নাইজেরিয়া সব সময়ই আর্জেন্টিনার চ্যালেঞ্জ
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ রাশিয়া থেকে
- ২৬ জুন ২০১৮, ০০:০০
বিশ্বকাপ ফুটবলে আর্জেন্টিনার পিছু ছাড়ছে না নাইজেরিয়া। ১৯৯৪ সাল থেকে প্রায় প্রতিবারই তাদের সাথে সাক্ষাৎ ম্যারাডোনা-মেসির দেশের। আর সব সময়ই আর্জেন্টিনাকে জিততে হয়েছে ঘাম ঝরিয়ে। এবার তাদের পঞ্চম বারের মতো দেখা হচ্ছে বিশ্বকাপে। আফ্রিকান দেশটি অবশ্য কখনই জিততে পারেনি তাদের বিপক্ষে। অন্য দিকে এই প্রথম দেশ দু’টি গ্রুপের শেষ ম্যাচে লড়ছে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার নিশ্চয়তার জন্য। এ খেলায় জয়ের বিকল্প নেই মেসি বাহিনীর। অন্য দিকে ড্রতেও নক আউট পর্বের ছাড়পত্র মিলতে পারে নাইজেরীয়দের। মোটকথা এই দুই দলের পরের রাউন্ডে যাওয়া নির্ভর করছে আইসল্যান্ডের ওপর। আজ অন্য খেলায় ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পয়েন্ট খোয়াতে হবে আইসল্যান্ডকে।
১৯৯৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বিশ্বকাপে দেখা আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়ার। স্যাসমন সিয়াসিয়ার গোলে প্রথমে লিডও নিয়ে নেয় নাইজেরিয়া। পরে ম্যারাডোনার-আলফিও বাসিলের দলের রক্ষা ক্লাওডিও ক্যানেজিয়ার জোড়া গোলে। ওই হার সত্ত্বেও নাইজেরিয়া দ্বিতীয় রাউন্ডে গিয়েছিল। আর্জেন্টিনার বিদায় দ্বিতীয় রাউন্ডে রুমানিয়ার কাছে হেরে। ১৯৯৮ সালের ফ্রান্স বিশ্বকাপে অবশ্য তাদের মোকাবেলা হয়নি।
তবে ২০০২ সালে ফের দেখা লাতিন ও আফ্রিকান এই দুই দেশের। জাপান-কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত সে প্রতিযোগিতায় বহু কষ্টে ১-০ গোলে জিততে হয়েছিল মার্সেলো বিয়েলসার দলকে। কর্নার থেকে আসা বলে হেড নেন স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল বাতিুস্তুতা। তাতে বোকা বনে যান নাইজেরিয়ান কিপার ও ডিফেন্ডাররা। পরে নাইজেরিয়ানরা চেষ্টা করেও সমতা আনতে পারেননি। অবশ্য এ জয়ের পরও আর্জেন্টিনার পক্ষে পরের রাউন্ডে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ইংল্যান্ডের কাছে হার ও সুইডেনের সাথে ড্র করে বিদায় গ্রুপ পর্ব থেকে। একই পথে হাঁটে নাইজেরিয়াও।
২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে স্বয়ংসম্পূর্ণ আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগ। লায়নেল মেসি, কার্লোস তেভেজ ও গঞ্জালো হিগুয়েন। এই তিন ফরোয়ার্ড থাকা সত্ত্বেও কোচ ম্যারাডোনার দলকে জিততে হয়েছিল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল হেইঞ্জের হেডে। তা কর্নার থেকে আসা বলে। অবশ্য মেসির বেশ কয়েকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। কোনোটি রুখে দেন গোলরক্ষক। কোনোটি প্রতিহত হয় পোস্টে। অল্পের জন্য লক্ষ্য মিস হওয়া শটও ছিল কয়েকটি। নাইজেরিয়া শেষ পর্যন্ত প্রথম রাউন্ড খেলে বাড়ি ফিরলেও দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছিল।
২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে আহমেদ মুসার দাপটে তো তটস্থ ছিল আর্জেন্টিনা। ২ গোল করেন আহমেদ মুসা। আলেসান্দ্রে সাবেলার দল অবশ্য জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেসির জোড়া ও মার্কোস রোহোর গোলে। ৩-২ গোলে ম্যাচ জিতে নাইজেরিয়ানদের বিপক্ষ জয়ের ধারা অব্যাহত রাখে। আজ কি সেই ধারা অব্যাহত থাকবে নাকি এই পুরনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পাবে মুসা-মোসেজের দল।
১৯৯৬ সালের আটলান্টা অলিম্পিক গেমসে নাইজেরিয়া ফাইনালে এ আর্জেন্টিনাকে ৩-২ গোলে হারিয়ে স্বর্ণ নিশ্চিত করে। অবশ্য ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে ডি মারিয়ার গোলে নাইজেরিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে স্বর্ণ ধরে রাখে আর্জেন্টিনা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা