২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঘরে ফেরার আনন্দ

-

ঈদ মানে খুশি। বাঁধভাঙা আনন্দ। আর এই আনন্দ ক্রমেই নিরানন্দ হতে থাকে ঘরে ফেরার কথা ভাবলে। নানা প্রয়োজনে মানুষ গ্রাম থেকে শহরে ছুটে আসে। ঈদের আগে সবাই ফিরতে চায় তার আপন ঠিকানায়। আর সেখানেই ঘটে বিপত্তি। ঈদে ঘরে ফেরার কথা মনে হলেই চোখে ভেসে ওঠে দীর্ঘ যানজটের চিত্র। শ্রান্ত-ক্লান্ত মানুষের মুখ। চেনা জনপদে ফেরার বিরক্তি। এবার এর ব্যতিক্রম ঘটেছে আমার ক্ষেত্রে। সে কথাই বলছি।
দেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড বলা হয়ে থাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে। চার লেনের ওই মহাসড়কের যানবাহনগুলো এতদিন দুই লেনের গোমতী ও মেঘনা সেতুতে ওঠার সময় যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকত। প্রত্যেকটি গাড়িকে গড়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হতো। ঈদের ছুটির আগে-পরে যানজট আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করত। ১০-১২ ঘণ্টাও যানজটে পড়তে হতো ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে। এতে প্রতিদিনই লাখো যাত্রীকে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়তে হতো। আমার বাসস্থান চট্টগ্রাম হওয়াতে এ পথেই আমাকে ফিরতে হয়।
ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাসে গত শনিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করি। মাত্র চার ঘণ্টা পর বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম চলে আসে বাসটি। একইভাবে ঢাকার কলাবাগান থেকে ছেড়ে আসা বিলাসবহুল গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাস সাড়ে চার ঘণ্টায় চট্টগ্রাম চলে আসে আমার ভাই। অবাক কাণ্ড! নিজেরাই বিশ্বাস করতে পারিনি।
এবার শুধু আমরাই না, চেনাজানা অনেকেই দ্বিতীয় গোমতী ও দ্বিতীয় মেঘনা সেতু চালু হওয়ায় সব ধরনের যানবাহনে খুব কম সময়ের মধ্যে ঢাকা থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এসেছেন। বহু প্রতীক্ষিত সেতু দুটি চালু হওয়ার সাথে সাথে এর সুফল পাচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা। আগে প্রতিদিন গড়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা লাগত। আর এখন গাড়িগুলো সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে আসছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওই সেতু এলাকায় দীর্ঘ যানজটের কারণে শুধু পরিবহন শ্রমিকেরাই নয়, যাত্রীরাও সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তেন এতদিন। নতুন সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হওয়ায় এর সুফল সবাই পাচ্ছে। ঘরে ফেরার আনন্দই আলাদা!
চট্টগ্রাম


আরো সংবাদ



premium cement