২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আজো কি আরেকটি বড় হার?

-

হঠাৎই ছন্দপতন বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলে। তাজিকিস্তান থেকে শুরু এই অধঃপতনের। অব্যাহত আছে মিয়ানমারের মাটিতেও। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলে গ্রুপ পর্ব উৎরানোর বদলে দুই ম্যাচে ৯ গোল হজম। এরপর অলিম্পিক বাছাই পর্বে প্রথম দুই খেলায় ১২ গোল খাওয়া। অথচ এই দুই টুর্নামেন্টেই কোয়ালিফাই করার লক্ষ্য ছিল সাবিনা, মৌসুমীদের। তবে তাদের ফিরতে হচ্ছে বাজে হারের লজ্জা নিয়ে। ম্যাচপ্রতি ৬-৭ গোল হজমের দিন আরো চার-পাঁচ বছর আগেই পার করে এসেছিল বাংলাদেশ। মাঝের এই সময়ে তারা সিনিয়র সাফের ফাইনালে খেলেছে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৮তে শিরোপা জয়ী। টানা দুইবারের এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলের গ্রুপ সেরা। কিন্তু এখন তাদের নাকানি-চুবানি খেতে হচ্ছে প্রতিপক্ষের কাছে। এই পরিস্থিতিতে আজ গোলাম রাব্বানী ছোটন বাহিনী নেপালের সামনে। মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াংগুনে এই ম্যাচ নেপালের জন্যও মহা গুরুত্বপূর্ণ। লাল-সবুজদের বড় ব্যবধানে হারাতে পারলে তাদের থাকবে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ। অন্য দিকে সাবিনাদের অন্তত সান্ত্বনার ভালো রেজাল্ট নিয়ে দেশে ফেরার মিশন। বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটায় হবে এই খেলা। আজ অন্য ম্যাচে লড়াই ভারত ও মিয়ানমারের সাথে।
তাজিকিস্তানে যাওয়ায় হাওয়ায় ভাসছিল মহিলা ফুটবলারেরা। এরপরই খেই হারিয়ে ফেলা। সেখান থেকে এসে মিয়ানমার গমন। পার্থক্য হলো এবার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বদলে সিনিয়র জাতীয় দল। তাদের আশা ছিল মিয়ানমারের মাটি থেকে অলিম্পিক ফুটবলের দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট কাটা। তা আর হলো না প্রথম ম্যাচে মিয়ানমারের কাছে ৫-০ এবং পরের ম্যাচে ভারতের কাছে ৭-১ গোলে হেরে।
আজ নেপালও যে আরেকটি বড় হারের লজ্জা দিতে পারে তা নেপালিরা তাদের গত দুই ম্যাচে জানান দিয়েছেন। নেপালি মেয়েরা ১-১ এ ভারতের সাথে ড্র করার পর গত পরশু এই স্কোর লাইনে খেলা শেষ করে মিয়ানমারের সাথে। বাংলাদেশ দল এই আসরে অংশ নিচ্ছে মাত্র একজন সিনিয়র ফুটবলার নিয়ে। বাকিরা অনূর্ধ্ব-১৯ ও ১৬ দলের। বয়সের এই পার্থক্যকে এখন বড় হারের কারণ হিসেবে সামনে আনা হলেও এই অল্প বয়সীরাই (দলে তিনজন ছিলেন সিনিয়র) সর্বশেষ সাফে ভারতের সাথে গ্রুপ পর্বে ড্র এবং ফাইনালে তুমুল লড়ে ৩-১ এ হেরেছিল। সুতরাং এই কম বয়স কোনো যুক্তি হতে পারে না। সমস্যা অন্য কোথাও।
বয়সভিত্তিক ফুটবলে নেপালের বিপক্ষে একাধিক জয়ের রেকর্ড বাংলাদেশের। তবে সিনিয়র লেভেলে জিততে পারেনি ছোটন বাহিনী। টানা দুই ম্যাচে বাজে হারের ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া লাল-সবুজদের পক্ষে কি ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে আজ নাকি আরেকটি হারের লজ্জা নিয়ে আসর শেষ করতে হবে?


আরো সংবাদ



premium cement