২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ড্র কষ্টটা আরো বাড়িয়ে দিলো

বাংলাদেশ (আঁখি)১ : ১ নেপাল
-

অনেক বড় প্রত্যাশা নিয়েই মিয়ানমার যাওয়া। অবশ্য তাদের অলিম্পিক গেমস ফুটবল বাছাই পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার স্বপ্নের করুণ সমাপ্তি ঘটে প্রথম দুই ম্যাচ হারেই। সেই বিধ্বস্ত দলই কাল সর্বনাশ করেছে নেপালের। সেই সাথে অলিম্পিক গেমস ফুটবল বাছাইপর্বে প্রথম পয়েন্টের দেখা পাওয়া এবং এই প্রথম নেপাল সিনিয়র মহিলা দলের সাথে ড্র করার কৃতিত্ব। তবে এই ড্র কষ্টটা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে সাবিনাদের। যে নেপালের সাথে তারা কাল ১-১ এ ড্র করেছে সেই নেপালই একই স্কোর লাইনে ড্র করেছিল মিয়ানমার এবং ভারতের সাথে। আর বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছে ৫-০তে হারের পর ৭-১ গোলে পরাজিত হয়েছিল ভারতের কাছে। কিন্তু কাল নেপালের সাথে লাল-সবুজদের ড্র স্পষ্ট করেছে, আগের দুই ম্যাচে মারাত্মক ভুলগুলো না করলে ছোটন বাহিনীও কোয়ালিফাই করত দ্বিতীয় রাউন্ডে। দলের সূত্রে জানা গেছে, অযথা ভয় আর কৌশলগত ভুলেই প্রথম দুই ম্যাচে ১২ গোল হজম বাংলাদেশের মেয়েদের। কাল জিততে না পেরে ছিটকে গেল নেপালও। আর ভারতকে ২-১-এ হারিয়ে গ্রুপসেরা মিয়ানমার।
তিন ফুটবলারকে একাদশের বাইরে রেখে কাল নেপালের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে খেলতে নামে বাংলাদেশ। একই সাথে ফুটবলারদের মধ্যে প্রত্যয়, তারা আর আগের মতো ভুল করবে না। অবিবেচকের মতো মরিয়া আক্রমণে যাবে না পিছিয়ে পড়ার পর ডিফেন্স অরক্ষিত রেখে। এই কৌশলেই নেপালের বিপক্ষে ১৭ মিনিটে গোল খেয়েও গোছানো ফুটবল খেলতে থাকেন সাবিনারা। তাদের বিল্ডআপ আক্রমণে সমান তালে লড়াই চলে নেপালের সাথে। এরই ফলশ্রুতিতে ৯২ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে বাংলাদেশের মান রক্ষা করেন ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন। মারিয়ার শট কর্নার থেকে মারজিয়ার ক্রসে আঁখি খাতুনের হেডে বাংলাদেশ দলে বিজয় সমতুল্য উল্লাস। হার এড়িয়ে সান্ত্বনার ড্র নিয়ে আজ দেশে ফিরছে মহিলা দল। খেলায় স্বপ্না, কৃষ্ণা, এবং সাবিনারা সারাক্ষণই আতঙ্কে রাখে বিপক্ষ রক্ষণভাগকে। আর মৌসুমী খেলতে দেননি নেপালের দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে।
কোচ গোলম রাব্বানী ছোটন এই ড্রকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে বলেন, এই প্রথম বাংলাদেশ ড্র করতে পারল নেপালের সিনিয়র মহিলা দলের সাথে। এই ড্র আমাদের ম্যাচ বাই ম্যাচ উন্নতিরই প্রমাণ। যা কাজে দেবে সাফে।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল