বাংলাদেশের উদ্ভিদ জগৎ বাঁধুলি
- মৃত্যুঞ্জয় রায়
- ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
বাঁধুলির অন্য নাম দুপুরচণ্ডী। কেননা, এর ফুল বড় নিয়মের দাস। ফোটে দুপুরেই, ঠিক ১২টায়। এ জন্য এর আরেক নাম দুপুরমণি। উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম চবহঃধঢ়বঃবং ঢ়যড়বহরপবধ খরহহ এবং পরিবার ঝঃবৎপঁষরধপবধ. দুপুরচণ্ডী এক বুনো প্রকৃতির অনাদৃত গাছ। তবে রক্তরাঙা ফুলগুলো যখন ফোটে তখন কিন্তু আর একে উপেক্ষা করা যায় না। টকটকে লাল, পিরিচের আকৃতিতে ছোট ছোট ফুল ফুটে গাছ আলো করে ফেলে। বছরের যে সময়টায় আসলে ফুলের একটু আকাল পড়ে, দুপুরচণ্ডী সে সময়টায় হাজির হয় এর ফুলের ডালা সাজিয়ে। সেজন্য অনেকেই বাড়ির বাগানে ও পার্কে ফুলগাছ হিসেবে লাগিয়ে থাকেন। একসাথে অনেক গাছ সারি করে লাগালে ভালো লাগে। ফুল ফোটে আগস্ট থেকে অক্টোবরে। পাতার কক্ষ বা গোড়া থেকে একসাথে দু’টি করে ফুল ফোটে দুই দিকে মুখ করে। পাঁচটি পাপড়ি পুরো ছড়িয়ে থাকে। পাপড়ির গোড়ার দিকে, অর্থাৎ ফুলের কেন্দ্রের রঙ থাকে হালকা কালচে। তার ভেতরে থাকে হলদে রঙের কেশরগুলো। অপূর্ব এ ফুলের রঙের বিন্যাস। এমন উজ্জ্বল লাল রঙের ফুল খুব কমই আছে। গাছ এক থেকে দেড় মিটার লম্বা হয়। অবশ্য টবে লাগিয়ে মাথা ছেঁটে খাটো করে রাখা যায়। কাণ্ডের গায়ে হালকা পশম থাকে। পাতা অনেকটা পাটপাতার মতো, তবে অনেক সরু ও লম্বা, কিনারা করাতের মতো খাঁজকাটা। ফলে পাঁচটি গহ্বর আছে, প্রতি বীজকোষে থাকে ৮-১২টি বীজ। বীজ থেকে সহজে চারা হয়। গাছে বেশ পানি লাগে। বাঁধুলি বা দুপুরচণ্ডীর বেশ ভেষজ গুণ আছে। কোথাও কেটে গেলে এর পাতার রস লাগালে সেরে যায়। কোনো কারণে গায়ে দাগ হলে ফুল বেটে লাগালে তা মিলিয়ে যায়। হাত-পা মচকে গেলে পাতা ও শিকড় বেটে অল্প গরম করে এক দিন মচকানো জায়গায় লাগিয়ে রাখলে উপকার হয়। দুপুরচণ্ডীর আদিনিবাস ভারতীয় উপমহাদেশেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা