২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রোনালদোর সাফল্যের নেপথ্যে

-

এবারের বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিকম্যান ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পর্তুগালের এই ফরোয়ার্ডের তিন গোলের ওপর ভর করে স্পেনের সাথে ৩-৩ গোলে ড্র। দ্বিতীয় ম্যাচে তার করা একমাত্র গোলেই মরক্কোর বিপক্ষে জয়। দুই ম্যাচে চার গোল করে রিয়াল মাদ্রিদের এই ফুটবলার এখন পর্যন্ত এই আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা। তার সামনে আপাতত এখন ফ্রান্সের জাস্ট ফন্টেইনের ১৩ গোলের রেকর্ড ভাঙার লক্ষ্য। ১৯৫৮-এর বিশ্বকাপে ১৩ গোল করেন ফন্টেইন। আগের দুই বিশ্বকাপ মিলে তিন গোল ছিল রোলানদোর। অথচ এবার এক আসরেই দুই ম্যাচে চার গোল দিয়েছেন। ফলে এখন তার পুঁজিতে সাতটি বিশ্বকাপের গোল। রোনালদোর মতো ফুটবলারের জন্য গোল কোনো বিষয় নয়। এ পর্যন্ত কার দলের হয়ে করেছেন ৩৯৮ গোল। আর সিনিয়র ও জুনিয়র মিলে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ১০৩ গোল। অথচ এবারের তার বিশ্বকাপের গোলের নেপথ্যে নাকি রয়েছে ভাগ্যের সহায়তা। এই ভাগ্যের পেছনে তার মুখের ছোট ছোট দাড়ি। এমন কথাই মরক্কোর সাথে ম্যাচের পর বললেন পর্তুগালের এই অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে তার বক্তব্য, ‘এই দাড়িই আমার ভাগ্য খুলে দিয়েছে। এটি রাখার পর দেখলাম আমি গোল পাচ্ছি। তাই বিশ্বকাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাটব না।’ সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের বিপক্ষে তিন গোল রোনালদোর। সবাই ধরে নিয়েছিলেন মরক্কোর বিপক্ষে গোলের বন্যা বইয়ে দেবেন। যা তার গোলসংখ্যা আরো বাড়িয়ে দেবে। অথচ মাত্র এক গোলেরই দেখা পেলেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে বললেন, মরক্কো তো ভালো খেলেছে। তাদের বিপক্ষে জয় পেয়েছি বা তিন পয়েন্টের দেখা মিলেছে এটিই গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমরা নক আউট পর্বের ট্র্যাকে আছি। দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে আর এক ধাপ বাকি। পর্তুগালের পরের ম্যাচ ইরানের বিপক্ষে। তারাও অপেক্ষাকৃত দুর্বল। সুতরাং রোনালদোর সুযোগ আছে সেই খেলায় গোল করে জাস্ট ফন্টেইনকে ধরার পথে আরো এগিয়ে যাওয়া। অবশ্য এই ফুটবলার ভাবছেন না নিজের রেকর্ড নিয়ে। জানান, রেকর্ড আমার মাথায় নেই। দল জিতছে এবং জিতবে এটিই আমার মূল লক্ষ্য। দল গ্রুপে ভালো পজিশনে থাকুক এটিই চাই। পরের রাউন্ডে কোয়ালিফাই করাই আমাদের প্রধান মিশন।
ম্যাচ শেষে একটি টিভি চ্যানেলকে তিনি দিচ্ছিলেন এই সাক্ষাৎকার। তবে তিনিও মিক্সড জোনে মোহাম্মাদ সালাহর মতে, রোনালদোও হতাশ করলেন সব মিডিয়াকর্মীকে। আর এই এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি আশ্রয় নিলেন এক প্রকার প্রতারণার। ড্রেসিং রুম থেকে বের হয়েই হাতে মোবাইল নিয়ে তা ডান কানে ধরলেন। মানে সবাইকে বোঝাতে চাইলেন তিনি ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত। সুতরাং ক্রীড়া সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় নেই তার। কিন্তু তাকে কেউ কথা বলতে দেখেনি। কিংবা অন্য কোনো শব্দ করতে শুনেনি। শুধুই কানে মোবাইল চালাকি। এ নিয়ে উপস্থিত সব মিডিয়াকর্মীর মধ্যে হাসাহাসি শুরু হয়ে যায়।
বিশ্বকাপে রোনালদোর আগের তিন গোল ইরান, ঘানা ও উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে। ২০০৬ বিশ্বকাপে গোল ইরানের বিপক্ষে। ২০১০ সালে বল পাঠান উত্তর কোরিয়ার জালে। আর ২০১৪ সালে গোল ঘানার বিপক্ষে।

 


আরো সংবাদ



premium cement