২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফিক্সিং তালিকায় বাংলাদেশের ম্যাচও

ফিক্সিং তালিকায় বাংলাদেশের ম্যাচও - ছবি : সংগ্রহ

বাংলাদেশের যত জয় রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে রোমাঞ্চকর জয় হলো ২০১১ বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টি। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে ম্যাচটি নিজের করে নিয়েছিল টাইগাররা। ২২৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৬৯ রানে ৮ উইকেট হারায় টাইগাররা। সেখান থেকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও দশ নম্বরে নামা শফিউল ইসলামের বীরত্বে জয় পায় বাংলাদেশ। অথচ এতদিন পর গৌরবময় সেই ম্যাচ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার ফিক্সিং সন্দেহের ১৫টি ম্যাচের তালিকায় বাংলাদেশের সেই জয়টিও রয়েছে।

কিছু দিন আগেই একবার ক্রিকেট ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে নিজেদের তৈরি একটি তথ্যচিত্র প্রচার করে আল জাজিরা। ক্রিকেটের ৬০ শতাংশ ম্যাচই পাতানো থাকে বলে দাবি করে সংবাদমাধ্যমটি। এই নিয়ে তোলপাড় হয়েছে অনেক। এবার আরেক তথ্যচিত্রে আল জাজিরা নির্দিষ্ট ১৫টি ম্যাচে ফিক্সিং হয়েছে বলে দাবি করে। ২০১১ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচও। তালিকায় আছে ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচ, ২০১১ সালের ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টও।

সন্দেহের তালিকায় থাকা ম্যাচগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জড়িয়ে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের নাম। ৯টি ম্যাচের সাথে জড়িয়ে ইংল্যান্ড ও চারটির সাথে অস্ট্রেলিয়া। আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, ভারত, জিম্বাবুয়ে, নেদারল্যান্ডস, কেনিয়ার নামও। যার পাঁচটি ম্যাচই আবার ২০১১ বিশ্বকাপের। ২০১২ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের ম্যাচ রয়েছে তিনটি। এদিকে আল জাজিরার অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ইসিবি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও অভিযোগ প্রত্যাখান করে তদন্তের কথা জানিয়েছে। আইসিসি জানিয়েছে আল জাজিরার অভিযোগ আগের মতোই তদন্ত করবে তারা।

যে ১৫ ম্যাচ নিয়ে আল জাজিরার প্রশ্ন :
১. অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড, ওয়ানডে, ২১ জানুয়ারি ২০১১
২. অস্ট্রেলিয়া-জিম্বাবুয়ে, ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১১
৩. ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস, ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১১
৪. অস্ট্রেলিয়া-কেনিয়া, ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ১৩ মার্চ ২০১১
৫. ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ৬ মার্চ, ২০১১

৬. ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ, ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ১১ মার্চ ২০১১
৭. ইংল্যান্ড-ভারত, টেস্ট, ২১-২৫ জুলাই ২০১১
৮ .অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা, টেস্ট ৯-১১ নভেম্বর ২০১১
৯. অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড, টেস্ট, ৯-১২ ডিসেম্বর ২০১১
১০. ইংল্যান্ড-পাকিস্তান, টেস্ট, ১৭-১৯ জানুয়ারি ২০১২

১১. ইংল্যান্ড-পাকিস্তান, টেস্ট, ২৫-২৮ জানুয়ারি ২০১২
১২. ইংল্যান্ড-পাকিস্তান, টেস্ট, ৩-৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২
১৩. শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২
১৪. ইংল্যান্ড-আফগানিস্তান টি-২০ বিশ্বকাপ, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১২
১৫. দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান, টি-২০ বিশ্বকাপ, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১২।

আরো পড়ুন: নাইম হাসানের ৮ উইকেট শিকার
জাতীয় ক্রিকেট লিগের ২০তম আসরের চতুর্থ রাউন্ডের দ্বিতীয় স্তরে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে বল হাতে ৮ উইকেট নিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগের অফ-স্পিনার নাইম হাসান। ফলে প্রথম দিনই ২৮৮ রানে অলআউট ঢাকা বিভাগ। প্রথম দিন শেষে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ৯ উইকেটে ২৯২ রান তুলেছে সিলেট বিভাগ।

কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম বিভাগ ও ঢাকা বিভাগ। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় ঢাকা বিভাগ। শুরুটা ভালো ছিলো তাদের। দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও আব্দুল মাজিদ ৮২ রানের জুটি গড়েন। সাইফ ৪১ রানে থামলেও হাফ-সেঞ্চুরি তুলে বড় স্কোরের পথে হাটতে থাকেন মাজিদ। কিন্তু ৭২ রানে থেমে যান মাজিদ। ২০ বছল বয়সী নাইমের দ্বিতীয় শিকার হন মাজিদ।

এরপর আরও ৬ উইকেট নিয়ে ঢাকা বিভাগের ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস খেলতে দেননি নাইম। তারপরও ৫৭ রানের দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন শুভাগত হোম। এছাড়া শেষের দিকে নাজমুল হোসেন মিলন ৩৫ ও শাহাদাত হোসেন ৩৪ রান করেন। ২২ রানে অপরাজিত থাকেন মাহবুবুল আলম অনিক। ৩৫ ওভারে ১০৬ রান খরচ করে ৮ উইকেট নেন নাইম। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে এটিই তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। আগেরটি ১১৯ রানে ৬টি। এছাড়া ১৩ ম্যাচের প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে দ্বিতীয়বারের মত পাঁচ বা ততোধিক উইকেট পেলেন তিনি।

এই স্তরের আরেক ম্যাচে রাজশাহীর শহিদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ব্যাট-বলের লড়াইয়ে শামিল হয় ঢাকা মেট্রো ও সিলেট বিভাগ। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং-এর সিদ্বান্ত নেয় ঢাকা মেট্রো। ব্যাট হাতে সিলেটের পক্ষে তিন ব্যাটসম্যান হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন। ওপেনার শাহনাজ আহমেদ ৬০, জাকির হাসান ৫০ ও শাহানুর রহমান ৫৪ রান করেন। এছাড়া আরেক ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ৩১ ও আবু জায়েদ ২৬ রান করেন। ঢাকা মেট্রোর কাজি অনিক, আরাফাত সানি ও মোহাম্মদ আশরাফুল ২টি করে উইকেট নেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর : ঢাকা বিভাগ বনাম চট্টগ্রাম বিভাগ 

ঢাকা বিভাগ : ২৮৮/১০, ৮৮ ওভার (মাজিদ ৭২, শুভাগত ৫৭, নাইম ৮/১০৬)।
সিলেট বিভাগ বনাম ঢাকা মেট্রো :
সিলেট বিভাগ : ২৯২/৯, ৯০ ওভার (শাহনাজ ৬০, শাহানুর ৫৪, অনিক ২/৫৩)।


আরো সংবাদ



premium cement
শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের আহ্বান ৩ গণকবরে ৩৯২ লাশ, ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরাইল! মৌলভীবাজারে বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ ১৪ জন কারাগারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট কারীদের চিহ্নিতকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের কলিং ভিসায় প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফেরার সময় মারা গেল মালয়েশিয়া প্রবাসী নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিবকে আটকের অভিযোগ

সকল