২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মরক্কো ও ইরান : শক্তিমত্তায় প্রায় সমান দুই দলের লড়াই

-

নিজেদের গ্রুপে এই দু’টি দল শক্তিমত্তায় প্রায় সমান এবং তারাই নিজেদের গ্রুপের সবচেয়ে দুর্বল দল। গ্রুপ বি থেকে ২০১০ সালের স্পেন এবং বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে আছে। সেন্ট পিটার্সবার্গে, তাই তাদের লড়াই নিয়ে নিজেদের দেশের ফুটবল ভক্ত-সমর্থকদের ছাড়া আর কারো তেমন আগ্রহ থাকার না থাকারই কথা। একই সাথে বলা যায় মরক্কানরা বেশি ফেবারিট ইরানের বিপক্ষে জয়ের ব্যাপারে। কারণ তাদের মাঠের প্রতিটি পজিশনেই যথোপযুক্ত খেলোয়াড় রয়েছে। তাই লেস লায়ন্স ডি এটলাসকেই এগিয়ে রাখবে ফুটবল বিশেষজ্ঞেরা এশিয়ার ইরানের তুলনায়। তা ছাড়া গ্রুপ বি থেকে তাদের ইউরোপীয় প্রতিপক্ষ স্পেন ও পর্তুগালের বিপক্ষেও আপসেট ঘটানোর ক্ষমতা রয়েছে মরক্কোর। যদিও ইরানের বিপক্ষে মরক্কোর ম্যাচটি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয় পর্বে যাওয়ার জন্য। ইরানের বিপক্ষে মরক্কোকে টিম মেলির শক্তিশালী রক্ষণভাগের মোকাবেলা করতে হবে। এএফসি কোয়ালিফাইংয়ে টিম মেলি বা ইরান মাত্র দু’টি গোল খেয়েছে এবং বিশ্বকাপ বাছাই পর্বেও তাদের রক্ষণভাগ ছিল বেশ শক্তিশালী। জার্মান বুন্দেসলিগায় শালকে ০৪ এ’ খেলা আইমান আয়েট এবং আয়াক্স আমস্টার্ডামের হেকিম জিয়েচ এবং গ্যালাতাসারেতে খেলা ইউনেস বেলহান্ডার দিকেই মরক্কোর সব শক্তি নির্ভর করে। এই তিনজনই ওয়ান টু ওয়ান পরিস্থিতিতে মারাত্মক এবং যেকোনো রক্ষণভাগও তারা ভেদ করার সামর্থ্য রাখে। এই বিবেচনায় মরক্কোকে ইরানের বিপক্ষে পরিষ্কার ব্যবধানেই এগিয়ে রাখা যায় এবং তারা নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয়ের মধ্যে দিয়েই গ্রুপের প্রথম ম্যাচটি শুরু করতে চায়। ১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপে মরক্কো প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নেয় কিন্তু শেষ ষোলর লড়াইয়ে তারা জার্মানির বিপক্ষে পরাজিত হয়ে বিদায় নেয়। শালকেতে খেলা আয়মান হায়াত মরক্কোর সাম্প্রতিককালের সেরা মাঝমাঠের খেলোয়াড়। এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার জার্মান বুন্দেসলিগায় তিনটি গোল করেছেন এবং গোলে সহায়তা করেছে সাতবার। হায়াতের অসাধারণ নৈপুণ্যের ফলেই জার্মান বুন্দেসলিগায় শালকে বায়ার্ন মিউনিখের পর দ্বিতীয় স্থান নিয়ে লিগ শেষ করেছে। যদিও হায়াতের জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা ফ্রান্সে কিন্তু হায়াত নিজ বংশোদ্ভূত দেশ মরক্কোর হয়ে খেলাটা বেছে নিয়েছেন। আফ্রিকান বাছাই পর্বে গ্যাবনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে তার অভিষেক হয়। এএফসি বাছাই পর্বে ইরান সবচেয়ে শক্তিশালী রক্ষণভাগ নিয়ে ছিল। তারা ১০০০ মিনিট কোনো গোল খায়নি। সিরিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে তারা ২-২ গোলে ড্র করেছিল। সরদার আজমাউন ইরানের সবচেয়ে বড় তারকা ফুটবলার। তাকে নিয়ে ইরান আশা দেখছে এবং সে নিজেও বিশ্বকাপে ভালো করার আশা করছে। ২৩ বছর বয়স্ক অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রাশিয়ার লিগে রুবিন কাজানের হয়ে খেলে থাকে। তাই বিশ্বকাপে রাশিয়ার পরিবেশ তার কাছে পরিচিতই লাগবে। রাশিয়ান লিগে আজমাউন ১১৫ ম্যাচ থেকে ২৯টি গোল করেছেন এবং ১৪টি গোল করতে সহায়তা করেছেন। এই ম্যাচে মরক্কো ৪-১-৪-১ ফরম্যাশনে খেলবে এবং ইরান ৪-২-৩-১ ফরম্যাশনে খেলবে। এই দু’টি দেশ বিশ্বকাপে কখনো একে-অপরের মোকাবেলা করেনি।


আরো সংবাদ



premium cement
কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু

সকল