্দান্ত এক ক্যাচ। মূলত ম্যাচটা বাংলাদেশের হাতে নিয়ে আসার কাজটা ওই তাইজুল দুর্দান্ত এক ক্যাচেই সম্ভব হয়েছে। ২৯৪ মিনিট ক্রিজে থেকে ১১০ রান করা ব্রেন্ডন টেইলর দারুণ ব্যাটিং করছিলেন। বাংলাদেশের টেনশন বাড়িয়ে দেয়ার জন্য যা যা দরকার সেটা করে যাচ্ছিলেন জিম্বাবুয়ের ওই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। মেহেদি হাসানের বলে টেইলরের বাউন্ডারির দিকে উড়িয়ে মারা বলটি তাইজুল অনেকটা অসাধ্য সাধন করেই ক্যাচটি লুফে নেন। এ ব্যাপারে তাইজুল বলেন, ‘এ ধরনের বল সাধারণত ক্যাচ ধরতে রিক্স নিতে হয়। কখনো ক্যাচ হয়, কখনো হয় না। রিক্স নিলাম। আল্লাহর রহমতে হয়ে গেছে।’ একই সঙ্গে কয়েকটি ক্যাচও ড্রপ হয়েছে। তবে তাইজুল সেগুলো ম্যাচের পার্ট বলেই চালিয়ে দিয়েছেন। উদাহরণ টানলেন সিলেটের। সেখানেও ফিল্ডিং ভালো হয়েছে। যদিও ম্যাচে হেরে গিয়েছিলাম আমরা।
তবে ম্যাচ নিয়ে দুশ্চিন্তার কালো মেঘটা কেটে গেছেই অনুমান করা যাচ্ছে। দলের এ ক্রিকেটার জানালেন, ‘আমরা পজেটিভ থাকব। আশা করি আমরা জয় পাব ইনশা আল্লাহ।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা