উশুর সমাপনীতে মারামারি
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২০ জুলাই ২০১৮, ০০:০০
গতকাল জাতীয় মহিলা উশুর সমাপনীতে আনসারের বাসনা খন্দকার ও সেনাবাহিনীর আসমা আক্তারের লড়াইকে কেন্দ্র করে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে অবশ্য উশু কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সকালেও একবার এমন ঘটনা ঘটে।
উত্তেজনার বাতাবরণ ছড়িয়ে যাওয়া ওয়ালটন জাতীয় মহিলা উশুতে জয়জয়কার বাংলাদেশ আনসারের। ১৮টি স্বর্ণপদকের মধ্যে তারা জিতে নিয়েছে ১৪টি। এ ছাড়া ছয়টি রৌপ্য ও চারটি ব্রোঞ্জও তাদের দখলে। রানার্সআপ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জিতেছে চারটি স্বর্ণ, ৯টি রৌপ্য ও তিনটি ব্রোঞ্জ।
সান্দা ইভেন্টের ৭৫ কেজি ওজন শ্রেণীতে লড়ছিলেন বাসনা খন্দকার ও আসমা আক্তার। তৃতীয় রাউন্ডে গিয়ে রেফারির একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে বাধে বিপত্তি। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আনসার এবং সেনাবাহিনীর বাকি খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে। তবে শেষ পর্যন্ত দুই রাউন্ড জেতায় আনসারের বাসনাকেই জয়ী ঘোষণা করেন জাজ। বাসনার আনন্দ অশ্রু থাকলেও ক্ষোভ আর হতাশার অশ্রু ঝরেছে আসামির চোখে। অনিয়ম করেই নাকি হারানো হয়েছে তাকে। ভিন্ন কথা বাসনার মুখে, ‘লড়েই জিতেছি এবং স্বর্ণপদক পেয়েছি।’ উশুর জন্মলগ্ন থেকেই আনসারের আধিপত্য ছিল চোখে পড়ার মতো। এবারো সেরার মুকুট পড়ে উল্লসিত সার্ভিসেস দলটির খেলোয়াড়েরা। পরে আনসারের ক্রীড়া পরিচালক নিমাই কুমার দাস ও ক্রীড়া অফিসার রায়হান ফকির উশুসহ অন্য ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়দের আর্থিক পুরস্কারের কথা জানান।
অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে জাতীয় উশুতে। কুড়িগ্রামের উশুকা রাজিয়া সুলতানা রানী রাস্তার জ্যামের কারণে আসতে ১০ মিনিট দেরি হয়েছে। কিন্তু ৪৮ কেজি ওজন শ্রেণী রেখেই তার ৫২ কেজিও ওজন শ্রেণীর খেলা আগে চালিয়ে ফরিদপুরের উশুকাকে ওয়াকওভার দিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। এমন ঘটনায় অশ্রুর কমতি ছিল না যুব গেমসে সোনাজয়ী রানীর চোখেও। এমন বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ ছিল খেলোয়াড়দের। খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উশু অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুস সোবহান গোলাপ। তবে এত সমস্যার মধ্যেও আশার খবর ছিল ইতি ইসলামের। ১১ মাসের মেয়েকে বাড়িতে রেখেই খেলতে এসেছেন সেনাবাহিনীর এ উশুকা। গর্ভবতী থাকায় গত আসরে খেলা হয়নি তার। এবার ফিরে এসেই জিতেছেন স্বর্ণপদক।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা