২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

৯০ ভাগ হজযাত্রীই অসচেতন

-

সভাপতি, বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ পরিষদ
ইসি সদস্য ও প্যানেল প্রধান, সচেতন হাব গণতান্ত্রিক ফোরাম
বাংলাদেশ হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি হাবের ইসি সদস্য ও সচেতন হাব গণতান্ত্রিক ফোরামের প্যানেল প্রধান ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের মনে করেন, দেশের ৯০ ভাগ হজযাত্রীই হজে যাওয়ার বিষয়ে অসচেতন। যার কারণে তারা মধ্যস্বত্বভোগীদের কবলে পড়ে প্রতারণার শিকার হন এবং সঠিক সেবা পান না। তিনি মনে করেন, হজযাত্রীরা সরাসরি এজেন্সির অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিয়ে হজের নিবন্ধন করলে হাজীদের আর কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে যেতে হবে না, প্রাপ্য সেবা থেকেও বঞ্চিত হতে হবে না। নয়া দিগন্তের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি হজ ব্যবস্থাপনা ও হজযাত্রীদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন।
নয়া দিগন্ত : আপনি হজযাত্রীদের কল্যাণে দীর্ঘ দিন কাজ করে আসছেন। হজযাত্রীরা দেখা যায় অনেক সময় প্রতারিত হচ্ছেন, প্রকৃত সেবা পান না। এর কারণ কী বলে আপনি মনে করেন।
ড. নাসের : আমি মনে করি, আমাদের দেশের শতকরা ৯০ জন হাজী অসচেতন। তারা এলাকার মধ্যে মিডিয়া খুঁজেন। সরকারের জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিমালা হলো, হজ এজেন্সি ও হজযাত্রী সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করবেন। হজ এজেন্সির মালিক নিজ স্বাক্ষরিত রশিদে কিংবা হজ এজেন্সির অ্যাকাউন্টে হজযাত্রীরা টাকা জমা করবেন। কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছেÑ হজযাত্রীদের অসচেতনতার কারণে ৮০ ভাগ হজযাত্রী মধ্য দালাল মিডিয়া স্বত্বভোগীদের মাধ্যমে রিক্রুট হচ্ছেন। এই মধ্যস্বত্বভোগীরা যেমন ২০১৯ সালে সর্বনি¤œ প্যাকেজ হচ্ছে তিন লাখ ৪৪ হাজার টাকা। জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিমালায় আছে, এর কমে কারো কাছ থেকে টাকা নেয়া যাবে না এবং চূড়ান্ত নিবন্ধন করা যাবে না। কিন্তু এই দালালরা হাজীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের অ্যাকাউন্টে রেখে দিচ্ছেন। তারপরে এসে বিভিন্ন এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে দুই লাখ ৮০, দুই লাখ ৫০ হাজার, দুই লাখ ৬০ হাজার করে হজ এজেন্সিকে টাকা জমা দিচ্ছেন। কিন্তু তারা তিন লাখ ৪৪ হাজার টাকা হজযাত্রীর কাছ থেকে নিচ্ছেন। তাহলে প্রায় ৭৪ হাজার টাকা মধ্যস্বত্বভোগীর পকেটে থেকে যাচ্ছে। এতে করে হজযাত্রীরা মক্কা-মদিনায় প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এত টাকা মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে থেকে গেলে স্বাভাবিক কারণে হজ এজেন্সিগুলো যথাযথ সেবা দিতে পারবে না। এরপর হলো, এই দালালদের হাতে টাকা থাকার কারণে অনেক সময় এজেন্সিগুলো তাদের ভিসা করাতে পারে না, বাড়ি ভাড়া করতে পারে না। এভাবে এজেন্সিগুলো হাজীদের সব কার্যক্রম করতে পারে না। এরপর দেখা যায়, হাজীদের দালালরা হজ ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। এখানে এসে দেখেন তাদের কোনো কার্যক্রম হয়নি, টাকাও দেয়া হয়নি। হাজীরা শেষ ফ্লাইটের পর আবার কাঁদতে কাঁদতে দেখা যায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এই জিনিসগুলো দূর করা তখনই সম্ভব, যখন আমাদের সচেতনতা তৈরি হবে। এই সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য ব্যাপক হারে আমরা হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ পরিষদ, হাব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মিডিয়ায় প্রচার করি; যাতে হজযাত্রী হজ নীতিমালার ৭.১ ধারায় সরাসরি হজ এজেন্সির সাথে হজে যান। প্যাকেজ মূল্যের অর্থ হজযাত্রী এজেন্সির অ্যাকাউন্টে জমা দেবেন। এটা যদি হয়, তাহলে হজযাত্রীদের আর কাঁদতে হবে না। হজযাত্রীরা সেবা নিশ্চিতভাবে পাবেন আমি আশা করি। এটাই মেইন কারণ।
নয়া দিগন্ত : তাহলে আপনি কি বলতে চাইছেন, এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে অনিয়মের যে অভিযোগ উঠে সেটা এ কারণেই?
ড. নাসের : হ্যাঁ, সেটা এ কারণেই। এজেন্সিগুলো এখানে ভিকটিম হচ্ছে। এই থার্ড পার্টি বা মধ্যস্বত্বভোগীরা টাকা না দেয়ার কারণে হাজীদের সেবা দিতে পারছেন না ওখানে। এই যে বাড়ি নেই বলছেন, বাড়ি দূরে বলছেন। বাড়ি দূরে কেন হচ্ছে? ৭৪ হাজার টাকা তো দালালের পকেটে। তিন হাজার রিয়াল প্রায়।
তিন হাজার রিয়াল যদি এজেন্সিগুলো পেত, তাহলে কাছাকাছি জায়গায় বাড়ি ভাড়া করতে পারত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ হারাম শরিফে পড়ার বন্দোবস্ত করতে পারত।
নয়া দিগন্ত : ই-হজ ব্যবস্থাপনার কারণে হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা এসছে বলা হচ্ছে। এর সুফল হজযাত্রীরা কতটুকু পাচ্ছেন?
ড. নাসের : ই-হজ ব্যবস্থাপনার কারণে যেমনÑ পাসপোর্ট যাচাই করাসহ কারিগরি দিকগুলো সরকার নিচ্ছে, এগুলো খুব ভালো পদক্ষেপ। এই পদক্ষেপের ফলে আগামীতে দুর্নীতি আরো কমে যাবে। সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনা কায়েম হবে। ই-হজের মাধ্যমে হাজীরা সেবা পাবেন এবং এজেন্টরাও তাদের দায়দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য হবেন। এজেন্টরা যদি তাদের দায়দায়িত্ব পালন করে, তাহলে হাজীরা সেবা পাবেন।
নয়া দিগন্ত : হজযাত্রী পরিবহন মাত্র দু’টি বিমান সংস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা নিয়ে নানা যুক্তি-পাল্টা যুক্তি দেখানো হচ্ছে। বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আসলে এ বিষয়টিতে হজযাত্রীদের কোনো কল্যাণ আছে কি?
ড. নাসের : হাবের ইতঃপূর্বে যে কমিটি ছিল, তারা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় হাইকোট রায় দিয়েছিলেন। এরপর এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ধর্ম মন্ত্রণালয় আপিল করে। আপিল খারিজ হয়ে যায়। এখন থার্ড ক্যারিয়ার মহামান্য উচ্চ আদালত অ্যাপিলেড ডিভিশন সম্মতি দিয়েছে যে, থার্ড ক্যারিয়ার চালু হতে পারবে। কিন্তু আমাদের এখান থেকে যখন আমরা হজের চুক্তি করতে যাই হাবে, যদি যোগ্য নেতৃত্ব থাকত তা হলে হজচুক্তির সময় সৌদি পার্ট থাকে, হাব যদি ওখানে বলতে পারে যে, দু’টি ক্যারিয়ারের কারণে হাজীরা নাজেহাল হচ্ছে। বিমানের ভাড়াটা অত্যধিক বেড়ে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক এয়ারলাইন্সগুলোকে যদি সুযোগ দেয়া হতো, তবে রেশিও অনুযায়ী ভাড়া কমে আসত। প্যাকেজের টাকাও কমে আসত এবং হাজীদের যেতে ভোগান্তিও কমে যেত। এ জন্য এটার দায়দায়িত্ব হাবকেই পালন করতে হবে। হাবের যোগ্য নেতৃত্ব আসলে ওখানে গিয়ে তাদের সাথে ভালোমতো বোঝাপড়া করে বার্গেনিং করে তাদের অধিকার নিযে আসতে পারবে। এখান অনেক ২০-২২ দিনে চলে আসতে চান। কিন্তু তারা বিমানের টিকিট সেভাবে পান না। কারণ বিমান কম। যদি থার্ড ক্যারিয়ার থাকত, তখন ওই ক্যারিয়ারগুলোতে হাজী বুকিং দিয়ে ২০-২১ দিনে হাজী নিয়ে আসত। এতে হজ হজযাত্রীদের সেবা হলো, এজেন্টদের সেবা হলো, হাজীরা চাহিদা মোতাবেক তাদের প্লেন পেলেন।
নয়া দিগন্ত : হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে সেবার পরিবর্তে অতি ব্যবসায়িক মানসিকতার অভিযোগ বাড়ছে। এটাকে আপনি কিভাবে দেখেন?
ড. নাসের : হজ এজেন্সিগুলোর বেশির ভাগই লাইসেন্স নিয়েছে এই ভাবে যে, এটা দুনিয়ার যেমন ব্যবসায়, আখেরাতেরও ব্যবসা। আমি টাকা নিচ্ছি, আমি বাড়ি ভাড়া করব, টিকিট দেবো, ওখানে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করব। এ টুকুই শেষ। এরপরও হাজীদের নিয়ে আমাদের এজেন্টরা হাজীদের তাওয়াফ করাচ্ছেন, সাফা-মারওয়া সাঈ করাচ্ছেন, বিভিন্ন তালিক দিচ্ছেন, যে অতিরিক্ত কাজ করছে আখেরাতের জন্য কিছু নেকি যাতে পায় এ জন্য এটা করছেন।
নয়া দিগন্ত : হজ ব্যবস্থাপনার সাথে হজযাত্রী, সরকার এবং হজ এজেন্টরা সরাসরি সম্পৃত্ত। হজযাত্রী ও হাজী কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে হজ ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে আপনার সুনির্দিষ্ট পরামর্শ কি থাকবে?
ড. নাসের : আমি হজ এজেন্টদের বলব, আমরা লাইসেন্স নিয়েছি দুনিয়া এবং আখেরাতের ব্যবসায় এটা। তাই হাজীদের সেবাকে অগ্রাধিকার দেয়া। হজযাত্রীরা যেন তাদের সুযোগ সুবিধা পান। যে টাকা তারা দেবেন, সেই টাকার যেন সঠিক সুযোগ-সুবিধা পান। এ জন্য হজ এজেন্সিগুলো পুরো শক্তি নিয়োগ করার জন্য আহ্বান থাকবে আমার।
হজযাত্রীরা যেন সচেতন হন। তারা যেন সরকারের নিয়মনীতি, জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিমালা মেনে নিয়ে হজ এজেন্সির অ্যাকাউন্টে টাকা পরিশোধ করেন। যাতে তারা সর্বোচ্চ সুযোগ পেতে পারেন। সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে, আপনারা হাজীদের কথা বিবেচনা করে যেমন গত বছর বিমানের ভাড়া ছিল এক লাখ ৩৮ হাজার টাকা, এখন আমরা ওমরাহ যাত্রী পাঠাচ্ছি ৫০ হাজার টাকায়। সেখানে যদি ডবল হয়, সেখানে এক লাখ টাকা হতে পারে। এক লাখ টাকার উপরে ভাড়া হতে পারে না। হাজীদের বিমান ভাড়া কমিয়ে এক লাখ টাকার নিচে আনা হোকÑ এই দাবি আমার ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু এবার ধর্ম প্রতিমন্ত্রী নতুন এসেছেন। তিনি এসে ১০ হাজার টাকা কমিয়েছেন, এ জন্য আমি তাকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি। আমি চাইব, তিনি ভালো কথা বলেছিলেনÑ আমরা যদি ভারত পাকিস্তানের দিকে তাকাই, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার দিকে তাকাই, তাহলে সেখানে দেখা যায় হজযাত্রীদের ভাড়া কম। এটার তার মহানুভবতার একটা উজ্জ্বল বক্তব্য। ভবিষ্যতে হজযাত্রীরা যাতে সুযোগ পান এদিকে তিনি যেন নজর দেন।
নয়া দিগন্ত : আপনি হজযাত্রীদের কল্যাণের পাশাপাশি হজ এজেন্সির সংগঠন হাবের নেতৃত্বেও আছেন। এখন একটি প্যানেলের প্রধান হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন। আপনি নির্বাচিত হলে আপনার প্রধান কাজগুলো কী হবে?
ড. নাসের : আমি সচেতন হাব গণতান্ত্রিক ফোরামের প্যানেল প্রধান হিসেবে ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় হাবের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমি নির্বাচিত হয়ে মূল নেতৃত্বে আসতে পারলে প্যাকেজ মূল্যের পুরো টাকা নিয়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করব। এটা করতে পারলে হজযাত্রীরাও সেবা পাবেন, এজেন্টরা লাভবান হবে। এ জন্য এ বছর হাবের এজিএমে এজেন্সিদের একটাই কথা ছিলÑ পুরো টাকা নিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন যেমন সরকারি ব্যবস্থাপনায় আছে। ২০১৬ সালে আমরা পুরো টাকা দিয়েই নিবন্ধন করেছিলাম। তখন ব্যাংকগুলো হজের লাইসেন্স দিয়ে কোটি কোটি টাকা লোন দিয়েছিল। যারা কম দামে হাজী নিয়েছিলেন তারা বাকি টাকা কোথায় পাবেন? এ জন্য তারা ১০০ হাজীর জন্য ৫০ লাখ ২০০ হাজীর জন্য এক কোটি টাকা লোন দেয়া শুরু করল সুদের ওপর। এটার জন্য আমি আরো চার জন সদস্যকে নিয়ে তখনকার ধর্মমন্ত্রীর ওখানে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম, এজেন্সিরা সুদ দিয়ে লোন নিচ্ছে। পরে আবেদনের লিখিত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পরে শুধু টিকিটের টাকা নিয়ে পুরো টাকা নেয়া শুধু ওই বছরের জন্য বন্ধ রেখেছিলেন। এরপর দুই বছর চলে গেল। এ বছর থেকে পুরো টাকা নিয়ে নিবন্ধন চালু করতে পারত। হাবের এখন দুর্নীতির একটি খাত আছে সেটা হচ্ছেÑ হজযাত্রীদের এক শতাংশ বাড়ি ভাড়া। অতীতে আরো খাত ছিল, সেগুলো বন্ধ হয়েছে। এগুলো নিয়েও আমি আন্দোলন করেছিলাম। পৌনে ১২ কোটি টাকা। এটাও বন্ধে আমি পদক্ষেপ নেবো। হ


আরো সংবাদ



premium cement
সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক

সকল