২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অবশেষে বাদ গোলরক্ষক সোহেল

-

২০১১ সাল থেকে সিনিয়র জাতীয় দলে খেলছেন শহীদুল আলম সোহেল। বিভিন্ন ম্যাচে দারুণ দারুণ কিছু সেভ করে দলকে বাঁচিয়েছেন। তবে তার মারাত্মক ভুলের সংখ্যাই বেশি। যা সর্বনাশ করেছে বাংলাদেশ দলের। এই ভুলগুলোর পরিণতি হয় আসর থেকে বাংলাদেশের ছিটকে পড়া বা ট্রফি জয় থেকে বঞ্চিত হওয়া। এই গোলরক্ষকের সর্বশেষ সর্বনাশ করার ঘটনা সদ্য সমাপ্ত সাফ সুজুকি কাপে। নেপালের বিপক্ষে তার হাস্যকর ভুলে বাংলাদেশের জালে বল এবং ম্যাচ ও আসর থেকে লাল-সবুজদের ছিটকে পড়া। অথচ আগের দুই ম্যাচ জিতে এবার সেমিতে যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছিল জেমি ডে বাহিনী। নিত্য জাতীয় ও ক্লাব পর্যায়ে ভুল করা এই গোলরক্ষককে তার দীর্ঘ দেহের জন্য দলে টানেন বিদেশী কোচেরা। তবে এবার সাফে তার ব্যর্থতা জন্ম দেয় ব্যাপক সমালোচনা। বিশেষ করে এভাবে স্বপ্নের অপমৃত্যুতে। ফলে টনক নড়েছে হেড কোচ জেমি ডের। তাই ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের জন্য জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়া হয়েছে সোহেলকে। তবে তার বিকল্প যে রাসেল মাহমুদ লিটনকে নেয়া হয়েছে তিনিও গত মওসুমে ফ্লপ ছিলেন মোহামেডানের জার্সি গায়ে। বাজে গোল হজমে তিনিও সিদ্ধহস্ত।
৩১ জনের প্রাথমিক দলে চার গোলরক্ষককে রাখা হয়েছে। এরা হলেন এবারের এশিয়াডে বাংলাদেশ দলের পোস্টের নিচ আগলে রাখা আশারাফুল ইসলাম রানা, আনিসুর রহমান জিকো এবং গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ দলে দারুণ খেলা মাহফুজ হাসান প্রীতম। রানা ও জিকো সাফের চূড়ান্ত দলে ছিলেন। অন্য দিকে বেশ কিছু দিন পর ডাক পেলেন লিটন। ২০১৫ সালের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের এই লিটনের দোষেই গোল হজম বাংলাদেশের এবং হার।
এক মাত্র সোহেল ছাড়া সাফের দলের সবাইকে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ক্যাম্পে। নতুন করে ডাকা হয়েছে ডিফেন্ডার আরিফুল ইসলাম, ইয়াসিন খান, উইংগার মোহাম্মদ ইব্রাহিম, স্ট্রাইকার তৌহিদুল আলম সবুজ ও জাভেদ খানকে। লিটন, আরিফ, ইয়াসিন ও জাভেদ প্রথম থেকেই ক্যাম্পের বাইরে। এবার তাদের নতুন করে ডেকেছেন জেমি ডে। ইনজুরির জন্য সবুজ বাদ পড়েন। আর ইব্রাহিমকে বাদ দেন কোচ নিজেই। সাফের চূড়ান্ত দল থেকে বাদ পড়া কিপার প্রীতম, ডিফেন্ডার রহমত মিয়া, মিডফিল্ডার রবিউল হাসান, জাফর ইকবাল, স্ট্রাইকার জীবন, মতিন মিয়াকে আবার ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে। ডাক পাওয়া ফুটবলারদের আগামীকাল ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপুর কাছে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। জেমি ডেসহ তিন কোচিং স্টাফও কাল আসছেন। জাতীয় দল নিয়ে গত কয়েক দিনে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনেরর সাথে দুই দফা মিটিং করেছেন ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ। জেমি ডে ই-মেইলে এই দল চূড়ান্তের তথ্য দেন বাফুফেকে। ২১ তারিখ থেকে বাংলাদেশ দলের ক্যাম্প বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম বা কমলাপুর স্টেডিয়ামে। জানান বাফুফে সেক্রেটারি আবু নাঈম সোহাগ।
তবে শ্রীলঙ্কা ও নেপালের সাথে ম্যাচের সময় দেখা গেল বিপক্ষ ডিফেন্স ছিন্ন ভিন্ন করে প্রবেশ করার মতো কোনো ফুটবলার নেই। এই কাজে দক্ষ রুবেল মিয়া, জাহিদ ও জুয়েল রানা। কিন্তু তারা নেই কোচের বিবেচনায়। জুয়েলকে অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে খেলানো হয়েছিল। ম্যানেজার রূপু এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, সোহেলসহ জাতীয় দলে ডাকা আবাহনীর ফুটবলারদের আধিক্যে ম্যানেজার রূপুর প্রভার ছিল বলে অভিযোগ।
ডাক পাওয়া ফুটবলারা হলেন : আশরাফুল ইসলাম রানা, আনিসুর রহমান জিকো, রাসেল মাহমুদ লিটন, মাহফুজ হাসান প্রীতম, বিশ্বনাথ ঘোষ, টুটুল হোসেন বাদশা, তপু বর্মন, ওয়ালী ফয়সাল, সুশান্ত ত্রিপুরা, রহমত মিয়া, নাসির চৌধুরী, ইয়াসিন খান, আরিফুল ইসলাম, মামুনুল ইসলাম, আতিকুর রহমান ফাহাদ, জামাল ভূঁইয়া, মাশুক মিয়া জনি, বিপলু আহমেদ, ইমন বাবু, রবিউল হাসান, জাফর ইকবাল, সাদ উদ্দিন, সোহেল রানা, ফয়সাল মাহমুদ, মো: ইব্রাহিম, মাহাবুবুর রহমান সুফিল, সাখাওয়াত হোসেন রনি, নাবিব নেওয়াজ জীবন, তৌহিদুল আলম সবুজ, মতিন মিয়া ও জাভেদ খান।


আরো সংবাদ



premium cement