মহানগরী লিগ কমিটিতে স্থবিরতা
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ
- ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০
জুন মাসের ঘটনা। হঠাৎই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ঘোষণা, তাদের সব স্ট্যান্ডিং কমিটি বিলুপ্ত করা হলো। শুধু চেয়ারম্যানরা যার যার পদে বহাল থাকবেন। অন্যরা নয়। সব কিছু নতুনভাবে শুরুর জন্যই এই উদ্যোগ। গুঞ্জন আছে বাফুফের বর্তমান কমিটির সাথে বিবাদে জড়ানো বা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা দুই-একজনকে দূরে সরাতেই এই উদ্যোগ। বাফুফের এই ঘোষণার ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকা মহানগরী ফুটবল লিগ কমিটি। কবে শুরু হবে লিগ তার কোনো খোঁজ নেই। লিগ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, যেহেতু শুধু চেয়ারম্যানকে রেখে কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে তাই অন্য কর্মকর্তারা আসেন না লিগ কমিটি অফিসে। তাই কবে লিগ শুরু হবে এই বিষয়ে কোনো উত্তর নেই।
ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন লিগে ভীষণ জট পেকেছিল। বছরের পর বছর বন্ধ ছিল প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ এবং তৃতীয় বিভাগ লিগ। এর জন্য লিগ কমিটির দায়িত্বহীনতার সাথে পিছু নেয় মাঠ সমস্যাও। ২০১৬ সালে বাফুফের নির্বাচনের পর গতি আসে লিগ কমিটিতে। লিগের স্পন্সর হিসেবে এগিয়ে আসে সাইফ পাওয়ার টেক। তাদের সাইফ পাওয়ার ব্যাটারি নামে মাঠে গড়াতে থাকে লিগ। কিন্তু এক দিকে কমিটি ভেঙে দেয়া এবং অন্য দিকে স্পন্সরশিপ থেকে সাইফ পাওয়ার টেককে বাদ দেয়ার ফলে আপাতত বন্ধ মহানগরী ফুটবল লিগ কমিটির কার্যক্রম।
লিগ কমিটির সূত্র মতে জুলাইয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল এবারের দ্বিতীয় বিভাগ লিগের দলবদল। এরপর আগস্টে মাঠে গড়ানোর কথা ছিল এই লিগ। দলবদল করার জন্য ১৫ কাবকে চিঠিও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু জুনে হঠাৎ বাফুফে থেকে লিগ কমিটিকে চিঠি, বাতিল করা হয়েছে সাইফ পাওয়ার ব্যাটারির সাথে স্পন্সরশিপের চুক্তি। বাফুফে মহানগরীর সব লিগসহ অন্যান্য লিগ ও টুর্নামেন্টের জন্য নতুন স্পন্সর পেয়েছে। এমপি সিলভা নামে এই প্রতিষ্ঠানই এখন থেকে সব লিগের পৃষ্ঠপোষক। বাফুফে সময় মতো এই সব বিষয়ে অবগত করবে লিগ কমিটিকে। এই চিঠির পর লিগের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। স্থগিত হয়ে যায় দ্বিতীয় বিভাগ লিগ। উল্লেখ্য, ঢাকা মহানগরীর সব লিগের জন্য সাইফ পাওয়ার টেকের সাথে পাঁচ বছরের চুক্তি হয় এ জন্য বছরে তারা দিতো ৬০ লাখ টাকা। এ দিকে এমপি সিলভা পড়েছে আরেক জটিলতায়। বাফুফে তাদের স্পন্সর হিসেবে না-ও পেতে পারে। ফুটবল সংশ্লিষ্টদের মতে, এমপি সিলভাকে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে না পেলে সমস্যা হতে পারে এই লিগগুলো আয়োজনে।
অবশ্য মাঝে সাফ ফুটবল এবং বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ নিয়ে মহাব্যস্ত হয়ে পড়ে বাফুফে। তাই তাদের পক্ষে ঢাকা মহানগরী ফুটবল লিগ কমিটি নিয়ে মাথা ঘামানো সময় হয়নি। এখন তারা ফের মহানগরী লিগ কমিটি নিয়ে সময় দেবে। বাফুফে সেক্রেটারি আবু নাঈম সোহাগ অবশ্য লিগ কমিটির কার্যক্রমে স্থবিরতা এটা মানতে নারাজ। তার মতে, আমরা শিগগিরই মহানগরী লিগ কমিটির সব ঠিক করে ফেলব। এতদিন ব্যস্ত ছিলাম সাফ ফুটবল এবং বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ নিয়ে।
গত বছর থেকে সিনিয়র এবং জুনিয়র ডিভিশন এই লিগগুলোর চাকা সচল হতে থাকে। ২০১৭ সালে মাঠে গড়ায় প্রথম বিভাগের নাম পাল্টিয়ে সিনিয়র ডিভিশন লিগ এবং দ্বিতীয় বিভাগ লিগ। ২০১৬ সালে তৃতীয় বিভাগ লিগ হওয়ায় ২০১৭ সালে তা আর আয়োজন করেনি লিগ কমিটি। উদ্দেশ্য অন্য দুই লিগ চালু করা। এবার এপ্রিলে শেষ হয় তৃতীয় বিভাগ লিগ। আর আগস্টে হওয়ার কথা ছিল দ্বিতীয় বিভাগ। এরপর সিনিয়র ডিভিশন লিগও। এখন কমিটি এবং স্পন্সর নিয়ে জটিলতা ফের অনিয়মিত করার শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে মহানগরীর লিগগুলোকে।
মাঝে বেশ অনিয়মিত হয়ে পড়ে এই লিগগুলো। ২০১৪ সালের পর ২০১৭তে হয় সিনিয়র ডিভিশন লিগ। তৃতীয় এবং দ্বিতীয় বিভাগ লিগ হয়েছিল ২০১৫তে। ২০১৬তে হয়েছিল শুধু তৃতীয় বিভাগ লিগ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা