২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাতাঠুঁটি ধনেশ

-

তোমরা কেবল ধনেশ পাখির নাম শুনেছ। কিন্তু ধনেশ পাখির কতগুলো প্রজাতি আছে, কী এদের নাম তা হয়তো অনেকেই জানো না। শুধু মোটা লম্বা ঠোঁট মানেই ধনেশ পাখি নয়। এরা দেখতে বিচিত্র রকমের। ধনেশ পাখির প্রজাতির যে নামগুলো রয়েছে সেগুলো সংখ্যায় একেবারে কম নয়। যেমন পাতাঠুঁসি ধনেশ, রাজধনেশ, পাপুয়ান ধনেশ, কাও ধনেশ, গণ্ডার ধনেশ, আফ্রিকান পুঁটিয়ান ধনেশ, ঝুঁটিয়াল ধনেশ, দক্ষিণী মেঠো ধনেশ, বায়াতকারী ধনেশ, মেঠো ধনেশ, রুফুয়ান মাথাযুক্ত ধনেশ, রুপালি গালওয়ালা ধনেশ, মালাবাবার ধূসর ধনেশ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এখন তোমরা এগুলো থেকে পাতাঠুঁসি ধনেশ সম্বন্ধে জানবে।
পাতাঠুঁসি ধনেশ পাখিকে পাতাঠুঁটি ধনেশ, পাতাঠুঁটো ধনেশ, মালাপরা ধনেশও বলা হয়ে থাকে। এটি এক প্রজাতির বড় আকারের ধনেশ। এদের আবাস পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকাজুড়ে, যা প্রায় ৩৩ হাজার বর্গকিলোমিটার। তবে এদের সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে কমে যাচ্ছে বিগত কয়েক দশক ধরে। যে কারণে এ প্রজাতিটিকে ঘোষণা করা হয়েছে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত হিসেবে। জানা গেছে, এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত রয়েছে বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী আইনেও। এরা এক প্রজাতিক। অর্থাৎ নেই কোনো উপপ্রজাতি।
বিশাল ঠোঁটওয়ালা বড় আকারের বৃক্ষচর পাখি এ পাতাঠুঁটি ধনেশ। এর দৈর্ঘ্য প্রায় সর্বোচ্চ ২০ সেন্টিমিটার। লেজ প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার, পা প্রায় সাত সেন্টিমিটার। পুরুষজাতীয় পাতাঠুঁটি ধনেশের গড় ওজন প্রায় দুই কেজি। অনেক সময় চার কেজিও হয়ে থাকে। স্ত্রীজাতীয় পাতাঠুঁটির ওজন দেড় কেজি থেকে আড়াই কেজি।
কিছুটা পার্থক্য রয়েছে স্ত্রী ও পুরুষ ধনেশের চেহারায়। পুরুষ পাখির ঘাড় ও মাথার চাঁদি বা উপরের অংশ লাল। সাদাটে মাথার পাশ। পীতাভ সাদা হচ্ছে ঘাড়ের উপরের অংশ। ঠোঁট বা চঞ্চু উজ্জ্বল হলুদ। উজ্জ্বল হলুদ রঙের থলে দেখা যায় ঠোঁটের নিচে। আড়াআড়ি কালো ডোরা দাগ রয়েছে থলেতে। লেজ সাদা। দেহের একটি বড় অংশ উজ্জ্বল বা চকচকে কালো। রক্তলাল চোখ। চোখের পাশের অংশে ইটের মতো লাল রঙ রয়েছে। অনুজ্জ্বল গোলাপি ঠোঁটের গোড়া এবং তার কিছু অংশ লাল-কালচে ঢেউ খেলানো।
অন্য দিকে, ঘাড় ও মাথা কালো স্ত্রী ধনেশের। নীল বা সবুজাভ হচ্ছে ঠোঁটের নিচের থলের রঙ। চোখ বাদামি। ধূসর-বাদামিও মনে হয় চোখ। লালচে হলুদ ঠোঁট। তবে স্ত্রী ও পুরুষ ধনেশের মধ্যে সামান্য মিল বা সাদৃশ্য রয়েছে। উভয়ের পুরো পা সবুজাভ। মাঝে মধ্যে একটু দূর থেকে ফ্যাকাশে-কালোও মনে হয়। ফিকে নীল অপ্রাপ্তবয়স্ক ধনেশের চোখ। ঢেউহীন পিচ্ছিল ঠোঁট।
চিরসবুজ বনের পাখি পাতাঠুঁটি ধনেশ। অনেক সময় উড়ে বেড়ায় দলবদ্ধ হয়ে বা জোড়ায়। ফলদ গাছের ওপর বসে খাদ্যের জন্য। এরা বেশি খায় রসালো ফল, ছোট সাপজাতীয় প্রাণী, ছোট প্রাণী ইত্যাদি। গাছ থেকে গাছে ওড়ার সময় মধুর সুরে ডাকতে থাকে।
এরা ডিম দেয় এপ্রিল-মে মসে। বাসা বানায় বনের উঁচু গাছের কোটরে। দু’টি ডিম দেয় স্ত্রী ধনেশ। ডিমের রঙ সাদা। ডিম পাহারা দেয় পুরুষ ধনেশ। স্ত্রী ধনেশ বাসার ভেতরে থাকে ছানা বড় না হওয়া পর্যন্ত। এদের বেশি দেখা যায় কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভারত ও বাংলাদেশে। পাতাঠুঁটি ধনেশের বৈজ্ঞানিক নাম রিটিসেরস আনডুলেটাস। ইংরেজি নাম রিথ হর্নবিল। প্রজাতি হচ্ছে আর. আনডুলেটাস।


আরো সংবাদ



premium cement
কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু

সকল