আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড ফাইনাল!

বিশ্বকাপের প্রাথমিক রাউন্ড চলছে। বড় দলগুলোর চিন্তার আর অন্ত নেই। প্রতি বিশ্বকাপের মতো শিরোপাপ্রত্যাশীরা পারেনি শুভসূচনা করতে। এতে টেনশনে ঘুম হারাম হওয়ার উপক্রম। কিন্তু চার দিকে এ আলোচনার মাঝে থেমে নেই ভবিষ্যদ্বাণীও। বিশেষ করে যে ইংল্যান্ডের বারবার স্বপ্নভঙ্গ, সে ইংলিশরা এবার ফুরফুরে মেজাজে। দলের প্রথম ম্যাচের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক হ্যারি কেন। প্রচণ্ড প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করা তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ২-১-এ গোলে জয় তুলে নেয় তারা অতিরিক্ত সময়ের গোলে। এ জয়ে ইংল্যান্ড স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। হ্যারি কেনকে অনেকের সঙ্গে তুলনা করে এবারের আসরের সেরা গোলদাতা হওয়ার স্বপ্নটাও তারা দেখছেন! প্রথম রাউন্ডের গণ্ডি পার হলে অনেক হিসাব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আপাতত ওই পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। কারণ নক আউট পর্বেই মূলত লড়াই হবে আসল শক্তির।
ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা ও জনপ্রিয় ফরোয়ার্ড ডেভিড বেকহ্যামও তেমন স্বপ্নে বিভোর। ইতোমধ্যে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করছেন তার দেশ ইংল্যান্ড ও আর্জেন্টিনা এবার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলতে পারে। তার যুক্তি যে দলটিতে মেসির মতো দুর্দান্ত ফরোয়ার্ড রয়েছে, সময়মতো সে দলটা ঠিকই বেরিয়ে যাবে। গতকাল তিনি বলেন, ‘দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মেসির আর্জেন্টিনা ও ইংল্যান্ড রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলবে।’ চীনে সফররত সাবেক এ তারকা ফুটলার বলেন, ‘আমার কথায় ইংল্যান্ড প্রভাবিত হবে এমনটা আমি মনে করি না। তারা ধীরে ধীরে ভালো খেলবে। এবং লক্ষ্যে পৌঁছাবে। তা ছাড়া ইংল্যান্ড ফাইনালে যাক সেটাই আমি চাইবো। কারণ দলটি অনেক ঘাতপ্রতিঘাত পেরিয়ে এগিয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রথম জয়ে আমি খুবই খুশি। বিশেষ করে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে যে খেলা খেলেছে ইংল্যান্ড, সেটা খুবই ভালো করেছেÑ যা তাদের আস্থা জোগাবে পরের ম্যাচগুলোতে।’ তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেছেন অধিনায়ক হ্যারি কেনেরÑ ‘কেন খুবই সুযোগসন্ধানী খেলোয়াড়। যে গোল দু’টি তিনি করেছেন সেটাতে তার ওই চাতুরতার স্বাক্ষর রয়েছে।’
নিজের দল ইংল্যান্ডের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘ওরা খুবই তরুণ ও মেধাবী দল। ওরা প্রতিটি ম্যাচেই শিখছে। পরের ম্যাচগুলোতেও তারা ভালো করবে।’ ইংল্যান্ডকে নিয়ে অনেক প্রত্যাশা থাকলেও খুব বেশি ভালো করতে পারে না। সর্বশেষ তারা কোয়ার্টারে উঠেছিল তাও ২০০৬-এ। বেকহ্যাম তখন ছিলেন ইংল্যান্ড দলের ক্যাপ্টেন।